1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্লিন সফর

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১১ এপ্রিল ২০১৩

তিনদিনের বার্লিন সফরে ভারত-জার্মান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন রোডম্যাপ তৈরি করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বৃহস্পতিবার আন্তঃ সরকার পরামর্শ বৈঠকে মিলিত হবেন জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে৷

Bundeskanzlerin Angela Merkel (CDU) wird am Dienstag (31.05.2011) in Neu Delhi vom indischen Premierminister Manmohan Singh im Gästehaus der Regierung "Hyderabad House" begrüßt. Kanzlerin Merkel trifft mit Bundesministern und Staatssekretären zu den ersten deutsch-indischen Regierungskonsultationen mit Amtskollegen aus Indien zusammen. Foto: Steffen Kugler dpa +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে বৃহস্পতিবার আন্তঃ সরকার পরামর্শ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ অ্যাজেন্ডায় আছে ভারত-ইউ অবাধ বাণিজ্য চুক্তি এফটিএ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার এবং সন্ত্রাস৷ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিতে সই হবে একাধিক সমঝোতা চুক্তি৷

ভারতে জার্মান বিনিয়োগ টানতে প্রধানমন্ত্রী জার্মানির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ব্যাখ্যা করবেন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের লক্ষ্যে ভারত কীভাবে আর্থিক সংস্কারের পথে এগিয়ে চলেছে৷ ইউরো-জোনের প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রভাব পড়বে ভারতে৷

জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং (বামে)ছবি: dapd

ইউরোপে জার্মানি ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার৷ ২০১১ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক লেনদেন ১৮ শতাংশ বেড়ে হয় সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ইউরো৷ জার্মান সহযোগিতায় ভারতে রয়েছে প্রায় ১,৬০০ প্রকল্প এবং যৌথ উদ্যোগে রয়েছে প্রায় ৬০০ সংস্থা৷ ২০১২ সালে বিশ্ব মন্দার কারণে তা অবশ্য কিছুটা নিম্নমুখী৷ পরিবেশ-বান্ধব নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০০ কোটি ইউরোর এক ঋণ তহবিল খোলার প্রস্তাব উঠতে পারে৷ এছাড়া, দিল্লি-মুম্বই শিল্প করিডর নির্মাণে জার্মানি আগ্রহী হবে৷

সবথেকে কণ্টকিত ইস্যু ভারত ও ২৭টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি, যা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা ২০০৭ সাল থেকে শুরু হলেও এখনও ঐকমত্য হয়নি৷ এফটিএ নিয়ে ইইউ আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়৷ এ বছরে তা চূড়ান্ত করা না হলে ইইউ খুঁজে নেবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিকল্প গন্তব্য ৷ সম্ভবত সেটা হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

কেন এফটিএ চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না? কোথায় আটকাচ্ছে? বলা বাহুল্য, জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে ভারতের পক্ষে সব দাবি মেনে নেয়া সম্ভব নয়৷ শিল্প, বাণিজ্য ও কৃষি মহল এফটিএ বিরোধী৷

প্রধান বাধা পণ্য শুল্ক এবং শুল্ক-বহির্ভূত মাশুল৷ ইইউ চাইছে, ভারত মোটর গাড়ি, ওষুধপত্র ও অ্যালকোহলিক পণ্যের আমদানি শুল্কের হার অর্ধেক কমিয়ে দিক৷ চাইছে পরিষেবা ও মেধাস্বত্বের সুবিধা দেয়া হোক৷ ইউরোপে গাড়ি বাজারের মন্দার কারণে ইইউ চাইছে ভারতে সম্পূর্ণ তৈরি গাড়ি রপ্তানি করতে৷ সে জন্য বর্তমানের আমদানি শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হোক৷ সে জন্য মুখিয়ে আছে জার্মানির মার্সিডিজ, বিএমডাব্লিউ, পর্শের মত বিলাস-বহুল গাড়ি নির্মাতারা৷ ভারতে তা তৈরি না করে নিজের দেশে তৈরি করে ভারতে রপ্তানি করা অনেক বেশি লাভজনক হবে৷ গাড়ি শিল্প চাঙ্গা হবে৷ মোটকথা, অবাধ বাণিজ্য চুক্তিতে একটা ভারসাম্য এনে তা যাতে যত শীঘ্র সম্ভব চূড়ান্ত করা যায়, তার জন্য জার্মানির সাহায্য চাইবে ভারত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ