কাউকে ভুলে যাওয়া কি সহজ? ভালো হোক বা মন্দ - পরিচিত কাউকে ভুলে যাওয়া বোধহয় সহজ নয়৷ গুগলের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমন৷ ইউরোপের এক আইনের কারণে ভুলে যাওয়ার অনেক অনুরোধ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি৷ কিন্তু সব মানা যাচ্ছে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজ্ঞাপন
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ সেবাদাতা গুগল জানিয়েছে, জুলাই ১৮ অবধি ‘রাইট টু বি ফরগটেন' নীতির আওতায় ৯১ হাজার অনুরোধ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি৷ এসব অনুরোধের মাধ্যমে মোট ৩২৮,০০০ লিংক মুছে ফেলতে বলা হয়েছে৷
ভুলে যাওয়ার সবচেয়ে বেশি অনুরোধ গুগল পেয়েছে ফ্রান্স এবং জার্মানি থেকে৷ দেশ দু'টি থেকে যথাক্রমে ১৭,৫০০ এং ১৬,৫০০ অনুরোধ করা হয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য সুরক্ষা কমিটির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন গুগলের বৈশ্বিক গোপনীয়তা সুরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা পেটার ফ্লাইশার৷
ডার্কনেটের ব্যবহার বাড়ছে
বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন হওয়ার পরও তথ্য পাওয়া মুশকিল৷ নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যে প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করছে, তাতে সব সময় তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় পাওয়া নাও যেতে পারে৷
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic
ইন্টারনেটে তথ্য
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কিছু না কিছু তথ্য যোগ করেন৷ স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলোও ব্যবহারকারীদের ধারণার চেয়ে বেশি তথ্য নিয়ে থাকে৷
ছবি: imago/Schöning
মেটাডাটা
গুপ্তচর বিভাগ বেশি আগ্রহী ‘মেটাডাটা’ সম্পর্কে৷ নেট ব্যবহারকারী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ওয়েবভিত্তিক বিষয়বস্তুর সঙ্গে পাওয়া যায়, যাকে বলা হয় মেটাডাটা৷
ছবি: Reuters
মেটাডাটার তথ্য
কে কাকে ই-মেল করছেন, সেই ব্যক্তির পরিচয়, সময় সম্পর্কে তথ্য থাকে মেটাডাটায় যা গুপ্তচর বিভাগ পেতে চায়৷ প্রেরক, ঠিকানা, তারিখ থেকে শুরু করে যে সার্ভার ব্যবহার করে ই-মেলটি করা হয়েছে, সেই তথ্যও এভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব৷
ছবি: Raigo Pajula/AFP/Getty Images
ডার্কনেটের ব্যবহার
ডার্কনেটের মাধ্যমে পরিচয় গোপন রেখে যোগাযোগ করা সম্ভব৷ প্রযুক্তিগত কারণে এখনো সরকার বা নিরাপত্তা কর্মীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করতে পারেন না৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
ফ্রিনেট
সবচেয়ে আলোচিত ডার্কনেটের নাম ফ্রিনেট৷ তাদের ওয়েবসাইটে গেলে বিনামূল্যে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায়৷
ছবি: Reuters
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য
ফেসবুক এবং টুইটারে একজন ব্যবহারকারী শুধু নিজের সম্পর্কে সাধারণ তথ্যই জানান না, তাঁরা তাঁদের পছন্দ, অপছন্দ, এমনকি বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জানান৷ ব্লগে সমাজ সচেতনতা, মানবাধিকার, সরকার বিরোধী লেখাও লেখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাংলাদেশে ডার্কনেট
বাংলাদেশে ডার্কনেটের ব্যবহার আগে না হয়ে থাকলেও খুব শিগগিরই যে সেটা শুরু হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic
7 ছবি1 | 7
এছাড়া ব্রিটেন থেকে ১২,০০০, স্পেন থেকে ৮,০০০ এবং ইটালি থেকে ৭,৫০০ এরকম অনুরোধ এসেছে৷ গুগল জানিয়েছে, অনুরোধে পাওয়া লিংকগুলোর মধ্যে ৫৩ শতাংশ ইতোমধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে৷ তবে অনেক লিংক সঠিক নয় কিংবা এক ব্যক্তি একই নামের আরেকজনের লিংক মোছার অনুরোধও জানিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে গুগল৷ তাছাড়া অনেকে এমন সব তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন যা ইইউ'র উল্লেখিত আইনি কাঠামোর মধ্যে সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি৷
উল্লেখ্য, গুগলের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়৷ এমনকি জার্মান আদালতের রায়ও একাধিকবার হতাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটিকে৷ জার্মানির সাবেক ফার্স্ট লেডি বেটিনা ভুল্ফের নামের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যৌনকর্মীসহ বিভিন্ন আপত্তিকর শব্দ ‘অটোকমপ্লিট' সার্চ সাজেশন হিসেবে প্রকাশ করেছিল গুগল৷ পরে অবশ্য বেটিনার মামলার প্রেক্ষিতে তা মুছে ফেলে প্রতিষ্ঠানটি৷