1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ভালোবাসি, ভালোবাসি....এই সুরে কাছে-দূরে...’

দেবারতি গুহ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রবীন্দ্রনাথের এই গানটি শুনলেই যেন সৃষ্টি হয় ভালোবাসার মূর্ছনা৷ সেই মূর্ছনা, যার কারণে ১৪ই ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে বেশ ধুমধামের সঙ্গেই পালন করা হয় ‘ভালোবাসা দিবস’ বা ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’৷ প্রতিবছরই৷

Symbolbild Valentinstag in der Arabischen Welt SCHLECHTE QUALITÄT
ছবি: DW-Montage/picture-alliance/dpa

ভালোবাসা! পৃথিবীর সবাই ভালোবাসতে চায়, ভালোবাসা চায়৷ তাই স্নেহ-প্রীতি-বন্ধন, প্রেম আর ভালোবাসার জন্য কি বিশেষ কোনো দিনের দরকার! অথচ তারপরও, পৃথিবীর বহু প্রেমিক-প্রেমিকা পালন করে আসছে এ দিনটি৷ একে অন্যকে বলছে, ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে'৷ অবশ্য দিনটি আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবার হলেও, প্রধানত তারুণ্যের জয়জয়কারই সর্বত্র৷ আর সেজন্যই আজ হয়ত লজ্জা, সংকোচ আর ভীরুতা কাটিয়ে হৃদয়ের গহিনে অনেক দিনের সঞ্চিত বাক্য ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি' বলে ফেলতে পারেন কেউ কেউ৷ ভাসতে পারেন ভালোবাসার রঙে৷

বাণিজ্যিকভাবে ‘ভালোবাসা দিবস'-এর পালন আজ আর নতুন কিছু নয়ছবি: AP

ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ইতিহাস বেশ পুরনো৷ এ নিয়ে একাধিক গল্প থাকলেও, সবচেয়ে প্রচলিত গল্পটি হচ্ছে এরকম: সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজক ছিলেন৷ তিনি ধর্মযাজক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসকও৷ সে সময় রোমানদের সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় ক্লডিয়াস৷ হয়েছে কি, বিশ্বজয়ী রোমানরা একের পর এক রাষ্ট্র জয় করে চলেছে৷ আর যুদ্ধের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী সেনাবাহিনী৷ কিন্তু, সমস্যা দাঁড়ায় তরুণীদের নিয়ে৷ তাঁরা যে কিছুতেই তাঁদের পছন্দের পুরুষটিকে যুদ্ধে পাঠাতে চায় না৷ তখন সম্রাট ক্লডিয়াস মনে করলেন, পুরুষরা বিয়ে না করলেই বোধ হয় যুদ্ধে যেতে রাজি হবে৷

যেমন ভাবা, তেমন কাজ৷ বিয়ে নিষিদ্ধ করলেন সম্রাট৷ কিন্তু প্রেমপিয়াসী তারুণ্যকে কি নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ করা যায়! এগিয়ে এলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন৷ নিজেই প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীদের বিয়ের ব্যবস্থা করলেন৷ সে ব্যবস্থা অবশ্য বেশি দিন চললো না৷ ধরা পড়লেন ভ্যালেন্টাইন৷ তাঁকে জেলে পোরা হলো৷ কিন্তু, তখন দেখা দিল নতুন একটা সমস্যা৷ অনেকেই ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে কারাগারে যেতেন৷ দিয়ে আসতেন ফুলের শুভেচ্ছা৷ তাঁদের মধ্যে একটি অন্ধ মেয়েও ছিলন৷

শোনা যায়, সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নাকি তাঁর অন্ধত্ব দূর করেন৷ শুধু তাই নয়, মেয়েটির প্রেমে ধর্মযাজকের আইন ভেঙে তাঁকে বিয়েও করেন তিনি৷ তারপর আর কী? এহেন একটা খবর সম্রাটের কানে পৌঁছতেই তিনি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড দেন৷ ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে, প্রিয়াকে লেখা ভ্যালেন্টাইনের শেষ চিঠিতে ছিল – ‘লাভ ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন'৷

সেই দিনটিও ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি৷ ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে পোপ গেলাসিয়াস প্রথম এই দিনটিকে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে' হিসেবে ঘোষণা করেন৷ ১৭০০ শতাব্দীতে দিনটিকে জনপ্রিয়ভাবে পালন শুরু করে ব্রিটেন৷ শুরু হয় হাতে লেখা কার্ড অথবা উপহার বিনিময়৷ এরপর ১৮৪০ সালে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম ‘ভালোবাসা দিবস'-এর উপহার তৈরি শুরু করেন এস্থার এ হাওল্যান্ড৷ সেই থেকেই শুরু...৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ