পাক-ভারত সম্পর্ক
২ এপ্রিল ২০১২১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তিন দফা যুদ্ধ করেছে ভারত ও পাকিস্তান৷ রয়েছে ভারতে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা জঙ্গি সংগঠনের ইন্ধনের অভিযোগ৷ আবার কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে টানাপোড়েন৷ এছাড়া নতুন নতুন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষার মাধ্যমে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শক্তির মহড়া প্রদর্শন৷ আবার আফগানিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন ও নিজেদের প্রভাব বজায় রাখা নিয়ে রয়েছে দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা৷ তবে এসব কিছুর পরও সম্প্রতি দেখা গেছে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা মূলক সম্পর্ক বৃদ্ধির কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত৷
গত বছরের শেষ দিক থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কিছুটা বরফ গলতে শুরু করে৷ ইতিমধ্যে মুম্বই হামলার সাথে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দেখা গেছে দেশ দু'টির মধ্যে৷ ভারতের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনালের খেলা দেখেছেন ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে ড. সিং এবং ইউসুফ রাজা গিলানি পাশাপাশি বসে৷ এছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তান ঘোষণা দিয়েছে যে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভারতীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করবে ইসলামাবাদ৷
যাহোক পাকিস্তান ও ভারতের মধ্য সম্পর্ক উন্নয়নে উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও৷ কারণ ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা এবং পুনর্গঠনের জন্যও দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের উদ্যোগ প্রয়োজন৷ তাই আগামী ৮ই এপ্রিল পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ভারত সফরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলে এ সফরকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা৷
প্রেসিডেন্ট জারদারির মুখপাত্র ফারহাতুল্লাহ বাবর জানিয়েছেন, ভারতের আজমির শরিফে সুফি দরবেশ হযরত খাজা গরিব নওয়াজের কবরস্থান পরিদর্শন করবেন প্রেসিডেন্ট জারদারি৷ এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি৷ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল বাসিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘এ সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই/এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ