ইন্টারনেটে ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানো রোধে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে গুগল ও ফেসবুক৷ এজন্য বিজ্ঞাপনগ্রহিতাদের কন্টেন্ট মূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছে তারা, যাতে ভুয়া নিউজ সাইটগুলো ভুল তথ্য দিয়ে অর্থ আয়ের সুযোগ না পায়৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার এক বিবৃতিতে গুগল জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি একটি নীতিগত পরিবর্তন আনছে যাতে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করা নিউজ ওয়েবসাইট গুগলের বিজ্ঞাপন না পায়৷ তবে ঠিক কিভাবে ভুয়া নিউজ ওয়েবসাইট শনাক্ত করা হবে এবং বিজ্ঞাপন বাতিল করা হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি৷
গুগলের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘‘ভবিষ্যতে আমরা সেসব পাতায় বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধ করে দেবো, যেখানে কোনো সংবাদ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, কিংবা প্রকাশকের তথ্য এবং ওয়েবসাইটের মূল উদ্দেশ্য গোপন করা হয়েছে৷’’
গুগলের এই নতুন পলিসি অবশ্য গুগল সার্চে ভুয়া নিউজ প্রদর্শন বন্ধ করতে পারবে কিনা সেটা নিশ্চিত নয়৷ তবে এটি ব্যবহারকারীদের গুগলের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে এমন সাইট সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দিতে পারে এবং যেসব প্রকাশক বাড়তি উপার্জনের আশায় ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে তাদের নিরুৎসাহিত করবে৷ এজন্য গুগল তার বিজ্ঞাপন গ্রহণকারী সাইটগুলোর রেটিংয়ের কোনো পন্থা বের করেছে কিনা তা-ও জানা যায়নি৷
এদিকে ফেসবুক জানিয়েছে, বিজ্ঞাপন নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে সংস্থাটি যাতে অবৈধ কিংবা ভুলভাবে প্রকাশিত সংবাদ বাড়তি গুরুত্ব না পায়৷ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘‘আমরা এমন কোনো অ্যাপ বা সাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করি না যেটি অবৈধ কিংবা ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছে৷''
তবে ফেসবুকের এই নীতি বিজ্ঞাপনে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করলেও ব্যবহারকারীর ভুয়া নিউজ সাইটগুলোর কন্টেন্ট নিউজ ফিডে প্রকাশ বন্ধ করতে পারছে না৷ ফলে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের নিউজ ফিডে ভুয়া সংবাদ দেখা থেকে আদৌ দূরে থাকতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷
উল্লেখ্য, ফেসবুক এবং গুগলে প্রকাশিত অনেক ভুয়া সংবাদ মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে - এরকম এক অভিযোগ ওঠার পর বিজ্ঞাপনের নীতিতে পরিবর্তনের এই ঘোষণা দিল প্রতিষ্ঠানগুলো৷ বর্তমানে জনমত সৃষ্টিতে বড় ধরনের ভুমিকা রাখছে এসব সাইট৷
যে সব কোম্পানিতে কাজ করে আরাম
অফিসের কাজ করতে করতে ক্লান্তি এলে মনে হয়, একটা বিছানা পেলে একটু শুয়ে নিতাম৷ এমন কিছু কোম্পানি আছে, যারা এভাবেই কর্মচারীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করে থাকে৷ ধ্যান বা যোগব্যায়ামও করা চলে অফিসের মধ্যে এবং অফিসের খরচে৷
ছবি: Colourbox/E. Amikishiyev
অ্যাপল
স্টিভ জবসের জীবনকাহিনি যারা জানেন, তারা এই সব কর্মচারী-বান্ধব কোম্পানির তালিকায় অ্যাপল-এর নাম দেখে খুব একটা আশ্চর্য হবেন না, কেননা স্টিভ জবস নিজেই মেডিটেশন, অর্থাৎ ধ্যান করতেন৷ কাজেই তাঁর কোম্পানিতে কর্মচারীদের জন্য ‘মেডিটেশন রুম’ আছে৷
ছবি: picture alliance/DPA/M.Gambarini
গুগল
দুনিয়ার সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলির মধ্যে একটিতে কাজ করার ঝক্কি কম নয়৷ এই কারণে গুগল যে শুধু ‘মেডিটেশন রুম’ রেখেছে, তা-ই নয়; তার সঙ্গে ন্যাপ প্যাডস, মানে ছোট ছোট বিছানা দেওয়া হয়, যার ওপর শুয়ে একটু ঝিমিয়ে নেওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Spata
এওএল
এখানে কর্মচারীরা তাদের কাজের সময় নিজেরাই ঠিক করতে পারেন৷ সারা সপ্তাহে একটা নির্দিষ্ট সময় কাজ করতে হয়, সেটা পূরণ করলেই হলো৷ সেজন্য কখনো-সখনো একটানা বারো ঘণ্টাও কাজ করা চলতে পারে৷ মাঝে বিরতি নিয়ে যোগব্যায়ামের ক্লাসে গেলেও ক্ষতি নেই৷
ছবি: Getty Images
ম্যাকেঞ্জি
ম্যাকেঞ্জি যে শুধু নিজের কর্মচারীদের যোগব্যায়াম করাচ্ছে, এমন নয়৷ সেই সঙ্গে অন্যান্য কোম্পানিদের জন্য যোগব্যায়াম শেখার কোর্স ডিজাইন করছে৷ ম্যাকেঞ্জির বক্তব্য হলো, কর্মচারীদের মানসিক সুখ ও শারীরিক স্বাস্থ্য কোম্পানির মুনাফা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে৷
ছবি: Fotolita/A. Diaz
ইয়াহু
যে কোম্পানির নামই ইয়াহু, সেখানে কি আর কর্মচারীরা সব মুখ গোমড়া করে থাকবেন? ইয়াহু-তেও নানা ধরনের কোর্স আছে৷ কর্মচারীরা নিজের সুবিধা অনুযায়ী সেখানে যেতে পারেন ও নতুন কিছু শিখতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. M. Davey
ডয়চে ব্যাংক
জার্মানি তথা বিশ্বের বৃহত্তম ব্যাংকগুলির মধ্যে গণ্য ডয়চে ব্যাংকের এখন সময় ভালো যাচ্ছে না: এদিকে মন্দা তো ওদিকে নানা কেলেঙ্কারি, সেই সঙ্গে ২০১৫ সালে লাভের পরিবর্তে বিপুল লোকসানের অঙ্ক৷ এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ঝক্কি আছে বৈকি৷ কাজেই ডয়চে ব্যাংকও বেশ কয়েক বছর আগেই তাদের কর্মচারীদের জন্য নানা সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করেছে৷
ছবি: Reuters/R. Orlowski
এইচবিও
মার্কিন মুলুকের প্রিমিয়াম কেবল ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কল্যাণে বহু মানুষ টেলিভিশনের সামনে থেকে নড়েন না৷ কোম্পানির অফিসে কিন্তু কর্মচারীদের জন্য যোগব্যায়ামের কক্ষ থেকে শুরু করে জিম পর্যন্ত, অনেক কিছুই আছে৷
ছবি: Fotolia/www.fotodesign-jegg.de
নাইকি
ভাববেন না যেন, নাইকি-র কর্মচারীরা অফিসের জিমে গিয়ে নাইকি জুতো পরে কসরত করা ছাড়া আর কিছু করেন না৷ নাইকি তার কর্মচারীদের ঘুমের জন্য, আবার প্রার্থনা করার জন্য আলাদা আলাদা কামরা রেখেছে৷