1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-ভিত্তিক ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১

ভারত-ভিত্তিক ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ এই সংগঠনটি সম্পর্কে গোটা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷

ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং’এর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনছবি: dapd

ভারত-ভিত্তিক ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ২০০৫ সাল থেকে কয়েকশো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে এরা৷সন্ত্রাসী হামলায় যাতে সবথেকে বেশি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয় তারজন্য তারা বেছে নেয় ভিড়ে ভরা বাজার ও বাণিজ্যিক এলাকা৷

ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন ভারত-ভিত্তিক হলেও পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈয়বা, জয়স-ই-মহম্মদ ও হরকত-উল-জিহাদ ইসলামি বা হুজির সঙ্গে এদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে৷ ভারতের জনগণই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রধান শিকার৷২০১০ সালে মহারাষ্ট্রের পুণেতে জার্মান বেকারিতে বোমা হামলায় মারা যায় ১৭জন, আহত হয় ৬০ জন৷ জার্মান বেকারিতে দেশিবিদেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে বেশি৷

মুম্বই সহ বিভিন্ন হামলার পেছনে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়ছবি: dapd

২০০৮ সালে দিল্লিতে অনুরূপ বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় ৩০জন, আহত ৭০জন৷ গুজরাটের আমেদাবাদ শহরের ভিড় সিটি সেন্টারে এবং স্থানীয় হাসপাতালে ধারাবাহিক ১৬টি বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারায় ৩৮জন আহত শতাধিক৷ ২০০৮ সালে মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় লস্কর-ই-তৈয়বাকে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন মদত দিয়েছিল বলে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের কাছে অকাট্য প্রমাণ আছে৷ ঐ হামলায় মারা যায় ১৬৩জন, তার মধ্যে ৬জন মার্কিন নাগরিক৷

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকে কালো তালিকাভুক্ত করার পেছনে শুধু পশ্চিমা দেশের স্বার্থই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী দেশ ভারতেরও স্বার্থ জড়িত৷ সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারত-মার্কিন সমন্বয় মজবুত করা হচ্ছে৷ ভারতের দরকার মত আরো গোয়েন্দা তথ্যউপাত্ত দিতে রাজি ওয়াশিংটন৷ পাশাপাশি আরো দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী ভারত বিরোধী সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালএবং শিখ ইউথ ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনালের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুধরণের পরিচিতির মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি পড়ে এফটিও বা অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইনের অধীনে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ