1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'ভাস্কর্য নিয়ে সরকারের দুই পক্ষের খেলা হচ্ছে'

৬ ডিসেম্বর ২০২০

ভাস্কর্য ইস্যুকে সরকার ও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে দেখছেন বিএনপির অনেক নেতা৷ তারা দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের সাথে তাদের ‘বি টিমের খেলা' চলছে৷

Bangladesch Wahlen Wahlkampf 2018 Nationalisten BNP
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman

বাংলাদেশে এখন ভাস্কর্য ও মূর্তি ইস্যুতে চলছে চরম উত্তেজনা৷ এরইমধ্যে রাতের আঁধারে দুর্বত্তরা কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙেছে৷ ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠছে৷ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় দুই মাদ্রাসা ছাত্র ও দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ৷
কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো এই ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চুপ রয়েছে৷ এ নিয়ে তাদের দলীয় অবস্থান এখনো পরিস্কার নয়৷
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির মহাসচিব স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্য দিলেও ‘ষড়যন্ত্রের' জন্য সরকারকেই দায়ী করেছেন৷ তবে ভাস্কর্য ভাঙ্গার পক্ষে বিপক্ষে কোন কথা বলেননি৷

অথচ হেফাজত এখন শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, জিয়াউর রহমানসহ আরো যাদের ভাস্কর্যসহ আছে সব ভেঙে ফেলা দাবি জানিয়েছে৷ শনিবার হেফাজতের ডাকে কওমি আলেমদের বৈঠকে ভাস্কর্য বিরোধী অবস্থানকেই আবারো তুলে ধরা হয়েছে৷
 

এটা সরকারের এ পার্টি বনাম বি পার্টির খেলা: রুমিন

This browser does not support the audio element.

বিএনপি কেন চুপ?
২০১৩ সালে শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবিতে অবস্থান নিয়েছিল৷ তখন বিএনপি তাদের সমর্থন দিয়েছিল৷ সেই সমাবেশ থেকে ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ও তাণ্ডব ঘটানো হয়৷

কিন্তু এবার বিএনপি হেফাজতের সমর্থন বা বিরোধিতা কোনোটাই করছে না৷ বিএনপি'র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বিএনপি এটাকে সরকারের ও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে দেখছে৷ কেউ কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগের সাথে তার ‘বি টিমের খেলা' চলছে৷ আবার কেউ মনে করছেন, দেশের গণতান্ত্রিক সংকটকে আড়াল করার জন্যই একটি ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে৷

বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন,‘‘সরকার দেশে এক ধরনের ‘কন্ট্রোলড ভায়োলেন্স' টিকিয়ে রাখছে৷ তারা অ্যামেরিকাসহ বিশ্বকে এটা করে জানাতে চাইছে যে গণতন্ত্র নিয়ে পরে চিন্তা করা যাবে৷ আগে উগ্রবাদ থামাতে হবে৷''
আর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘‘দেশে গণতন্ত্র নাই৷ মানুষের ভোটাধিকার নাই৷ করোনায় মানুষের চাকরি নাই, কাজ নাই, খাবার নাই৷ মানুষ সংকটে আছে৷ আমাদের কাছে এগুলোই বড় সমস্যা৷ এইসব সমস্যার সমাধান হলে অপ্রয়োজনীয় ইস্যু থাকবেনা৷''
তার মতে, মূল সমস্যাকে আড়াল করার জন্য আনাকাঙ্খিত বিষয়গুলোকে সামনে আনা হচ্ছে৷ ‘‘যেখানে গণতন্ত্র থাকেনা, স্বৈরাচারী ব্যবস্থা থাকে সেখানে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো সামনে আসে,'' বলেন তিনি৷
২০১৩ সালে শপলা চত্বরে হেফাজতকে সমর্থন দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তারা তখন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন৷ বাংলাদেশের যে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি৷''
রুমিন ফারাহানা বলেন, ‘‘পুরো খেলাটাই হচ্ছে সরকারের৷ আগে আওয়ামী লীগ ছিলো মধ্যবাম৷ এখন মধ্যডানে পরিণত হয়েছে৷ এখন খেলাটা হচ্ছে সরকারে এ পার্টি বনাম বি পার্টি৷ তাদের এখন এমন একটা চূড়ান্ত ডান প্রতিপক্ষ দরকার যার মাধ্যমে তারা বিশ্বকে দেখাতে চায় যে দেশে মোটামুটি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই৷ সে কারণেই আবার হেফাজতের উত্থান ঘটানো হয়েছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘এই সরকার আগে হেফাজতকে সব সুবিধা দিয়েছে৷ তাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে৷ কিছু দিন আগে তারা হেফাজতের দাবি মেনে ভাস্কর্য সরিয়েছে৷ পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন এনেছে৷ দাওরা হাদিসকে সর্বোচ্চ ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়েছে৷ তিনি কওমি মা হয়েছেন৷ আওয়ামী লীগের নেতারা শফী হুজুরের দোয়া নিয়েছেন৷ এখন হঠাৎ করে কী হলো? তাদের দুই পক্ষেরই বা এত হাকডাক কেন?''
তিনি দাবি করেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতকে সমর্থন দেয়নি বিএনপি৷ বিএনপির কোনো নেতা তাদের মঞ্চে যায়নি৷ বরং সরকার হেফাজতের দাবি মেনে নিয়েছিল৷ তাদের আন্দোলন সফল হয়েছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘আজকে হেফাজতের এই উত্থানের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ৷''

গণতন্ত্র না থাকলে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় সামনে আসে: দুদু

This browser does not support the audio element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ