1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভুল তথ্য ও প্রোপাগান্ডা: করোনার চেয়েও বিপজ্জনক

১ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়েও ভুল তথ্য এবং প্রোপাগান্ডার প্রচার চলছে বিশ্বজুড়ে৷  বিশ্বনেতারা বলছেন, মানবতা এখন ভয়ানক অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছে, তবু অন্য লড়াইটা কিন্তু থামেনি৷

ছবি: Imago Images/ZUMA Press/A. M. Chang

ভুল তথ্য এবং প্রোপাগান্ডার সবচেয়ে বড় দুটো লড়াই চলছে চীন আর যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া আর পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে৷ এসব নতুন নয়৷ তবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এটা নতুন করে শুরু হয়েছে নতুন মাত্রায়৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডিব্লিউএইচও) অবশ্য ব্যক্তিগত এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এমন ক্ষতিকর লড়াই অনুমান করেছিল আগেই৷ সংস্থাটির মহাপরিচালক ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই প্যানডেমিক-এর পাশাপাশি 'ইনফোডেমিক', অর্থাৎ তথ্যের মারাত্মক প্রাদুর্ভাব সম্পর্কেও সতর্ক করেছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভুয়া খবর ভাইরাসের চেয়েও অনেক দ্রুত এবং সহজে ছড়িয়ে পড়ে৷ এটা ভাইরাসের চেয়েও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷’’

ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি

ভুয়া খবর সম্পর্কে ডাব্লিউএইচও মহাপরিচালক সতর্ক করার আগেই শুরু হয়েছিল করোনা ভাইরাস নিয়ে ভুল তথ্য এবং প্রপাগণ্ডা প্রচার৷ গত ২২ জানুয়ারি রাশিয়ার স্পুটনিক নিউজ এক খবরে দাবি করে, করোনা ভাইরাস আসলে মানুষের তৈরি৷ সেখানে আরো দাবি করা হয়, ভাইরাসটি তৈরি করেছে ন্যাটো৷ 

স্পুটনিকের আরবি সংস্করণ প্রকাশ করে আরেকটি খবর৷ সেই খবরে দাবি করা হয়, ভাইরাসটি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে৷ যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী যে কোনো খবর লুফে নেয় মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ মানুষ৷ যাচাই না করে এই খবরটি  তাই প্রচার করল মধ্যপ্রাচ্যের ১০-১৫ টি ওয়েবসাইট৷ 

রাশিয়ার অপপ্রচার পর্যবেক্ষণ এবং তার জবাব দেয়ার জন্য ইউরোপের গড়ে তোলা  ইইউভার্সেসডিসইনফো জানাচ্ছে, রাশিয়ার গণমাধ্যম অনেক সময় পরস্পরবিরোধী খবরও প্রচার করে৷ কখনো বলা হয় করোনাভাইরাস খুব বিপদজনক, আবার এ-ও বলা হয়, ইউরোপের দেশগুলোর ইন্টিগ্রেশনের সমস্যা আছে বলে এ অঞ্চলে ভাইরাসটি বেশি ছড়িয়ে পড়ছে৷ 

এদিকে ইইউভার্সেসডিহইনফো-র পাল্টা জবাব হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের গড়ে তোলা গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টার (জিইসি) চীন, ইরান এবং অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর অপপ্রচারের দিকে চোখ রাখছে৷ এ বিষয়ে গত সপ্তাহে একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করেছেন জিইসি-র লি গাব্রিয়েল৷ সেখানে সাবেক এই সিআইএ এজেন্ট বলেন, ‘‘রাশিয়া কোনো মিথ্যা খবর প্রচার করলে চীনের মিডিয়া তা লুফে নেয়৷ চীনের মিডিয়া খবরটি প্রচার করার পর রাশিয়ার মিডিয়া তা রিটুইট করে৷ এভাবে তারা বোঝাতে চায় খবরটি চীনের গণমাধ্যম থেকে সরাসরি পেয়েছে৷’’

গত মাসে চীনের কূটনীতিক লিজিয়ন ঝাও টুইটারে লেখেন, ভাইরাসটি ২০১৯ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত মিলিটারি ওয়ার্ল্ড গেমসে অংশ নিতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যদের মাধ্যমে চীনের উহানে ছড়ানো হয়েছে৷ মন্ট্রিয়লভিত্তিক গ্লোবাল রিসার্চ-কে উদ্ধৃত করে এ তথ্য দেন তিনি৷ নিজেদের থিংকট্যাংক হিসেবে দাবি করা গ্লোবাল রিসার্চ অবশ্য তথ্যটি নিয়েছিল চীনের গ্লোবাল টাইমস থেকে৷

লিজিয়ান ঝাও-এর টুইট করা খবর নানা দেশে দায়িত্বরত চীনের অন্তত ডজনখানেক রাষ্ট্রদূত রিটুইট করেন৷ সব মিলিয়ে ১২ হাজার রিটুইট এবং ২০ হাজার লাইক পেয়েছিল লিজিয়ান এর সেই ভুয়া খবর৷

জিইসি এবং চীনা গণমাধ্যম অবশ্য এখন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে চীনের সাফল্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা প্রচারে মন দিয়েছে৷

করোনা ভাইরাস, নাকি চীনা ভাইরাস?

ডনাল্ড ট্রাম্প করোনা ভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ বলে শুরু থেকেই চীনকে তাক করে কামান দাগাচ্ছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভাইরাসটির নাম দিয়েছেন 'উহান ভাইরাস’৷ যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছে প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পরই চীন খবরটি জানায়নি- এমনটি দাবি করে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার জন্য চীনকে দায়ী করতে৷

ইরানে যা হয়েছে

করোনা মোকাবিলায় ইরানকে সহায়তা করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তা প্রত্যাখ্যান করে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউ বিশ্বাস করে না৷’’

এনজিও ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স ইরানের ইসফাহান শহরে ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল খুলেছিল৷ ওই হাসপাতালের ডাক্তারদের পশ্চিমা বিশ্বের গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় কট্টরপন্থিরা৷ হাসপাতালটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে৷
মাটিয়াস ফনহাইম/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ