1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীর থেকে আধা-সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার

১৫ জুলাই ২০০৯

এমাসের শেষ নাগাদ ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধাপে ধাপে আধা-সামরিক বাহিনী সরিয়ে আনার কাজ শুরু হচ্ছে৷ এই মর্মে নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি৷

ফাইল ফটোছবি: DW

জম্মু-কাশ্মীর নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে চলেছে মনমোহন সিং সরকার৷ধাপে ধাপে রাজ্য থেকে আধা-সামরিক বাহিনী সরিয়ে আনার কাজ শুরু হচ্ছে এমাসের শেষে, চলবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ অবধি৷ প্রথম দফায় প্রত্যাহার করা হবে পাঁচ ব্যাটালিয়ান বা পাঁচ হাজার কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ৷ মোট ২৩ ব্যাটালিয়ান আধা-সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে৷ তা মোতায়েন করা হবে ওড়িষা, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড় ও অন্ধ্রপ্রদেশে নক্সাল ও মাওবাদিদের দমনে৷ কেন্দ্রিয় সরকারের মতে, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলার তীব্রতা কিছুটা কমেছে৷ শান্তি শৃংখলা রক্ষায় স্থানীয় পুলিশই যথেষ্ট৷ উল্লেখ্য, ৯০-এর দশকে সন্ত্রাসী হামলা যখন তুঙ্গে, তখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মিলিত ব্যবস্থাপনায় এই বাহিনী পাঠানো হয় কাশ্মীরে৷

সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বিজেপি৷ বলেছে আলোচনার জন্য বিষয়টি তোলা হবে সংসদে৷ বলতে হবে কিসের ভিত্তিতে সরকার মনে করছেন কাশ্মীরে পরিস্হিতির উন্নতি হয়েছে৷ সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এক সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠাবারও দাবি জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব৷ রাজ্য থেকে বিতাড়িত কাশ্মীরি পন্ডিতদের সংগঠন, জম্মু-কাশ্মীর বিচার মঞ্চের প্রতিনিধিরা বলেছেন যে,বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শহর থেকে এখন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামানঞ্চলে৷ আধা-সামরিক বাহিনী সরিয়ে নিলে রাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে৷

ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন,আধা-সামরিক বাহিনী সরানোর পেছনে অন্য কারণও আছে৷ এদের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ যেভাবে বাড়ছে, তাতে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ এর ফলে প্রশমিত হতে পারে৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লী

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ