এই দু'দেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তাই তার নড়চড় হবে না৷ প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ‘মন কি বাত' বেতার ভাষণে এই মর্মেই বাংলাদেশকে বন্ধুত্বের জোরালো বার্তা দেন৷ শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের মুখে যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ৷
বিজ্ঞাপন
সব সংশয় ও দোলাচল কাটিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি আসছেন আগামী ৭ই এপ্রিল৷ গত রবিবার মাসিক ‘মন কি বাত' বা ‘মনের কথা' শীর্ষক বেতার ভাষণে বাংলাদেশের ৪৬তম স্বাধীনতা দিবসকে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক জয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভারত চিরদিনই বাংলাদেশের এক শক্তিশালী সহযোগী দেশ হয়ে থাকবে৷ শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে ভারত৷
বলা বাহুল্য, শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের ঠিক মুখে বন্ধুত্বের এই জোরাল বার্তা দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দিল্লির কূটনৈতিক মহল৷ এ সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নব মূল্যায়ন ঘটতে পারে বলে ধারণা তাঁদের৷ শুধু তাই নয়, এতে করে পারস্পরিক দেোয়া-নেওয়ার একটা রোডম্যাপ তৈরি হতে পারে বলে আশা৷ আর সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রকে কূটনৈতিক আদান-প্রদান চলেছে লাগাতার৷
তাঁরা এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক
৬৮ বছর পর বাংলাদেশের কিছু জায়গা সত্যি সত্যি বাংলাদেশের হলো৷ ভারতের ভেতরের কিছু জায়গাও হয়েছে ‘ভারত’৷ প্রায় সাত দশক রাষ্ট্র পরিচয়হীন থাকা ছিটমহলবাসীদের অবশেষে নাগরিক হয়ে ওঠার আনন্দ নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Press/S. Islam
উড়ল পতাকা
২০১৫ সালের ১ আগস্টের প্রারম্ভেই ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের মানচিত্রের অংশ হয়ে গেল৷ দিনটিকে উৎসবের আনন্দে উদযাপন করা হয়৷ বাংলাদেশের অংশে ওড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আর ভারতে ওড়ানো হয় ভারতীয় পতাকা৷ ছবিতে কুড়িগ্রামের দাশিয়ারছরা উপজেলায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়াচ্ছেন উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ (মাথায় সাদা টুপি)৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
স্মরণীয় মুহূর্ত
জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পর শুরু হয় অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা৷ কুড়িগ্রামের দাশিয়াছরার এ নারী জীবনে এই প্রথম উপলব্ধি করলেন স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হওয়ার আনন্দ৷ মোমবাতি জ্বালিয়ে উদযাপন করা মুহূর্তটি নিশ্চয়ই তাঁর জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
আগুনের পরশ
বাংলাদেশের পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নিলফামারী – এই চার জেলায় ভারতের ১৭ হাজার ১৬০ একর আয়তনের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতে বাংলাদেশের ৭ হাজার ১১০ একর আয়তনের ৫১টি ছিটমহলের ৫১ হাজার ৫৪৯ মানুষ এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক৷ দাশিয়াছরায় আগুন জ্বালিয়ে মুহূর্তটি উদযাপন করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Press/S. Islam
পঞ্চগড়ে উৎসব
৬৮ বছরের অবর্ণনীয় কষ্ট থেকে মুক্তির মুহূর্তে পঞ্চগড়ের ছিটমহলবাসীরাও হাতে তুলে নিয়েছিলেন প্রজ্বলিত মোমবাতি৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Press/S. Islam
বাড়ল নাগরিক
বাংলাদেশ ও ভারতের অংশের ১৬২টি ছিটমহলের ৫১ হাজার ৫৪৯ জন অধিবাসীর মধ্যে এতদিন ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন ‘ভারতীয়’ বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোতে এবং ১৪ হাজার ২১৫ জন ‘বাংলাদেশি’ ভারতের ছিটমহলগুলোতে বাস করেছেন৷ এ পর্যন্ত ৯৭৯ জন ভারতে চলে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে৷ তারপরও বাংলাদেশের আয়তন এবং জনসংখ্যা বেড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Press/S. Islam
‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’ এবং একটি প্রশ্ন
সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন নিঃসন্দেহে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন৷ তারপরও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পুরোপুরি ‘শান্তিময়’ হবে এমন নিশ্চয়তা কি আছে? ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা কি থামবে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে...৷
ছবি: Getty Images/G. Crouch
6 ছবি1 | 6
মোদী সরকার চায় এবারের দিল্লি সফরে শেখ হাসিনা সাফল্যের কিছু তোফা যেন সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন৷ অর্থাৎ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে সেটা যাতে শেখ হাসিনা কাজে লাগাতে পারেন৷ যদিও এই রোডম্যাপের প্রধান কাঁটা তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি ইস্যু৷ সেটা কি এই যাত্রায় চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে? প্রশ্ন সেটাই৷ অনেকে মনে করছেন, এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তাঁর অবস্থানে অনড়, তাতে চুক্তিতে শীলমোহর পড়ার বিষয়ে সংশয় রয়ে গেছে৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে পাশে না নিয়ে মোদী সরকার তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত করতে চলেছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সেটা কোনোমতেই ‘সেট' হতে দেবে না৷ গত সোমবার সংসদে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সতর্ক করে দেন, রাজ্যের স্বার্থ বিকিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে জলবণ্টন চুক্তি সামিল হওয়া সম্ভব নয়৷ সেই দেশ যত বড় বন্ধু দেশই হোক না কেন৷
তৃণমূল নেত্রীর মতে ১৯৯৬ সালের গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তির ফলে হলদিয়া বং ফরাক্কা বন্দরের নাব্যতা কমে গেছে৷ বড় বড় জাহাজ ঢুকতে পারছে না৷ শুখা মরশুমে, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নানা দিক থেকেই এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ মোদীর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তর্জন-গর্জনে সমানে চলেছে, যদিও নোট বদল কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর আক্রমণে মোদী সরকারের গায়ে আচঁড়টি পর্যন্ত লাগেনি৷
মোদী সরকার আর কী কী তুলে দিতে পারেন ঢাকাকে? জল বিবাদ দু'দেশের প্রধান সমস্যা৷ এই প্রসঙ্গে সমুদ্র বিজ্ঞানী সুগত হাজরা ডয়চে ভেলেকে গঙ্গার ভাঁটির দিকে গঙ্গা বেসিন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলেন৷ বলেন বেসিনের ভাটির দিকে যেখানে উভয় দেশের সমস্যাগুলি অভিন্ন, সেখানে বেসিন-ভিত্তিক যৌথ ম্যানেজমেন্ট গড়ে তোলার কথা৷ তাঁর মতে, এতে সুন্দরবন এলাকার বিকাশ ত্বরান্বিত হবে৷ তিস্তা, গঙ্গার বিকল্প হিসেবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আরও যে ৫৪টি অভিন্ন নদী আছে৷ সেইসব নদীর জলের ভাগ বাঁটোয়ারায় সহমত গড়ে তোলা৷ ভারতের সীমান্ত সড়ক পথে বাংলাদেশি পণ্য চলাচলের সুবিধা, বাংলাদেশকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করাসহ অবকাঠামো গড়ে তোলা, সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা বাড়ানো, ঢাকা-কলকাতার মধ্যে যাতায়াতকারী মৈত্রি এক্সপ্রেসকে বাতানুকুল করা ইত্যাদি৷ মোটকথা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে স্রেফ তিস্তা চুক্তির ওপর নির্ভরশীল না হয়৷
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে ঢাকার আন্তরিকতায় ঘাটতি নেই৷ তা সে জঙ্গি দমন হোক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা হোক বা সাংস্কৃতিক৷ সাম্প্রতিককালে ভারতকে যেটা সবথেকে বেশি ভাবিয়ে তুলেছে, সেটা হলো চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের মাখামাখি, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে৷ বেইজিং দু'টি সাবমেরিন দিচ্ছে ঢাকাকে, মাত্র ২১ কোটি ডলার৷ প্রথমটি ইতিমধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে আর পরেরটিও সরবরাহের মুখে৷ শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকীকরণেও প্রধান ভূমিকা নিতে চলেছে বেইজিং৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখার এটা কৌশলগত অভিসন্ধি চীনের৷ অথচ ভৌগলিক দিক থেকে বাংলাদেশের তিন দিক ভারতের সঙ্গে সংলগ্ন৷ জলপথেও বাংলাদেশের বিপদের কোনো আশঙ্কা নেই৷ কাজেই সাবমেরিন কেনার খুব একটা যুক্তি নেই৷ দ্বিতীয়ত এর ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে একটা অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করা৷ তৃতীয়ত, দক্ষিণ এশিয়ায় চীন তার আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া৷ চীন-পাকিস্তান বাণিজ্যিক করিডর তার অন্যতম নজির৷
কয়েক মাস আগে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকর ঢাকায় যান৷ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভারতের দিক থেকে বিষয়টির সংবেদনশীলতার প্রতি হাসিনা সরকারের৷ দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন৷ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে ভারতের আগ্রহের কথা জানান৷ এ জন্য উদার শর্তে ঋণ দিতে রাজি দিল্লি৷ শেখ হাসিনার দিল্লি আসার আগে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার খুঁটিনাটি বিষয়ের ‘ফিনিশিং-টাচ' দিতে ভারতের সেনাপ্রধান হরিশ রাওয়াত ঢাকা যাচ্ছেন আগামী বৃহস্পতিবার৷
কী মনে হয় বন্ধু, তিস্তা চুক্তি কি শেষ পর্যন্ত হবে? আপনার মতামত লিখুন নীচের ঘরে৷
বেশি বেতন পাওয়া সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা
কোন দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান সবচেয়ে বেশি বেতন পান? ছবিঘরে দেখুন তেমন কয়েকজনের বাৎসরিক বেতনের তালিকা৷
ছবি: Reuters
সিংগাপুরের প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন পান সিংগাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং৷ তার বাৎসরিক বেতন ১৬ লাখ দশ হাজার ডলার৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Rahman
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পান হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী কেরি লাম৷ তার বাৎসরিক বেতন পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার চারশ’ ডলার৷
তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি৷ তার বাৎসরিক বেতন চার লাখ ৮২ হাজার নয়শ’ ৫৮ ডলার৷
ছবি: picture-alliance/robertharding
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
বেশি বেতন পাওয়াদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ জো বাইডেনের বাৎসরিক বেতন চার লাখ ডলার৷
ছবি: Evan Vucci/AP/picture alliance
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন৷ তার বাৎসরিক বেতন তিন লাখ ৭৮ হাজার চারশ’ ১৫ ডলার৷
ছবি: Sam Mooy/Getty Images
জার্মান চ্যান্সেলর
জার্মান চ্যান্সেলরের বাৎসরিক বেতন তিন লাখ ৬৯ হাজার ৭২৭ ডলার৷
ছবি: Clemens Bilan/Getty Images
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্নের বাৎসরিক বেতন তিন লাখ ৩৯ হাজার আটশ’ ৬২ ডলার৷ বেশি বেতন পাওয়া রাষ্ট্র প্রধানদের তালিকায় আট নাম্বারে আছেন তিনি৷
ছবি: Mark Mitchell/New Zealand Herald via AP/picture alliance
মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট
আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট বেশি বেতন পাওয়াদের তালিকার নয় নাম্বার স্থানে আছেন৷ তার বাৎসরিক বেতন তিন লাখ ৩০ হাজার ডলার৷ দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হলেন মোহামেদ ঔল্ড গাজুয়ানি৷
ছবি: Reuters/R. Duvignau
লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী
তালিকার দশ নাম্বারে আছেন ইউরোপের ছোট্ট, ধনী দেশ লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী৷ দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হলেন জাভিয়ার বেটেল৷ তার বাৎসরিক বেতন দুই লাখ ৭৮ হাজার ৩৫ ডলার৷
ছবি: Reuters/Y. Herman
নরেন্দ্র মোদী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বছরে ৩০ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার বেতন পান৷ দেশটির হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা জানায়, করোনার মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে নিজের বেতন শতকরা ৩০ ভাগ কমিয়েছেন মোদী৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Rahman
শেখ হাসিনা
২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা করা হয়৷ মে মাসে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়৷ বেতন বাড়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বছরে মোট বেতন দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা বা ১৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার৷