1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভালবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করা যায়: শাহ রুখ খান

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০

জার্মানিতে শাহ রুখ খানের জনপ্রিয়তা কীভাবে বেড়ে চলেছে, তার একটা ধারণা পাওয়া গেল এবারের বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি অনেক বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন৷

বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে কিং খানছবি: picture-alliance/ dpa

‘কভি খুশি কভি গম' চলচ্চিত্রটি যখন জার্মান ভাষায় ডাব করে এক জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হয়েছিল, তখন থেকেই জার্মানির বিনোদন জগতের মূল স্রোতে স্থান করে নিয়েছেন বলিউড তারকা শাহ রুখ খান৷ তাঁকে ঘিরে জার্মান স্বর্ণকেশী ও নীলনয়নাদের যে উচ্ছ্বাস, তা অন্য কোন বলিউড অভিনেতা – এমনকি অনেক হলিউড অভিনেতার ক্ষেত্রেও দেখা যায় না৷ জার্মানিতে কিং খানের এই জনপ্রিয়তা ও তাঁর সাম্প্রতিকতম ছবি ‘মাই নেম ইজ খান'কে ঘিরে বিতর্ক সহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন ডয়চে ভেলের মোনিকা জোন্স-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে৷

বার্লিনে ভক্তদের জোয়ারে শাহ রুখ খানছবি: picture-alliance/ dpa

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেন'এর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে ঘিরেই রচিত হয়েছে ‘মাই নেম ইজ খান' ছবির চিত্রনাট্য৷ শাহ রুখ জানালেন, তিনি ঘটনাচক্রে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কেই ছিলেন৷ টেলিভিশনের পর্দায় টুইন টাওয়ারের পরিণতি দেখে অনেকের মত তিনি নিজেও প্রথমে ঘটনার তাৎপর্য বুঝে উঠতে পারেন নি৷ ‘ইসলামি' সন্ত্রাসবাদীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, একথা জেনে মুসলিম হিসেবে শাহ রুখ খানের প্রতিক্রিয়া কী ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে কিং খানের জবাব অত্যন্ত স্পষ্ট: ‘‘চরমপন্থী শব্দটির সঙ্গে একটা তকমা জুড়ে দেওয়ার কোন অর্থ হয় না৷ ‘চরমপন্থী ইহুদি', ‘চরমপন্থী ইংরেজ' বা ‘চরমপন্থী হিন্দু' – বলে কিছু হয় না৷ কারণ চরমপন্থী শুধু চরমপন্থী৷'' কোন খারাপ বা ভাল কাজের সঙ্গেই এমন তকমা লাগানোর বিরোধী শাহ রুখ খান৷ ‘‘সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় সাধারণ মানুষ – যা মানবতার সম্পূর্ণ বিরোধী৷ মানবতা কখনো হত্যার অনুমতি দেয় না৷''

মুম্বইয়ে ‘মাই নেম ইজ খান' ছবির পোস্টারছবি: AP

‘মাই নেম ইজ খান'কে ঘিরে এমন বিতর্কের কোন প্রয়োজন ছিল না বলে মনে করেন শাহ রুখ খান৷ বিশেষ করে তাঁর কোন মন্তব্যের জন্য তাঁর অভিনীত কোন চলচ্চিত্রকে এভাবে জড়িয়ে ফেলা অনুচিত৷ ‘‘আমি মনে করি, যে কোন সমস্যাই শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেলা উচিত৷ এই ছবিতেও ঠিক সেই কথাই বলা হয়েছে৷ শান্তি, সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই তো আমরা বাঁচতে পারি৷ পরস্পরের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাব সৃষ্টি হওয়ার আগে প্রত্যেকেরই উচিত, নিজের অবস্থান অপর জনকে বুঝিয়ে বলা৷ নিরানব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে তখন ভুল বোঝাবুঝির কারণ দূর হয়ে যায়৷

জার্মানিতে বলিউড ছবির জনপ্রিয়তা সম্পর্কে শাহ রুখ খান বেশ সন্তুষ্ট হলেও তাঁর দুঃখ, ভারতে আরও কত অন্য ধারার ছবি তৈরি হয়, যা অজানাই থেকে যায়৷ ‘‘আসলে বলিউড ছবিতে নাচ-গান ও অন্যান্য যেসব উপাদান রয়েছে, তার থেকে অনেক উপরে রয়েছে ভালবাসা৷ ভালবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করা যায়৷''

ভাষান্তর: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ