1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘ভালোবাসা দিবসে যা করবেন’’

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

চলছে বইমেলা৷ আসছে বসন্ত উৎসব আর ভ্যালেন্টাইনস ডে৷ সব মিলিয়ে ঢাকা শহরের তরুণ-তরুণীদের জন্য আনন্দের খবর৷ ব্লগ আর ফেসবুকে সেই আমেজ পাওয়া যাচ্ছে এখনই৷

ছবি: Fotolia/TeresaYehPhotography

আমারব্লগে মাহবুবুল আলম ‘‘ভ্যালেন্টাইনস ডে এখন আমাদের জীবনেরও অনুষঙ্গ'' শিরোনামে দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন৷ সেখানে তিনি এই দিবসের ইতিহাস থেকে শুরু করে নানা বিষয় তুলে এনেছেন৷ তিনি মনে করেন, ভ্যালেন্টাইনস ডে এখন আর কেবল পশ্চিমা বিশ্বের কোনো সংস্কৃতি বা ঐতিহ্য নয়৷ এ দিবসটি এখন বাঙালি তথা বাংলাদেশের মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ৷ ‘‘...এর গুরুত্ব এখন আর আমাদের দেশের প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবব্ধ নেই, এটি এখন বিবাহিত প্রৌঢ়-যুবা-নবপরিণীতাদের কাছেও ঘটা করে পালনযোগ্য দিন হিসাবে গণ্য হওয়া শুরু হয়েছে৷... এখন রীতিমতো ক্যালেন্ডারে দাগ কেটে এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে মানুষ৷''

ছবি: picture-alliance/dpa

মাহবুবুল আলম বলছেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভালোবাসা দিবসের সময়টা একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে৷ কেননা এই দিবসটা এমন সময়ে পালিত হয় যখন বাংলাদেশে বসন্ত ঋতুর আগমন ঘটে৷ বসন্ত ঋতুর ক্ষণগণনা শুরু হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে, যার একদিন পর অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে৷ ‘‘একদিন আগে পরে এই দুইটি দিন উদযাপিত হওয়ায় আমাদের দেশের যুবক-যুবতীদের উৎসব সংস্কৃতিতে মহাউৎসবের রূপ পেয়েছে ভ্যালেন্টাইনস ডে৷ আর আমাদের দেশের রাজধানী ঢাকার যুবক-যুবতীদের কাছে এ দিনটি আরো উৎসবের আমেজ পায় চলমান অমর একুশের বইমেলার কারণে৷''

এই ব্লগার মনে করেন, মোবাইল ফোন বা অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে যোগাযোগের বিষয়টি সহজলভ্য হলেও পাল্টে যাচ্ছে ভালোবাসার ধরন ও সংজ্ঞা৷ ‘‘একদার পবিত্র ভালোবাসার ঘরে প্রবেশ করছে যৌনতা৷ প্রেমের বাজারে এখানে প্রতারণা হচ্ছে প্রতিনিয়তই৷ এক একজন প্রেম করছে একাধিক নারী-পুরুষের সাথে৷''

এদিকে সামহয়্যার ইন ব্লগে মঞ্জুর চৌধুরী ‘‘ভালোবাসা দিবসে অতি অবশ্যই যা করবেন'' শিরোনামে একটি পরামর্শমূলক পোস্ট দিয়েছেন৷ তিনি বলতে চেয়েছেন, সবার উচিত নিজেদের নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা৷ বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে তিনি বিষয়টা সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন৷ যেমন তিনি লিখেছেন, ‘‘...নারী পুরুষ দুই পক্ষেরই সৌন্দর্য্যের প্রতি আকর্ষণ থাকাটা একটি জন্মগত স্বভাব৷ খুবই স্বাভাবিক এবং তাতে কোনো দোষ নেই৷ ঠোঁটের উপর সুন্দরবন এবং কপালের উপর সাহারা মরুভূমির অধিকারী পুরুষ যেমন জীবনসঙ্গিনী হিসেবে ঐশ্বরিয়া রাইকে চায়, তেমনি মুখে বিশাল বিশাল আচিলওলা, মোটামুটি পর্বতাকার মেয়েটিও ঋত্বিক রোশানের স্ত্রী হতে চায়৷ সমস্যা ঘটে তখন, যখন বিয়ের পরেও তাদের এই আপশোস যেতে চায় না৷''

মঞ্জুর চৌধুরী মনে করেন, এটা ঠিক না৷ এমনটা ভাবতে গিয়ে সময় নষ্ট করার পর মানুষের এক সময় মনে হয়, ‘‘ইহা আমি কী করিলাম!'' তাই এই ব্লগারের পরামর্শ, ‘‘নিজের জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনীকে নিয়েই সুখী হবার চেষ্টা করুন৷ সুন্দরভাবে কথা বলুন, একসাথে হাসুন, ভাল কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যান; সবার উপরে.....ভালবাসুন! দুজনের আনন্দময় মুহূর্তের ছবি তুলে ফেসবুকে দিন! সুখী দম্পতি দেখতে সবারই ভাল লাগে৷ দেখুন কয়টা লাইক এবং কমেন্ট পান! কে বলতে পারে, আপনার কালো স্ত্রী অথবা ভুড়িওলা স্বামীর মাঝেই হয়তো এমন কোনো গুণ আছে যা শাহরুখ খানেরও নেই৷ জীবনানন্দ দাসকে মোটেও সুদর্শন ব্যক্তি বলা চলে না, অথচ তাঁর মতন রোমান্টিক কবিতা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও কী লিখতে পেরেছিলেন?''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ