ডাগ সুস হলিউডের সবচেয়ে নামকরা বেয়ার ট্রেনারদের একজন৷ বাস করেন তাঁর স্ত্রী লিন আর উভয়ের পোষা গ্রিজলি ভাল্লুকদের সঙ্গে৷ এক কোটির বেশি বার দেখা এই ভিডিওটিতে ডাগ খেলছেন একটি গ্রিজলির সঙ্গে৷
বিজ্ঞাপন
ফিল্মের শুটিংয়ের জন্যে যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জন্তুজানোয়ার সরবরাহ করেন, তাদের সাধারণত সেই ফিল্মে দেখা যায় না৷ ক্যামেরার সামনে থাকেন ফিল্মজগতের তারকা ও জীবজন্তুরা; ট্রেনারকে শুধু দেখতে হয়, জীবজন্তুরা যেন তাদের ‘পার্টটা' ঠিকমতো করে৷ সিন শেষ হলে পরিচালক ‘কাট' বললেই সবার ছুটি৷ তারপর ঐ অতিকায় গ্রিজলি ভাল্লুক আর তার ট্রেনার ডাগ সুস যে কী করেন অথবা না করেন, কে আর তা দেখতে যায়৷
বোধহয় সেই কারণেই বছর তিনেক আগে জেড সুসকে দিয়ে এই ভিডিওটি তুলিয়ে ইউটিউবে ছাড়েন ডাগ সুস৷ ভিডিওটি দেখার সময় দুটি বিষয় মনে রাখা দরকার, এক, ডাগ উচ্চতায় ছয় ফুট হলেও, তাঁর বয়স তখন ৭১; দুই, গ্রিজলি ভাল্লুকটির ওজন প্রায় ছ'শ কিলোগ্রাম! আরো মনে রাখা দরকার, এই জীবটি একটি কামড়ে মানুষের হাড় দু'টুকরো করে দেবার ক্ষমতা রাখে৷ এইবার দেখুন, গ্রিজলি কীভাবে ডাগের সঙ্গে কুস্তির ‘ভান' করছে - কেননা. ভাল্লুক সত্যিকারের কুস্তি করলে ভিডিওটা কয় সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হতো, তা বলা শক্ত!
একটা গ্রিজলি ভাল্লুকের হাঁ-তে নিজের মাথাটা ঢুকিয়ে দেবার মতো সাহস বা আস্থাই বা ক'জন মানুষ রাখে, তাও বলা শক্ত৷ তবে ডাগের মতো সেই গ্রিজলিকে নিজের হাতে ছোট থেকে বড় করে থাকলে আলাদা কথা৷ গ্রিজলি কথাটা আসলে অ্যামেরিকান৷ গ্রিজলিদের পোশাকি নাম হলো উত্তর আমেরিকার বাদামি ভাল্লুক৷ তবে সুদূর ১৮১৫ সালে এক প্রকৃতিবিজ্ঞানীর দেওয়া ল্যাটিন নামটাই ওদের মানায় ভালো: ‘উর্সুস হরিবিলিস' বা ‘ভয়ঙ্কর ভাল্লুক'৷
গত চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডাগ আর লিন এই ভয়ঙ্কর ভাল্লুকদের সঙ্গে বাস করছেন উটা-র হেবার ভ্যালিতে, তাঁদের নিজস্ব খামারে৷ বার্ট দ্য বেয়ার ওয়ান, বার্ট টু, হনি বাম্প আর ট্যাংক, এরা সবাই ব্র্যাড পিট, জেনিফার অ্যানিস্টন বা এডি মার্ফির মতো হলিউড তারকাদের সঙ্গে ‘অভিনয়' করেছে৷ দ্বিতীয় বার্ট-কে তো সম্প্রতি ‘গেম অফ থ্রোন্স'-এর মতো হিট সিরিজে দেখা গেছে৷ ডাগ আর লিন গ্রিজলি বেয়ারদের বাসস্থান রক্ষার জন্য যে ত্রাণ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছেন তার নাম ‘ভাইটাল গ্রাউন্ড', যার অর্থ ‘বেঁচে থাকার জমি' বা ‘জরুরি কারণ'৷
জীব-জন্তুর বসন্ত মানেই বাচ্চা-কাচ্চা
জার্মানির চিড়িয়াখানায় বেশিভাগ পর্যটকদের ভিড় হয় বসন্তকালে৷ কারণ জীব-জন্তুরা তখন সন্তানের জন্ম দেয়৷ আর এই শিশু প্রাণীরা সাধারণত হয় বুদ্ধিমান ও আবেগপ্রবণ৷
ছবি: Lutz Schnier
সত্যিকারের বানর প্রেমী
লাইপসিশ: চিড়িয়াখানায় বানর মা কুমিলিকে দেখে বোঝা যায় যে, মাতৃত্বের আনন্দ তার চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে৷ তবে ছোট্ট মেয়ে দিয়ারাকে দেখে মনে হচ্ছে যে, পৃথিবীর আলো দেখে সে এখনো তেমন খুশি হতে পারেনি৷ দিয়ারা যেন খানিকটা ভীত৷
ছবি: Zoo Leipzig
এত উঁচু অবস্থায় কেউ জন্মায় না
বার্লিন: জিরাফের মেয়ে বিনে, দুই মিটার উঁচু হওয়ার কারণে ৩০শে এপ্রিল ওর জন্মের সময় বেশ কষ্ট হয়েছে৷ তবুও বিনে জন্মের মাত্র ৪০ মিনিট পরেই হাঁটতে শুরু করে দেয়৷
ছবি: Tierpark Berlin
এত ছোট্ট প্রাণী !
ফ্রাংকফুর্ট: জীবজন্তুদের মধ্যে এই প্রাণীটিকেই সবচেয়ে ছোট প্রাণী দলের মধ্যে ফেলা হয়৷ অর্থাৎ মাত্র ২০ সেন্টিমিটার৷ দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা এই প্রাণীরা খুবই লাজুক স্বভাবের হয়৷ ওদের পা এতটাই ছোট যে, কোথাও পালিয়ে যেতে চাইলেও ওরা যেতে পারে না৷
ছবি: Zoo Frankfurt/Winfried Faust
মিশ্র দম্পতির সন্তান
ডর্টমুন্ড: কী খুসি, মেয়ে হয়েছে, মেয়ে! ও কিন্তু সত্যিকার অর্থেই মিশ্র দম্পতির বাচ্চা৷ বাবা আমারি এসেছে জার্মানির ইয়ারফুর্ট শহরের চিড়িয়াখানা থেকে আর মা সাকিনা দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা ভোগ করা মেয়ে৷
ছবি: Stadt Dortmund
চিড়িয়াখানায় বিশেষ শো
কোলন: এ বছর কার্নিভালের সময়, অর্থাৎ গোলাপি সোমবার কোলন চিড়িয়াখানায় দেড় কেজি ওজনের এই ভালুক ছানাটির জন্ম হয়৷ এটাও যেন ছিল কার্নিভালের উৎসবের মতোই আনন্দের৷ কারণ এর আগে কখনো এ চিড়িয়াখানায় এই বিশেষ দিনে কোনো প্রাণীর জন্ম হয়নি৷
ছবি: Kölner Zoo
তুমিই কি আমার ‘মা’?
মিউনিখ: লম্বা লেজওয়ালা ‘কাটা’ প্রজাতির মা বানর তার শিশুটিকে সাথে নিয়ে ‘হেলাব্রুন’-এর পশু পার্ক থেকে মিউনিখ শহরে এসেছে৷ এই প্রজাতি বানরের আসল বাড়ি কিন্তু মাদাগাস্কারে৷
ছবি: Münchener Tierpark Hellabrunn AG
বিদেশিদের সাথে যোগাযোগ
বার্লিন: পূর্ব আফ্রিকার এই জেব্রাদের অন্য পশুদের কাছাকাছি যেতে বা থাকতে কোনো ভয় নেই৷ যে কোনো জায়গাতেই ওরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে৷
ছবি: Zoo Berlin
খেলনা নয়, আসল ভাল্লুক
হামবুর্গ: হামবুর্গের হাগেনবেক চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ এখন ইগোর আর ইভান৷ এরা দু’জনই জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পৃথিবীর আলো দেখেছে৷