ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৫টি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিন্ন সীমান্ত দিয়ে যেভাবে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ বাড়ছে, তার মোকাবিলায় ‘বর্ডার প্রোটেকশন গ্রিড' গঠনের কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক করেন৷ বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে পাঁচটি রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে, সেখান দিয়েই কার্যত চলছে অবাধে চোরাচালান, রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, গবাদি পশু পাচার, জাল নোটের আনাগোনা, এমনকি জঙ্গি অনুপ্রবেশের মতো ঘটনাও৷ এ সব যেন সেসব এলাকায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বলা বাহুল্য, ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী বিএসএফ-এর চোখ এড়িয়ে৷ যদিও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর কর্তাব্যক্তি কে. কে. শর্মা এ কথা অস্বীকার করে বলেন, তাঁর বাহিনী সদা সতর্ক৷ গত মাসেই ৮৭ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ে, যার মধ্যে ৭৬ জনকে ফেরত পাঠানো হয়৷
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে স্থির হয়, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গড়ে তোলা হবে রাজ্যগুলির সঙ্গে বিএসএফ, গোয়েন্দা বিভাগসহ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সুষ্ঠু সমন্বয়৷ বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সমন্বয়ের ভিত্তিতে সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে গঠন করা হবে ‘বর্ডার প্রোটেকশন গ্রিড' বা বিপিজি, যাতে সীমান্ত নিরাপত্তায় কোনো ফাঁক না থাকে৷ তিনি বলেন, বর্ডার প্রোটেকশন গ্রিড-এর কাজকর্ম ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য রাজ্যস্তরে গঠন করা হবে ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি'৷ তাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্য সচিবরা ছাড়াও থাকবেন কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা৷
ভারতের সিদ্ধান্তে সমস্যায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মানুষ যেন গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয় সেজন্য ভারত থেকে বাংলাদেশ গরু পাচার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
ছবি: S. Rahman/Getty Images
সীমান্তরক্ষীদের নতুন দায়িত্ব
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ২,২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত পাহারা দেয়ায় নিয়োজিত প্রায় ৩০ হাজার ভারতীয় সৈন্যকে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ সেটা হলো, ভারতীয় গরু যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশে পৌঁছতে না পারে৷ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএসএফ সদস্যদের এই নির্দেশ দেন যেন ‘বাংলাদেশের মানুষ গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয়’৷
ছবি: Str/AFP/Getty Images
গরু পবিত্র
হিন্দুদের কাছে গরু একটি পবিত্র প্রাণী৷ তাই ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করতে চায়৷ রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবক সংঘ আরএসএস এর পশ্চিমবঙ্গের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘গরু জবাই কিংবা চোরাই পথে চালান, আর হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ করা বা হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা একই কথা৷’’
ছবি: Shaikh Azizur Rahman.
চার যুগের ইতিহাস
ভারত থেকে চোরাই পথে আসা গরুই এতদিন বাংলাদেশের মানুষের মাংসের প্রধান উৎস ছিল৷ গত চার দশক ধরে সেটা হয়ে আসছে৷ এর সঙ্গে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য জড়িয়ে আছে৷
ছবি: Shaikh Azizur Rahman.
দাম বেড়ে গেছে
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গরুর মাংস রপ্তানিকারক বেঙ্গল মিট এর সৈয়দ হাসান হাবিব গত জুলাই মাসে রয়টার্সকে জানান, ভারতের এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তাঁর কোম্পানির মাংস রপ্তানি প্রায় ৭৫ শতাংশ কমে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/Asia News Network/Jofelle P. Tesorio
চাকরি হারিয়েছে প্রায় ৪,০০০
বাংলাদেশ ট্যানারস অ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট শাহীন আহমেদ জানিয়েছেন, জুন পর্যন্ত চামড়া শিল্পে কর্মরত প্রায় চার হাজার কর্মীর চাকরি গেছে৷ আর ১৯০টি ট্যানারির মধ্যে ৩০টি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে৷
ছবি: Shaikh Azizur Rahman
ভারতীয় গরুর মাংস ভালো
বেঙ্গল মিট এর সৈয়দ হাসান হাবিব বলেন, তিনি এখন নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার থেকে মাংস আমদানির চিন্তা করছেন৷ কিন্তু ভারতীয় মাংস ও চামড়ার মান ভালো বলে জানান তিনি৷ উল্লেখ্য, ভারত গরুর মাংসের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক৷
ছবি: AFP/Getty Images
ভারতের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন মাংসের জন্য বাংলাদেশকে নতুন উৎস খুঁজে বের করতে হবে কেননা ভারত তার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে৷
ছবি: S. Rahman/Getty Images
7 ছবি1 | 7
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল এবং মিজোরামের মুখ্য়মন্ত্রী লালথানওয়ালা৷ ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীরা অবশ্য অনুপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়া বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান এবং বিএসএফ-এর মহাঅধিকর্তা৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর কথায়, ভারতের পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তেরদৈর্ঘ্য ৪০৯৬ কিলোমিটার৷ এর মধ্যে ৩০০৬ কিলোমিটারে রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া৷ বাকি ১০৯০ কিলোমিটারের মধ্যে ৪০৬ কিলোমিটার ভৌগলিক কারণে বেড়া দেওয়া সম্ভব নয়৷ ঐ অংশে নজরদারির জন্য সেন্সরের মতো বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে৷ সীমান্ত চৌকি এবং আউটপোস্ট আরও বাড়ানো দরকার, যেহেতু অনুপ্রবেশ আটকানো সহজ নয়৷ তার ওপর একবার এ দেশে ঢুকে পড়লে তাদের ফেরত পাঠানোও সহজ নয়৷ তাই যাতে ঢুকতে না পারে তার জন্য সব ফাঁকফোকর আগে বন্ধ করা জরুরি৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ন্ত্রী মনে করে, জঙ্গি কার্যকলাপ এবং চোরাচালান প্রতিরোধে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থা আরও সুষ্ঠু হওয়া দরকার৷ তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সিংহভাগ, অর্থাৎ ২২১৭ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গে৷ তাই দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্যগুলিকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি৷ সীমান্ত চৌকি নির্মাণে জমি সমস্যার কথা উঠলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানান, সীমান্ত চৌকি বা আউটপোস্ট তৈরির জন্য গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জোর করে জমি নেবার পক্ষপাতি নন তিনি৷ নিতে গেলে তাঁদের বুঝিয়ে-সুঝিয়েই নিতে হবে৷ আর রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিচার-বিবেচনার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷
‘‘এর জন্য একটা ‘সিকিউরিটি পলিসি' দরকার৷ পাশাপাশি দরকার সীমান্ত ‘প্ল্যানিং'’
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে রাজ্য সরকারেরপ্রত্যক্ষ সহযোগিতা কতটা জরুরি জানতে চাইলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, প্রাথমিকভাবে ভারতের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় পড়ে৷ এর জন্য একটা ‘সিকিউরিটি পলিসি' দরকার৷ পাশাপাশি দরকার সীমান্ত ‘প্ল্যানিং'৷ যেসব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মৈত্রী সম্পর্ক আছে, সেখানে বিকল্প বৈধ উপায় বের করতে হবে৷ তাহলে চোরাচালান, জঙ্গিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব৷ এছাড়া সড়ক যোগাযোগ জোরদার করা এবং নজরদারি আরও বাড়ানো দরকার সন্দেহ নেই৷ তবেই এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব৷ দ্বিতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই৷ কেন্দ্রীয় সরকারকে তাই আঞ্চলিক স্তরের মধ্য দিয়েই যেতে হবে৷ সেক্ষেত্রে মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকারের উচিত সহযোগিতার হাত বাড়ানো৷ ভুলে গেলে চলবে না, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে জঙ্গি কার্যকলার দমনে বাংলাদেশ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিল৷''
অধ্যাপক লাহিড়ির মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত হাট বন্ধ করা যাবে না, বর্ডারও ‘সিল' করাও সম্ভব নয়৷ তবে দেশের বৃহত্তর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত এখনই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া৷ তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার যদি আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা না বোঝে, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের আপত্তি অগ্রাহ্য করার সাংবিধানিক ক্ষমতা কেন্দ্রের আছে৷''
বিশ্বের কয়েকটি বিপজ্জনক সীমান্ত
দুই দেশের মধ্যে সীমানা নিয়ে যুদ্ধ কিংবা উন্নত জীবনের আশায় এক দেশের নাগরিকের প্রতিবেশী দেশে যাওয়া – ইত্যাদি কারণে বিশ্বের কয়েকটি সীমান্ত বিপজ্জনক বলে পরিচিত৷ ছবিঘরে থাকছে সেগুলোর কথা৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত
এই সীমান্তের ৪০টি ‘স্পর্শকাতর’ অংশে ‘লেজার’-এর বেড়া দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারত৷ পাকিস্তান থেকে ভারতে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ এর ফলে বেড়ার সংস্পর্শে কিছু আসলে উচ্চস্বরে সাইরেন বেজে উঠবে৷ ২০১১ সালের জুনে ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮০০ মাইল দীর্ঘ এই সীমান্তে নিহত হয়েছে এক লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Arif Ali/AFP/Getty Images
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে ৪৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে৷ আহত হয়েছে ৭৩ জন৷ এছাড়া অপহরণ করা হয়েছে ৫৯ জনকে৷ কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত শিগগিরই বেড়া দেয়ার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান৷
ছবি: Str/AFP/Getty Images
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত
উন্নত জীবনের আশায় মেক্সিকো থেকে প্রতিবছর অনেক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেন৷ আর তা করতে গিয়ে প্রাণ যায় অনেকের৷ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, গত ১৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ৬,০০০ এর বেশি লোক নিহত হয়েছে৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Gordon Hyde
ভূমধ্যসাগর
যুদ্ধ আর সংঘাত এড়াতে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশ করছে৷ এদের একটি বড় অংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করে৷ এতে প্রাণ যায় অনেকের৷ জার্মান ম্যাগাজিন ‘ডেয়ার স্পিগেল’ গত অক্টোবরে এক প্রতিবেদনে ভূমধ্যসাগরকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত বলে আখ্যা দেয়৷ ২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগরে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩,৭৭০৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Palacios
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত
প্রায় দেড় হাজার মাইল দীর্ঘ ‘ডুরান্ড লাইন’ নামে পরিচিত সীমান্ত এখনও মেনে নেয়নি আফগানিস্তান৷ পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখা রাজ্যের পশতুন অধ্যুষিত এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে আফগানিস্তান৷ এই সীমান্তকে ঘিরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে৷
ছবি: Reuters
উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে সামরিক সজ্জায় সজ্জিত সীমান্ত বলা হয় একে৷ ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রায় দেড়শো মাইল দীর্ঘ এই সীমান্তের দুই পাশ থেকে সৈন্যদের সরিয়ে দেয়া হয়৷ তখন থেকেই দুই দেশের সৈন্যরা প্রায় আড়াই মাইল প্রশস্ত এই সীমান্তের দুই পাশে অবস্থান করছে৷