1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-বাংলাদেশ

৭ মে ২০১২

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শদাতা কমিশনের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্তরে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে কতটা কাজ এগিয়েছে তা পর্যালোচনা করা হয়৷ তিস্তার জলবণ্টন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অনুপ্রবেশকারীদের প্রত্যর্পণ ও ব্যবসা বাণিজ্য ছিল বিষয়৷

ছবি: AP

ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্তরে যেসব সমঝোতা চুক্তি হয়েছে, সেই অনুসারে কাজ কতটা এগিয়েছে তা পর্যালোচনা করতে আজ বসে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শদাতা কমিশন জেসিসি-এর প্রথম বৈঠক৷ বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি৷

ওঠে চুক্তিগুলির বিভিন্ন ইস্যু৷ যেমন, তিস্তা নদীর জলবণ্টন, সীমান্ত নিরাপত্তা, অনুপ্রবেশকারীদের প্রত্যর্পণ, ব্যবসা বাণিজ্য, দুদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি৷ তবে তিস্তার জল বণ্টন উভয়পক্ষের কাছেই এক স্পর্শকাতর বিষয়৷ বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণার মন্তব্য, জল একটা অত্যাবশ্যক ইস্যু৷ কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গেই পরামর্শ করে চলতে হয়৷ বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কে ভারতের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ৷ আস্থা, সমঝোতা ও মৈত্রীর পরিবেশে একে অপরের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দীপু মনি বললেন, জলবণ্টন নিয়ে কথা হয়েছে৷ তিস্তা চুক্তি তাড়াতাড়ি রূপায়িত করতে ভারতকে অনুরোধ করা হয় এবং ভারতের তরফে রূপায়ণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার পুনরায় আশ্বাস দেয়া হয় ৷

এস.এম কৃষ্ণা বলেন, আন্ত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যকর হওয়ায় সীমান্ত অনুপ্রবেশের ঘটনা কমেছে৷ টিপাইমুখ প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, যৌথ নদী কমিশনের অধীনে একটি সাব-গ্রুপ গঠন করা হবে৷ এই গ্রুপ প্রকল্পের সব দিক খতিয়ে দেখবেন, যার মধ্যে থাকবে টিপাইমুখ প্রকল্পে দুদেশের যৌথ অংশগ্রহণের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব৷

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দীপু মনি আজ সন্ধ্যায় নতুন দিল্লিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতবার্ষিকী জন্মজয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন৷ ভারত-বাংলাদেশ দু দেশেই গত এক বছর ধরে কবিগুরুর জন্মের সার্ধ শতবর্ষ পালন করা হয়৷ রবিবার ঢাকায় সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ