1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-মার্কিন সহযোগিতা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৮ আগস্ট ২০১৪

৭ই আগস্ট প্রথমবারের মতো তিনদিনের সফরে নতুন দিল্লিতে এলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল৷ মনমোহন সিং সরকারের আমলে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় ভাটা পড়েছিল৷ তা বিপরীতমুখী করাই হেগেলের এ সফরের প্রধান অ্যাজেন্ডা৷

Chuck Hagel US-Kongress in Washington 11.6.2014
চাক হেগেল (ফাইল ফটো)ছবি: Reuters

নতুন মোদী সরকারকে কাছে পেতে বিশেষ তৎপর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন৷ সপ্তাহ খানেক আগে দিল্লি ঘুরে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি৷ আর এবার এসেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল (বানাভেদে হাগেল)৷

মনমোহন সিং-এর কংগ্রেস-জোট সরকারের আমলে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নানা বাধা-বিপত্তিতে ভুগছিল৷ দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা একটা জায়গায় এসে আটকে ছিল৷ হেগেল সেটা সরিয়ে তাতে গতি আনার চেষ্টা করবেন৷ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলে দেবার পর, ভারতের প্রতিরক্ষা বাজারকে প্রধানত ‘পাখির চোখ' করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের প্রস্তাব নিয়ে তিনি আলোচনা বসবেন দিল্লির রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে৷

প্রতিরক্ষা সওদায় কী কী থাকতে পারে

২২টি আপাক জঙ্গি হেলিকপ্টার৷ ১৫টি ভারি ওজন বহনক্ষম চিনুক হেলিকপ্টার, সমুদ্র সীমার জন্য চারটি পি-৮১ নজরদারি বিমান৷ এ সবের মোট মূল্য ধরা হয়েছে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার৷ তবে ১৪৫টি খুব হাল্কা ওজনের এম-৭৭৭ হাউৎজার কামান কেনার চুক্তি আপাতত ঝুলে থাকবে বেশি দাম চাওয়ায়৷

মোদী সরকারকে কাছে পেতে তৎপর হয়ে উঠেছে ওবামা প্রশাসনছবি: Uni

ভারত মনে করে, এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধার্য প্রায় ৬৫ কোটি ডলার খুবই বেশি দাম৷ ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি গত মাসে সংসদে জানান যে, এম-৭৭৭ হাউৎজার কামানের বেশি দাম চাওয়ার জন্য তা আটকে আছে৷ যুক্তরাষ্ট্র দামের বিষয়ে নতুন কোনো প্রস্তাব দেয়নি৷ বিক্রেতা মার্কিন কোম্পানিগুলির কাছ থেকেও নতুন করে সাড়া পাওয়া যায়নি৷ অতি হাল্কা হাউৎজার কামান ছাড়া অন্যগুলি কেনার সবুজ সংকেত দিতে বসেছিল প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহণ বোর্ডের বৈঠক৷ অত্যাধুনিক ‘জ্যাভেলিন' ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্র কেনার চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি৷ উল্লেখ্য, ভারতের সমরাস্ত্র জোগানদার প্রধান দেশ হলো রাশিয়া, ইসরায়েল ও ফ্রান্স৷ এখন সেই বাজারে ভাগ বসাতে যুক্তরাষ্ট্র মরিয়া৷

প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে হেগেলের বৈঠক

বৈঠকে তিনি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় নতুন মাত্রা দেবার বার্তা দেবেন বলে মনে করেন দিল্লির প্রতিরক্ষা মহল৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র হবে একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দু'দেশের অভিন্ন স্বার্থ জড়িত৷ সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করবেন হেগেল৷

এক্ষেত্রে রয়েছে প্রচুর সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ৷ যেমন যৌথ সামরিক মহড়া, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য৷ শুধু সমরাস্র বিক্রি নয়, ভারতে তার যৌথ উৎপাদন ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়টিও এই সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হবে৷ আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ওয়াশিংটনে মোদী-ওবামা শীর্ষ বৈঠকের অ্যাজেন্ডা ওপরের দিকে স্থান পাবে দু'দেশের প্রতিরক্ষা সহয়োগিতা৷ শুধু প্রতিরক্ষা নয়, সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যকলাপ দমনে গোয়েন্দা তথ্যাদি দিয়েও সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র৷ ৮ই আগস্ট শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগেলের বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রী মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে৷

প্রসঙ্গত, হেগেলের সঙ্গে ভারতে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা দপ্তরের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুনীত তলওয়ার৷ দিল্লির রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোরদার হয়ে উঠছে দেখে চীনের কপালে পড়েছে ভাঁজ৷ তারা নজর রাখছে সামরিক সহযোগিতার দিকে৷ আর আগামী মাসে দিল্লি আসছেন চীনা প্রেসিডেন্ট৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ