1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-পাকিস্তান

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৬ অক্টোবর ২০১২

ভারত ও পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক স্থলসীমা দিয়ে ব্যাবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্রমশই উজ্জ্বলতর হচ্ছে৷ আগামী বছর থেকে দ্বিপাক্ষিক ব্যাবসা বাড়বে উল্লেখযোগ্য হারে৷

ছবি: AP

কারণ, ভারতকে স্থলসীমা দিয়ে ৬ হাজার পণ্য রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান৷

ভারতের আটারি এবং পাকিস্তানের ওয়াগা স্থলসীমা পথ খুলে দেয়ায় দু'দেশের ব্যাবসা-বাণিজ্য আগামী তিন বছরে বাড়বে পাঁচগুণ৷ বর্তমানের থেকে, মানে বছরে ২০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে তা হবে বছরে এক হাজার কোটি টাকা৷ বর্ধিত বাণিজ্য হ্যান্ডেল করার জন্য আটারিতে ১২০ একর জমিতে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে আধুনিক সুসংহত চেকপোস্ট৷ যাত্রি ও মালের জন্য থাকছে পৃথক টার্মিনাল৷ এই চেকপোস্ট অমৃতসর থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং লাহোর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে৷ আটারি-ওয়াগা চেকপোস্ট বসেছে দু'দেশের জিরো লাইন থেকে ৩০০ মিটার দূরে৷

অতিরিক্ত কী কী পণ্য আমদানি রপ্তানি করা যাবে তার নিয়মবিধি স্থির করতে আগামী মাসে পাকিস্তান যাচ্ছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী৷ সঙ্গে যাচ্ছেন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল৷ প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিতে জিনিসপত্রের দাম কমতে পারে৷ উপকৃত হবে উভয়দেশ৷ ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, অচিরেই দু'দেশের মধ্যে শুরু হবে কন্টেনার সার্ভিস৷ সীমান্তে খোলা হবে দু'দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা৷

স্থলসীমা বাণিজ্যে নিয়মবিধির জটিলতা কাটাতে এ মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সই হয় তিনটি চুক্তি৷ চুক্তি বাস্তবায়নের অবস্থা খতিয়ে দেখতে আগামী বছরে দিল্লিতে বসবে পরবর্তি বৈঠক৷ ভারত বাণিজ্য বহির্ভূত বিধিনিষেধ শিথিল করতে সম্মত হয়েছে৷ তবে এই চুক্তি বাস্তবায়নের আসল বোনাস হলো দু'দেশের মধ্যে মৈত্রী ও সদ্ভাব৷ ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়লে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ৷ পাকিস্তানের বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য ভারতে বিনিয়োগের দরজা যাবে খুলে৷

ভারত থেকে পাকিস্তান প্রথমত আমদানি করবে বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস এবং ভারি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম৷ বলা বাহুল্য, ভারতের সহযোগিতায় তারা স্থাপন করতে চায় ৫০০ থেকে ২০০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র৷ এছাড়া পাকিস্তান রেলওয়েজের আশু প্রয়োজন পূরণে ভারত ১০০টি রেল ইঞ্জিন বিক্রি করতে পারে বলেও খবর৷

ভারত-পাক বাণিজ্য মহল সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, দু'দেশের বৈরিতার অবসানে এটা একটা বিরাট সাফল্য৷ উভয় দেশই এতে উপকৃত হবে৷ উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সাফটার অধীনে ভারত স্পর্শকাতর নেগেটিভ তালিকা ৩০ শতাংশ হ্রাস করতে সম্মত হয়েছে৷ এ বছরের শেষে বাস্তবায়িত হবে সাফটা৷ এপ্রিলে তা নামিয়ে আনা হবে ১০০'তে৷ পাকিস্তানও অনুরূপ পদক্ষেপ নেবে ধারাবাহিকভাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ