ভার্চুয়াল রিয়ালিটির সহায়তায় আজকাল অনেক কিছু করা হচ্ছে৷ নতুন প্রজন্মের কাছে এই প্রযুক্তি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ তাই প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীর প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়াতে এর সাহায্য নেয়া হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
বার্লিনের ইন্টাব়্যাকটিভ মিডিয়া ফাউন্ডেশনে কাজ করা ইনা ক্রুগার ও তার সহকর্মীরা একটি ইন্সটলেশন বানিয়েছেন৷ এতে তারা অ্যামাজনের টুমুকুমাকে জাতীয় উদ্যানের ৪০০ হেক্টর এলাকা তৈরি করেছেন৷ প্রায় সাড়ে সাত হাজার গাছ এঁকে প্রোগ্রাম করা হয়েছে৷ সময় লেগেছে এক বছরের বেশি৷ বিশ্বের বিভিন্ন মিউজিয়ামে ইন্সটলেশনটি এখন দেখানো হচ্ছে৷ এটি দিয়ে পাঁচটি প্রাণীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া যায়৷
ইনসাইড টুমুকুমাকে প্রকল্পের ক্রিয়েটিভ ডাইরেক্টর ইনা ক্রুগার বলছেন, ‘‘আমরা মানুষকে এমন অভিজ্ঞতা দিতে চেয়েছি, যার মাধ্যমে তারা ঐ প্রাণীদের সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য জানতে পারবেন৷ এভাবে ঐ প্রাণীদের প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরি হবে৷... আমরা সফল হচ্ছি৷ কারণ, অনেক মানুষ আমাদের কাছে জানতে চাইছেন: ‘পয়জন ডার্ট ফ্রগ' কি সত্যিই সন্ধ্যাবেলায় ওমন অদ্ভুত রং দেখতে পায়? আপনারা কীভাবে জানেন, কীভাবে আমরা এ সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে পারি?’’
ব্যাঙ হয়ে অ্যামাজনে ঘুরতে কেমন লাগে?
04:06
জীববিজ্ঞানী ইয়ানা হফমান শুরুতে এই ইনস্টলেশনে কিছু ভুল পেয়েছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘শুরুতে আমরা যখন ঐ দ্বীপের প্রোটোটাইপ দেখেছিলাম, তখন দেখলাম সেখানে এমন কিছু গাছ দেখানো হয়েছে যা দক্ষিণ অ্যামেরিকায় নেই৷ আর অ্যামাজনেতো নয়ই৷’’
নতুন প্রজন্মের দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহারের গুরুত্ব আছে বলে মনে করে বার্লিনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ৷ তাই সম্প্রতি তারা তাদের প্রদর্শিত ৩০ মিলিয়ন অবজেক্ট ডিজিটালাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে৷ এজন্য কিছু অবজেক্টের ছবি তোলা হচ্ছে৷
আর বাকিগুলো স্ক্যান করা হচ্ছে৷ এতে পোকামাকড়ের জন্য তৈরি বিশ্বের প্রথম থ্রিডি স্ক্যানার ব্যবহৃত হচ্ছে৷
বিজ্ঞানীদের জন্য তো বটেই, দর্শকদের জন্যও এ এক দারুণ খবর৷
ইয়ানা হফমান বলেন, ‘‘বিশেষ করে স্কুল শিক্ষার্থীরা এই ডিজিটাল প্রদর্শনী পছন্দ করছে৷ স্থানীয় ফ্লোরা, ফনা তুলে ধরতে আমরা নিজেরাও এডুকেশনাল অ্যাপ তৈরি করছি৷ ডিজিটাল ফরমেট দিয়ে আমরা পরের প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি৷ ফলে তরুণদের কাছে অনেক বিষয় আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে৷
মিউজিয়ামের অবজেক্ট ডিজিটালাইজ করেই হোক কিংবা ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হার্পি ঈগলের সঙ্গে অ্যামাজনে উড়ে বেড়ানোর মতো নতুন অভিজ্ঞতা- উদ্দেশ্য একটাই, বন্যপ্রাণীদের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো৷
ইউলিয়া হেনরিশমান/জেডএইচ
ব্রাজিল গেলে যেসব জায়গায় অবশ্যই যাবেন
অলিম্পিক হোক কিংবা বিশ্বকাপ, ব্রাজিলে যে-কোনো আয়োজনে বিপুল পরিমাণ দর্শক ও পর্যটকের সমাগম ঘটে৷ ব্রাজিল ভ্রমণ করলে কোন জায়গাগুলোতে অবশ্যই যাবেন দেখে নিন ছবিঘরে৷
খুব সুন্দর দুটি সৈকত রয়েছে এই শহরে- কোপাকাবানা এবং ইপানিমা৷ এই দুটো সৈকত পর্যটকদের যেন চুম্বকের মত আকর্ষণ করে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. J. Phillip
গুয়ানাবারা সৈকতে সূর্যাস্ত
রিও’র বিভিন্ন দ্বীপ থেকে সূর্যাস্ত দেখতে অপূর্ব লাগে৷ এখানে রিও’র বিখ্যাত সুগার লোফ পর্বত দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/C. Wallberg
সুগার লোফ পর্বতে কেবল কারে ভ্রমণ
রিও পুরোটাই অসম্ভব সুন্দর৷ সুগার লোফ পর্বতের ভিস্তা এমনই এক জায়গা, যা আপনার অবশ্যই দেখা উচিত৷ ৩৯৫ ফিট উপরে উঠা যায় কেবল কারের সাহায্যে৷ আর সেখান থেকে যে দৃশ্য দেখা যায় সেটা অকল্পনীয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB/D. Gammert
‘ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার’
‘ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার’ সুগার লোফ পর্বত থেকে এই ভাস্কর্যটি খুব সুন্দরভাবে দেখা যায়৷ ভাস্কর্যটি ৩০ মিটার লম্বা এবং ওজন ১,১৪৫ টন৷
ছবি: picture-alliance/ZB/D. Gammert
রিও’র অন্যরূপ- ফাভেলা
রিও’তে ৬০ লাখ মানুষের বাস৷ এর মধ্যে প্রতি পাঁচজনের একজন থাকে এই ফাভেলায়, অর্থাৎ বস্তিতে৷ পাহাড়ি এলাকায় এমন শত শত কুঁড়েঘর দেখতে পাওয়া যায়৷ তবে এসব দেখতে হলে আপনাকে স্থানীয় মানুষের সাহায্য নিতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
কার্নিভাল
ব্রাজিলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হলো কার্নিভাল৷ প্রতিটি রাস্তায় প্যারেড চলতে থাকে, আর নামে পর্যটকের ঢল৷ আর রিও’তে হয় প্যারেড প্রতিযোগিতা৷
রিও যাওয়ার সুযোগ হলে এই জলপ্রপাত দেখার সুযোগ কারো হাতছাড়া করা উচিত নয়৷ আর্জেন্টিনা সীমান্তের কাছে এই জলপ্রপাতটি বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি৷ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে এটি৷
ছবি: picture-alliance/L. Avers
লেনকোয়েস মারানিয়েসি জাতীয় উদ্যান
বালি আর সুপেয় পানির অদ্ভুত এক মিলনক্ষেত্র এটি৷ ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের ১৫৫০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে এর অবস্থান৷ ১৯৮১ সালে এটিকে জাতীয় উদ্যান বানানো হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB/R. Hirschberger
অ্যামাজন নদী
অ্যামাজন নদীতে বিশ্বে যে-কোনো নদীর চেয়ে সবচেয়ে বেশি পানি রয়েছে৷ বিশ্বের বৃহত্তম রেইন ফরেস্টের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে এটি৷ তাই এখানে যেতে হলে হাতে প্রচুর সময় নিয়ে যেতে হবে৷ ট্যুর অপারেটরদের কাছে অনেক ধরনের প্যাকেজ আছে৷ চাইলে রাতেও সেখানে থাকতে পারেন৷