বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্যে ভেজালের অভিযোগ বেশ পুরনো৷ খাদ্যে ফরমালিন মেশানোর অভিযোগও রয়েছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে৷ তাই বলে কী ‘ভুল করে’ ৬০ হাজার টন ফল ও মাছ ধ্বংস করতে হবে!
ফাইল ফটোছবি: DW/M. Mamun
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) মাঝে মধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালত দিয়ে ফরমালিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে৷ এসব অভিযানে ফরমালিনযুক্ত সন্দেহে বিপুল পরিমান খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়৷ বিশেষ করে অতি সম্প্রতি দেশীয় ফলের মৌসুমে ফরমালিন থাকায় বিপুল পরিমান আম, জাম, লিচু, আনারস, লেবু, আপেল, নাশপাতি, পেঁপে, করমচা ও লটকন ধ্বংস করে ভ্রাম্যামান আদালত৷
তবে যে যন্ত্র দিয়ে এই ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়, সেই যন্ত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা৷ তাদের পক্ষে উচ্চ আদালতে একটি রিটও করা হয়৷
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম
বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম খুবই বিখ্যাত আর স্বাদে-গন্ধেও অতুলনীয়৷ এখানে প্রায় ২,৪০০ হাজার হেক্টর জমিতে ১৮ লাখেরও বেশি আম গাছ আছে৷বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এ আমের বাজারে দেশের সব জায়গা থেকে পাইকারি ক্রেতারা আসেন আম কিনতে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সবচেয়ে বড় আমের বাজার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ‘কানসাট’ আমের বাজার৷ দেশের সব জায়গা থেকে পাইকারি ক্রেতারা আম কিনতে আসেন এখানে৷ সবচেয়ে বেশি আমের চাষও হয় এই জেলায়৷ কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ অঞ্চলের প্রায় ২৪০০ হাজার হেক্টর জমিতে আঠারো লাখেরও বেশি আম গাছ আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বাজারে আমের বিক্রি-বাট্টা
কানসাট আম বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়৷ বাংলাদেশের আমের মোট চাহিদার অর্ধেকেরও বেশির জোগান আসে এই এলাকা থেকেই৷ এ বাজারে প্রতি কেজি আম বিক্রি হয় ২৫-৫৫ টাকায়৷ পরিবহন খরচসহ নানাবিধ খরচ শেষে ঢাকার খুচরা বাজারে সে আম বিক্রি হয় ৯০-১৫০ টাকায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
বাগানে লাঠি দিয়ে আম পাড়া
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার একটি বাগানে গাছ থেকে আম পাড়ায় ব্যস্ত কৃষক৷ সাধারণত লম্বা লাঠির মাথায় বাধা জালের মাধ্যমে যত্নের সঙ্গে কৃষকরা গাছ থেকে আম পেড়ে থাকেন৷ কারণ পাড়ার সময় মাটিতে পড়ে গেলে সে আমের বাজার মূল্য কমে যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
সুস্বাদু আম
সবার প্রিয় এই সুস্বাদু আম গাছ থেকে পাড়ার পর যত্নের সঙ্গে ঝুড়িতে ভরা হয় বাজারে নেয়ার জন্য৷ সাধারণত বাঁশের তৈরি ঝুড়ির ভেতরে খড় এবং পুরনো পত্রিকা দিয়ে দেয়া হয়, যাতে আমের সঙ্গে চাপ না লাগে৷
ছবি: Suhail Waheed
এক সাইকেল বোঝাই আম
শিবগঞ্জের চামা বাজার এলাকা থেকে সাইকেলে বোঝাই আম নিয়ে কানসাট বাজারে যাচ্ছেন শ্রমিকরা৷ এ এলাকা থেকে পাইকারি ক্রেতারা আম কিনে কানসাট বাজারের আড়তে এনে তার পরিমাপ করার পর, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তা প্রেরণ করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
একটি সাইকেলে প্রায় পাঁচ মন আম
শিবগঞ্জ থানার শাহবাজপুর ইউনিয়ন থেকে সাইকেলে আম নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা৷ এ জায়গা থেকে কানসাট আম বাজারের দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার৷ একটি সাইকেলে প্রায় পাঁচ মন (স্থানিয় হিসাবে ২২৫ কেজি) আম বহন করে একজন শ্রমিক৷ এ জন্য তিনি পান ৩০০ টাকা৷
ছবি: DW/M. Mamun
রাতের বেলায় থাকে কড়া পাহারা
আমের মৌসুমে বাগানে পাহারা চৌকি বসানো হয়৷ বাগানের মধ্যে ছোট ঘর তুলে দিনে রাতে পালা করে পাহাড়ায় থাকেন কৃষকরা৷ এ এলাকার গাছগুলোতে এতই নীচে ফল ধরে যে, চুরি ছাড়াও গবাদি পশুর ফল নষ্ট করার ভয় থাকে৷
ছবি: Abdus Salam
মাটির আম, তোমার-আমার!
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সব আম বাগানের আম গাছই ফলের ভারে মাটি ছুঁই ছুঁই করে৷ অথচ দুরন্ত শিশুদেরও এই সব গাছের আমে হাত দেবার সুযোগ নেই৷ কেউ এমনটা করলে তাকে ভয়ানক শাস্তি দেয়া হয়৷ অবশ্য গাছ থেকে পড়ে যাওয়া আম ধরতে মানা নেই কারো৷
ছবি: Anu Anand
পুরোনো বাড়িতে নতুন আম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার একটি শত বছরের পুরনো বাগানের গাছের আম৷ আম যাতে মাটি ছুঁতে না পারে, সেজন্য বাঁশ দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়েছে গাছের ডাল৷
ছবি: DW/M. Mamun
মতিবাজারের চাষী কবির মিয়া
আম পেকে গেলেও বাজার মন্দার কারণে গাছে হাত দিতে সাহস করছেন না কবির মিয়া৷ ফরমালিন ইস্যুতে হয়রানির ভয়ে অনেক ব্যবসায়ীই আম কিনতে সাহস করছেন না৷ ফল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সঠিক পদ্ধতিতে ফরমালিন শনাক্ত না করে অযথা তাঁদের মূল্যবান ফল নষ্ট করছে পুলিশ
ছবি: DW/M. Mamun
বিভিন্ন প্রজাতির আম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ হয়৷ আড়াইশরও বেশি আমের প্রজাতি থাকলেও, এ অঞ্চলে বেশি চাষ হয় খিরশাপাত, লখনা, হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, গুটি, মোহনভোগ, দুধসর, ফজলি ইত্যাদি প্রজাতির আম৷
ছবি: DW/M. Mamun
11 ছবি1 | 11
ব্যবসায়ীদের রিটের প্রেক্ষিতে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে যন্ত্রগুলো পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেন আদালত৷ এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, ভুল যন্ত্র দিয়ে এতদিন ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়েছে৷ বাতাসে ফরমালিন মাপার যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ফল৷ এখন ক্ষতিপূরণ চান ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা৷
‘আমরা কৃষকের সন্তান'
‘আমরা কৃষকের সন্তান' নামে একজোট হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা৷ শনিবার তারা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মানববন্ধন করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন৷ এই সংগঠনের নেতা সাঈদ শাহীন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দেশি ফলের মৌসুমে ভুল যন্ত্র দিয়ে ফরমালিন পরীক্ষার মাধ্যমে অন্তত ৫০ হাজার টন ফল ও ১০ হাজার টন মাছ ধ্বংস করা হয়েছে৷
তিনি বলেন, ‘‘ভুল মেশিন বাজারে ছেড়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার সাথে জড়িতদের শাস্তি ও সঠিক মেশিনে ফরমালিন পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে৷ পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িদের ক্ষতিপূরণও দিতে হবে৷''
সংগঠনের আরেক নেতা শেখ শাফায়াত হোসেন জানান, সরকারি সংস্থা ছাড়াও বেসরকারিভাবে এফবিসিসিআই ঢাকাসহ সারা দেশে ২২টি বাজারের সমিতিকে ওই যন্ত্র দিয়ে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট বাজারগুলো ফরমালিন মুক্ত ঘোষণা করেছে৷ অথচ এখন দেখা যাচ্ছে যন্ত্রটির ব্যবহার ভুল ছিল৷
ভিমরুলি ভাসমান বাজার
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি জেলার ভিমরুলি ভাসমান হাট৷ এ হাটটি সারা বছর জুড়ে বসলেও প্রাণ ফিরে পায় পেয়ারার মৌসুমে৷ কারণ ভিমরুলি ও তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে প্রচুর পেয়ারার চাষ হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভাসমান হাট
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি জেলার ভিমরুলি ভাসমান হাট৷ এ হাটটি সারা বছর জুড়ে বসলেও প্রাণ ফিরো পায় পেয়ারার মৌসুমে৷ ঝালকাঠি সদর উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলা ও বরিশালের বানারিপাড়া উপজেলা পেয়ারা চাষের জন্য বিখ্যাত৷ এ সব জায়গার প্রায় ২০ হাজার পরিবার সরাসরি পেয়ারা চাষের সঙ্গে জড়িত৷
ছবি: DW/M. Mamun
পেয়ারা বাগান
এটি ভিমরুলি গ্রামে একটি পেয়ারার বাগান৷ কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এই উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৮০০ একর জমিতে পেয়ারার চাষ হয়৷ পেয়ারা ছাড়াও এ সব জমিতে সহযোগী ফসল হিসেবে চাষ হয় বিভিন্ন রকম সবজি৷
ছবি: DW/M. Mamun
পেয়ারা চাষি
ভিমরুলি গ্রামের একটি বাগান থেকে পেয়ারা পাড়ছেন চাষি জয়দেব সাহা৷ প্রায় তিন একর জমিতে পেয়ারার চাষ করেন তিনি৷ কিন্তু দাম পান না বলে গত দুই বছর ধরে পেয়ারা চাষ করে বিশেষ লাভ পাচ্ছেন না এই কৃষক৷
ছবি: DW/M. Mamun
কাঁচা পেয়ারা দাম বেশি
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামে বাজারে নেয়ার জন্য পেয়ারা বাছাই করছেন চাষীরা৷ বাউকাঠির পাশেই ভিমরুলি৷ ভিমরুলির বাজারে পাকা পেয়ারার তুলনায় কাঁচা পেয়ারার দাম কিছুটা বেশি পাওয়া যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
পেয়ারা বোঝাই নৌকা
ছোট নৌকায় পেয়ারা বোঝাই করে ভিমরুলি বাজারের উদ্দেশে যাচ্ছেন চাষিরা৷ অনুন্নত যোগাযোগ আর সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে এ অঞ্চলের চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত পেয়ারার ন্যায্য মূল্য পান না৷
ছবি: DW/M. Mamun
ক্রেতার সন্ধানে পেয়ারা চাষি
ভিমরুলি বাজারে ক্রেতার সন্ধানে পেয়ারা চাষিরা৷ একটু ভালো দামের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা এ বাজারে ঘুরে বেড়ান এ সব ক্ষুদ্র চাষীরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাইকারি দাম অনেক কম
ভিমরুলি বাজারে কার্টুনভর্তি কাঁচা পেয়ারা৷ এ সব পেয়ারা মূল গন্তব্য ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহর৷ যেসব চাষির সামর্থ্য আছে, তারা নিজ উদ্যোগে এ সব পেয়ারা ঢাকা ও অন্যান্য শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন৷ ভিমরুলি বাজারে পাইকারি বিক্রি করলে এক কেজি পেয়ারার সর্বোচ্চ দাম পাওয়া যায় পাঁচ থেকে ছয় টাকা৷ অথচ ঢাকায় এক কেজি পেয়ারার সর্বনিম্ন দাম ৪০ টাকা৷
ছবি: DW/M. Mamun
দ্রুত বিক্রি করতে হয়
বৃষ্টির মধ্যেও ভিমরুলি বাজারে ভালো মূল্যের ক্রেতা খঁজুছেন চাষিরা৷ মৌসুমি এ ফলটির স্থায়ীত্ব খুব কম সময় বলে গাছ থেকে পারার পর দ্রুতই বিক্রি করতে হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিদেশি পর্যটক
ভিমরুলি বাজারে ইঞ্জিন দেয়া নৌকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন কয়েকজন বিদেশি পর্যটক৷ গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাসমান এ বাজারটির প্রচারণা হওয়ায় অনেক পর্যটক আসতে শুরু করেছেন এখানে৷ আসছেন বিদেশি পর্যটকও৷
ছবি: DW/M. Mamun
বঞ্চনার শিকার
বৃষ্টি ভিজে ভিমরুলি বাজারের পথে পেয়ারা চাষিরা৷ দরিদ্র এ সব চাষিরা সব সময়ই পাইকার বা মধ্যস্বত্বভোগীদের বঞ্চনার শিকার হন৷ প্রতি কেজি পেয়ারার পাইকারি মূল্য আড়াই থেকে তিন টাকার একটু বেশি৷
ছবি: DW/M. Mamun
জেলি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান
অনেক খারাপ দিকের মাঝেও ভিমরুলি বাজারের ভালো একটি দিক হলো যে, এই মৌসুমে দু-একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান সরাসরি এ বাজারে আসছেন পাকা পেয়ারা কিনতে৷ তারা কৃষকদের দামও দিচ্ছে ভালো৷ এ সব প্রতিষ্ঠান পাকা পেয়ারা দিয়ে মূলত জেলি তৈরি করে থাকে৷
ছবি: DW/M. Mamun
11 ছবি1 | 11
ফরমালিন মাপার ভুল যন্ত্র
প্রসঙ্গত, খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের উপস্থিতি রয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘ফরমালডিহাইড মিটার জেড-৩০০' নামক যন্ত্র ব্যবহার করে৷ প্রকৃতপক্ষে এই যন্ত্রটি ফরমালিন পরীক্ষায় ব্যবহূত হয় কিনা তা নিশ্চিত হতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন বাংলাদেশ ‘ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স' অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাধন চন্দ্র দাশ ও সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম৷ এই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে গত ২১ জুলাই আদালত যন্ত্রটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এবং ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির পরিচালককে নির্দেশ দেয়৷
বিসিএসআইআর গত মঙ্গলবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ‘ফরমালডিহাইড মিটার জেড-৩০০' নামক যন্ত্রটি ফল, মাছসহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যে ফরমালিনের উপস্থিতি নিশ্চিতকরনে জন্য তৈরি করা হয়নি৷ তবে এটি বাতাসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল (রাসায়নিক) আছে কি-না তা পরীক্ষা করতে পারে৷
প্রতিবেদনে যন্ত্রটির প্রস্তুতকারক কোম্পানির ব্যবহারবিধি ও ওয়েবসাইটের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘এনভায়রনমেন্টাল সেন্সর' নামের এক কোম্পানির তৈরি করা ‘জেড ৩০০' মডেলের ‘ফরমালডিহাইড ভ্যাপর মিটার' যন্ত্রটি পরিবেশ ও বাতাসে ফরমালিন মাপার সংবেদনশীল যন্ত্র৷ এই যন্ত্র ব্যবহার করে খাদ্যে ফরমালডিহাইডের পরিমাণ জানার কোনো ‘অ্যাপ্লিকেশন নোট' প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান দেয়নি৷
রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন আমরা এই রিপোর্ট সংযুক্ত করে আদালতের অবকাশের পরে আবেদন করবো৷ আবেদনে ত্রুটিযুক্ত যন্ত্র বাতিল এবং এই ফরমাইল হাইড -৩০০ দিয়ে কত হাজার মন ফল নষ্ট করা হয়েছে তারও হিসেব জানার জন্য প্রার্থনা করা হবে৷''
এরপর ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হবে বলে জানান তিনি৷