1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

২৩ জানুয়ারি ২০১৮

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, অন্তর্ভূতিমূলক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ অনেকটাই পেছনে ফেলেছে ভারত ও পাকিস্তানকে৷ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে কেবল নেপালই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে৷

Schweiz Davos IWF Chefin Lagarde
ছবি: Reuters/D. Balibouse

উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪৷ দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী  অর্থনীতিগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান৬২, পাকিস্তানের ৫২ ও শ্রীলঙ্কার ৪০৷

সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩ দশমিক ৯৮, পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৫৫ ও ভারতের ৩ দশমিক ০৯৷  তবে ৪ দশমিক ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এ তালিকায় ২২তম অবস্থানটি নেপালের৷ শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনেকের চেয়েও ভালো করেছে বাংলাদেশ৷ পেছনে ফেলেছে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন্সকে৷ তবে খুব কাছাকাছি আছে ভিয়েতনাম ও ক্যাম্বোডিয়া৷

যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে

সোমবার প্রকাশিত হওয়া বার্ষিক এই সূচক তৈরিতে ১০৩টি দেশের অর্থনীতির তিনটি পৃথক স্তম্ভ বিবেচনায় আনা হয়েছে৷ সেগুলো হলো, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন, অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতি এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সমতা বিধান৷

এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জানিয়েছে, ‘‘দেশগুলোর জীবনমান কেমন, পরিবেশ কতটা টেকসই এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কতটা সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে– এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে সূচক তৈরি করা হয়েছে৷

সবার ওপরে নরওয়ে

১০৩টি দেশকে দু'ভাগে ভাগ করে সূচক প্রকাশ করা হয়েছে৷ ২৯টি উন্নত দেশ নিয়ে একটি এবং বাকি ৭৪টি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নিয়ে আরেকটি শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে৷

উন্নত দেশগুলোর সূচকে নরওয়ে সবার ওপরে৷ প্রথম আটটি দেশই ইউরোপের৷ নয় নম্বর স্থানটি অস্ট্রেলিয়ার দখলে৷ জার্মানি আছে ১২ নম্বরে৷ যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ২৩৷ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান উন্নত দেশের তালিকায় জায়গা পেয়েছে৷

চীন নেই উন্নত দেশের কাতারে

চীন যে শুধু উন্নত দেশের কাতারেই নেই, তা নয়, উদীয়মান অর্থনীতির শ্রেণিতে দেশটির অবস্থান ২৬৷ এ বিষয়ে ফোরামের ব্যাখ্যা হলো, যদিও গেল পাঁচ বছরে ৬ দশমিক ৮ ভাগ জিডিপি ও ৬ দশমিক ৭ ভাগ উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তারপরও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জায়গায় পিছিয়ে পড়েছে দেশটি৷

উদীয়মান দেশগুলোর তালিকায় সবার ওপরে আছে লিথুয়ানিয়া৷

সূচকে বাংলাদেশ

যেসব অর্থনৈতিক সূচক বিবেচনা করে আইডিআই বা অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকটি তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির ব়্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৪৷ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের হিসেবে এদেশে প্রবৃদ্ধি সূচকের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১০৩০ ডলার, শ্রম উৎপাদনশীলতা ৭৮৩৩ ডলার, আয়ুষ্কাল ৬২ দশমিক ৪ বছর ও কর্মসংস্থান ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ৷ এছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি সূচকের মধ্যে অসাম্য ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ, দারিদ্র্য ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ ও সম্পদের বিরতণ ৫৭ দশমিক ৯ শতাংশ৷

এসব সূচকে  বাংলাদেশের অবস্থানকে মডারেট বা মাঝারি মানের বলছে ফোরামের রিপোর্ট৷

শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে অর্থনীতির উন্নয়ন মাপকাঠি আর বলতে চাইছে না ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম৷ তারা বলছে, এটি একটি স্বল্পমেয়াদী হিসেব এবং এতে অর্থনীতিতে অসাম্য তৈরি হয়৷

দাভোসে জড়ো হচ্ছেন ৭০ সরকারপ্রধান

এদিকে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন৷ এ বছরের বিষয় হল, চিড় ধরা বিশ্বে অংশগ্রহণমূলক ভবিষ্যৎ তৈরি৷

এবারের শীর্ষ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অংশ নেবার কথা আছে, যদিও এবারের বিষয়টি ট্রাম্পের ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির বিরোধী৷

তবে আয়োজকরা আশা করছেন যে, এতে ট্রাম্প অংশ নেবেন৷ সম্মেলনে তাঁর একটি বিশেষ বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে৷

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট বোর্গে ব্রেন্ডা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমাদের পুরো বৈশ্বিক সিস্টেমটিই ভেঙে পড়ার মুখে৷ আমাদের মধ্যে সহযোগিতার অভাব রয়েছে৷ কিন্তু ইতিবাচক হলো যে, পরিবর্তন আসছে৷ ''

এ বছর যে ৭০ জন সরকার প্রধান যোগ দিচ্ছেন এ ফোরামে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জার্মানির আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফ্রান্সের এমানুয়েল মাঁক্রো, যুক্তরাজ্যের টেরেসা মে ও ভারতের নরেন্দ্র মোদী৷ ফোরামের উদ্বোধনী বক্তব্যটি দেবেন নরেন্দ্র মোদী৷

দাভোসে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক৷

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ