1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত জুড়ে হরতাল

৮ জানুয়ারি ২০২০

শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে বুধবার ভারত জুড়ে পালিত হল বনধ। তবে দেশের সর্বত্র বনধের প্রভাব এক রকম ছিল না। কোথাও তা পালিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে, কোথাও হয়েছে সংঘর্ষ।

ছবি: DW/D. Choubey

গেরুয়া শিবিরের শ্রমিক সংগঠন ছাড়া দেশের প্রায় প্রতিটি ট্রেড ইউনিয়ন বুধবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল। গোটা দেশে যার মিশ্র প্রভাব পড়েছে। কোথাও বনধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। কোথাও আবার প্রবল তুষারপাতের মধ্যেও শান্তিপূর্ণ ভাবে বনধের সমর্থনে মিছিল করেছেন রাজনৈতিক কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব সহ বহু জায়গায় বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। আবার দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় বনধের কার্যত কোনও প্রভাব পড়েনি।

কেন্দ্রীয় সরকার জনগণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তাদের নীতিদেশের মূল ভাবধারার বিরোধী-- এই অভিযোগেই বুধবার দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলি। নিজেদের দাবি-দাওয়ার বাইরে এনআরসি এবং সিএএ বিরোধিতাও তাদের বনধ ডাকার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছিলেন সংগঠনের নেতারা। দাবি করেছিলেন, দেশের ২৫ কোটি শ্রমিক বনধে অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বনধের প্রভাব পড়তে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গে। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শাখায় রেল অবরোধ শুরু হয়। উত্তর ২৪ পরগনায় রেল লাইন থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়। বেলা গড়াতেই বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। চলতে থাকে স্লোগান। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, বনধের কারণ সমর্থন করলেও তাঁর দল নীতিগত ভাবে বনধ বিরোধী। এ দিন বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী বাম কর্মীদের বহু জায়গায় গ্রেফতার করা হয়। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাম কর্মীরা।

উত্তরবঙ্গের মালদায় বনধ ঘিরে ছড়ায় উত্তেজনা। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয়। যাতে আহত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। পাল্টা লাঠিচার্জ করেছে পুলিশও।

বিজেপি-শাসিত ত্রিপুরায় বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাস্তায় বাস চললেও স্কুলে এবং অফিসে হাজিরার সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো কম। বাম এবং কংগ্রেস সমর্থকেরা বহু জায়গায় মিছিল করেছেন।

বনধের প্রভাব দেখা গিয়েছে হিমাচল প্রদেশে। প্রবল তুষারপাতের মধ্যেও একাধিক মিছিল করেছেন শ্রমিক কর্মচারীরা। দোকানপাটও অধিকাংশই বন্ধ ছিল।

দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাবে কোনও কোনও এলাকায় বনধের প্রভাব থাকলেও সামগ্রিক ভাবে জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। তবে প্রতিটি জায়গাতেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দিন বনধের কারণে সব চেয়ে বেশি ব্যাহত হয়েছে ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘর পরিষেবা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দিন শুধু ব্যাঙ্কেই ২১ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে।

বিকেল পর্যন্ত বনধ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও এ বিষয়ে নিশ্চুপ ছিলেন।

এসজি/জিএইচ (এনডিটিভি, পিটিআই, টাইমস অফ ইন্ডিয়া)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ