1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভিয়েনায় হামলা, নিহত অন্তত দুই

৩ নভেম্বর ২০২০

ভিয়েনার একটি সিনাগগের কাছে হামলায় নিহত হয়েছে দুইজন৷ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এক হামলাকারী। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

ছবি: Lisi Niesner/REUTERS

ফ্রান্সের পর এবার হামলা ভিয়েনার রাস্তায়। বন্দুকধারীদের গুলিতে এখনো পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু। আহত বহু। ভিয়েনা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের গুলিতে এক বন্দুকধারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে একাধিক আক্রমণকারী ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়া এবং চেক রিপাবলিকে আততায়ীদের খুঁজতে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাত আটটা নাগাদ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সোমবার রাত থেকে নতুন করে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে ভিয়েনায়। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বার এবং রেস্তোরাঁ। তাই শেষ দিনে বহু মানুষ রাস্তায় ছিলেন। বার, রেস্তোরাঁগুলিও ভর্তি ছিল। এমনই সময়ে প্রথম গুলির শব্দ শোনা যায় শহরের একটি সিনাগগের সামনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকেই ভেবেছিলেন বাজি ফাটছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা দেখতে পান বন্দুকধারীদের। অটোমেটিক অস্ত্র থেকে তারা এলোপাথারি গুলি চালাচ্ছিল। অধিকাংশ প্রত্যক্ষদর্শীরই বক্তব্য, এক নয়, একাধিক বন্দুকধারীকে তাঁরা দেখেছেন। অস্ট্রিয়া পুলিশের এক সূত্র সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছে, অন্তত ছয় জায়গায় গুলি চলেছে বলে তাদের কাছে খবর। সিনেগগের পাহারায় যে পুলিশ অফিসার ছিলেন, আক্রমণকারীদের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। ভিয়েনার হাসপাতালে আহত অবস্থায় অন্তত ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

পুলিশের গুলিতে এক বন্দুকধারীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে বাকি আক্রমণকারীদের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে কতজন আক্রমণকারী ছিল, তাও এখনো স্পষ্ট নয়। অন্তত আরো একজন বন্দুকধারী ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী একদল লোককে বন্দুক নিয়ে রাস্তায় দেখেছেন তিনি। সেখানে কমপক্ষে ছয়জন ছিল বলে তাঁর দাবি।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্ৎস। 'ভয়াবহ হামলা' বলে টুইট করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, আততায়ীদের দ্রুত ধরা হবে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহ্যামার বলেছেন, ''সব দেখে বিষয়টিকে জঙ্গি হামলা বলেই মনে হচ্ছে।'' যদিও কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের পরিচয়, কোনো জঙ্গি সংগঠন এ কাজ করেছে কি না, কিছুই এখনো জানা যায়নি।

ঘটনার পরেই ভিয়েনার প্রশাসন সাধারণ মানুষকে রাস্তায় থাকতে নিষেধ করে। তাঁদের গণপরিবহনে উঠতেও নিষেধ করা হয়। ভিয়েনা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চেক রিপাবলিকেও তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। অস্ট্রিয়া এবং চেক রিপাবলিকের সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তায় সকলের তল্লাশি চলছে।

বন্দুকধারীরা ইহুদি সিনাগগ লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছিল কি না, তাও এখনো স্পষ্ট নয়। নিহত বন্দুকধারীর পরিচয়ও এখনো জানা যায়নি। এ দিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ইউরোপের বহু দেশ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন, 'আমরা ফরাসিরা ভিয়েনার মানুষের পরিস্থিতি এবং যন্ত্রণা বুঝতে পারছি।' ইটালির রাষ্ট্রপ্রধান ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। চেক রিপাবলিক হামলাকারীদের খুঁজে বার করতে অস্ট্রিয়াকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। জার্মানি ঘটনার নিন্দা করেছে।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ