কোনো সরকারি নির্দেশ, বা বিজ্ঞপ্তি ছিল না৷ তা-ও আসন্ন ঈদ উল ফিতরে পশ্চিমবঙ্গে টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি ছড়ালো৷
বিজ্ঞাপন
বিষয়টিকে আদৌ সহজভাবে নিচ্ছে না কলকাতা পুলিশ৷ কারণ প্রশাসনের কাছে এটা নির্দোষ কোনও রসিকতা বলে মনে হচ্ছে না৷ সরকারি লেটারহেডের অপব্যবহার হয়েছে৷ একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি আধিকারিকের সই নকল করা হয়েছে৷ এবং স্বয়ং রাজ্যপালের নাম নিয়ে জারি করা হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তি, যার বয়ান এইরকম যে, আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে ১৬ জুন সরকারি ছুটি তো আগেই ঘোষিত হয়েছিল, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১২ থেকে ১৫, আরও চার দিন৷ অর্থাৎ টানা পাঁচদিনের ছুটি৷ নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত রাজ্য সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ ও নাগরিক প্রশাসনিক শাখা, উন্নয়ন পর্ষদ, পুর নিগম এবং রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সব সংস্থায় ওই পাঁচদিন ঈদের ছুটি থাকবে৷
ভারতের কোন রাজনৈতিক দল কতটা ধনী?
২০১৬-১৭ সালে ভারতের সাতটি জাতীয় দলের আয় ছিল মোট ১,৫৯৯ কোটি টাকা৷ এদের মধ্যে বিজেপির অঙ্কটা ছিল সবচেয়ে ওপরে– ১, ০৩৪.২৭ কোটি টাকা৷ এবারে দেখা যাক কোন দল কতটা ধনী...
ছবি: DW
ভারতীয় জনতা পার্টি
দিল্লির এক সংস্থা এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির এক হাজার কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে৷ অবশ্য এর জন্য ৭১০ কোটি টাকা দলের খরচ হয়েছে৷ ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে বিজেপির আয় ৮১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Kiran
কংগ্রেস
রাজনীতির প্রভাবের মতোই তহবিলের ক্ষেত্রেও কংগ্রেস বিজেপির থেকে অনেক পিছিয়ে৷ ২০১৬-১৭ সালে কংগ্রেস দলের আয় হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা, যেখানে এর জন্য খরচ হয়েছে ৩২১ কোটি টাকা৷ মানে খরচ আয়ের চেয়ে ৯৬ কোটি টাকা বেশি৷ এক বছর আগের তুলনায় দলের আয় ১৪ শতাংশ কমেছে৷
ছবি: Reuters/A. Dave
বহুজন সমাজ পার্টি
মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি এক বছরের মধ্যে ১৭৩ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা আয় করেছে৷ এর জন্য ৫১ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে৷ ২০১৬-১৭-তে এই দলের আয় ১৭৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে৷ দলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ লোকসান হয়েছে বটে, কিন্তু আমদানি বাড়ছে৷
ছবি: DW/S. Waheed
ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি
শরদ পাওয়ারের এ দলের আয় ২০১৬-১৭ তে ৮৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে৷ ২০১৫-১৬ তে যেখানে এই দলে ৯ দশমিক ১৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে, ২০১৬-১৭ তে এই আয় বেড়ে ১৭ দশমিক ২৩ কোটি টাকা হয়েছে৷ এনসিপি মূলত মহারাষ্ট্র্রের রাজনৈতিক দল, কিন্তু অন্য রাজ্যে এর উপস্থিতি রয়েছে এবং এটি একটি জাতীয় দল৷
ছবি: AP
তৃণমূল কংগ্রেস
তথ্য বলছে, ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের আয় ৮১ দশমিক ৫২ শতাংশ পড়তির দিকে ছিল৷ জাতীয় দলের যোগ্যতা সম্পন্ন এই দলের আয় ৬ দশমিক ৩৯কোটি টাকা এবং খরচ ছিল ২৪ দশমিক ২৬ কোটি টাকা৷ লোকসভাতে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট এই তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ থেকে পশ্চিমবঙ্গে রাজত্ব করছে৷
ছবি: DW
সিপিএম
২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে সিপিএম দলের আয় ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ কম হয়েছে৷ ২০১৬-১৭ সালে দলে ১০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে, যেখানে খরচ হয়েছে ৯৪ কোটি টাকা৷ সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য সিপিএমের রাজনৈতিক প্রভাব বেশ স্তিমিত৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Dutta
সিপিআই
জাতীয় দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম আয় সিপিআইয়ের৷ ২০১৬-১৭ সালে দলে ২ দশমিক ০৭৯ কোটি টাকা আয় হয়েছে, যেখানে খরচ হয়েছে ১ দশমিক ৪ কোটি টাকা৷ লোক সভা এবং রাজ্যসভাতে সিপিআইয়ের একজন করে সাসংদ আছে৷ কেরালাতে এই দলের ১৯ বিধায়ক এবং পশ্চিমবঙ্গে ১ বিধায়ক রয়েছে৷
ছবি: DW/S.Waheed
সমাজবাদী পার্টি
অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ২০১৬-১৭ সালের ৮২.৭৬ কোটি টাকা আয় করে সবচেয়ে ধনী জাতীয় দল৷ কীভাবে? এর জন্য দলের ১৪৭ দশমিক ১ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হয়েছে৷ মানে দল আয় থেকে বেশি ব্যয় করেছে! কাজেই ধনী তো বটেই!
ছবি: DW
তেলেগু দেশম পার্টি
অন্ধ্রপ্রদেশের শাসনের দায়িত্বে থাকা তেলেগু দেশম পার্টি ২০১৬-১৭ সালে ৭২ দশমিক ৯২ কোটি টাকা আমদানি করেছে৷ এর জন্য খরচ হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা৷ দলের দায়িত্ব চন্দ্রবাবুর হাতে, তিনি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও বটে!
ছবি: picture-alliance/dpa/Str
এআইডিএমকে এবং ডিএমকে
তামিলনাড়ুর শাসক দলের আসনে থাকা এআইডিএমকে ২০১৬-১৭ সালে ৪৮ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা আয় করেছে যেখানে খরচ ছিল ৮৬ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা৷ এর প্রতিদ্বন্দ্বী ডিএমকে ২০১৬-১৭ সালের ভেতর আয় করেছে ৩ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা৷ যেখানে এদের খরচ ছিল ৮৫ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এআইএমআইএম
সঞ্চয়ের কথা যদি বলেন, তাহলে আসাদউদ্দীনের এআইএমআইএম দলের নাম সবার আগে৷ ২০১৬-১৭ তে ৭ দশমিক ৪২ কোটি টাকা আয় এবং এর জন্য খরচ মাত্র ৫০ লাখ৷ মানে দল ৯৩ শতাংশ লাভ করেছে!
ছবি: Imago/Hindustan Times/S. Mehta
11 ছবি1 | 11
অথচ গোটা ব্যাপারটিই ভুয়া৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারএমন কোনও ছুটির সিদ্ধান্ত নেয়নি বা ঘোষণা করেনি৷ তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা প্রতীকচিহ্নটি ব্যবহার করে, রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব রাজশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই জাল করে এই ভুয়া নোটিসটিই গত শনিবার থেকে হোয়াটস্আপ এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ রাজ্য সরকার গোটা বিষয়টিকে নিছক ফাজলামি বলে উড়িয়ে দিতেই পারতো৷ কিন্তু দেওয়া যাচ্ছে না, তার কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভুয়া বিজ্ঞপ্তির তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীদের সমর্থক লোকজনের থেকে, যাঁরা এটিকে পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির সরকারের মুসলিম তোষণ নীতির আরও এক নজির হিসেবে তুলে ধরছিলেন৷ এমনকি যখন জানা গেল বিজ্ঞপ্তিটি আদ্যন্ত ভুয়া এবং তার বক্তব্য নেহাতই মনগড়া, তখনও এমন প্রতিক্রিয়া দেখা গেল যে, এটা সত্যি হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না৷ মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে এমনটা হতেই পারে৷ এই যে সম্মিলিত বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং তার এক নির্দিষ্ট রাজনৈতিক প্রবণতা আর সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য, এটাই প্রশাসনকে ভাবিয়েছে৷
সে কারণে কলকাতা পুলিশ তৎপর হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেই ঘোষণা করে, এই বিজ্ঞপ্তি ভুয়া৷ যে বা যারা এই গুজব রটানোর পিছনে রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করবে পুলিশ এবং আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে৷ কিন্তু মূলত যে মাধ্যমে এই বার্তা ছড়িয়েছিল, সেই হোয়াটসআপ মেসেজিংয়ের সব বার্তা যেহেতু ‘এনক্রিপটেড', প্রেরক এবং প্রাপকের বাইরে কেউ যেহেতু সেটা পড়তে পারে না, অপরাধীকে খুঁজে পাওয়া কি এত সহজ হবে? এই প্রশ্ন নিয়ে ডয়চে ভেলের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার সঙ্গে৷ ওরা বললেন, তদন্তের স্বার্থেই এখন বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়, তবে যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের ধরে ফেলার ব্যাপারে ওরা রীতিমতো আশাবাদী৷
ভাইরাল হওয়া কিছু ভুয়া খবর
আজকাল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক তাজা খবর শেয়ার করা হয়৷ কিন্তু সেই খবরগুলোতে অনেক ভুয়া খবরও থাকে৷ অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিভ্রান্তও হন৷ ছবিঘরে থাকছে ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি ছড়ানো কয়েকটি ভুয়া খবর৷
একটি ফেসবুক লাইভে দেখাচ্ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে নভোচারীদের স্পেসওয়াক করার দৃশ্য৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যায়৷ ইউএনআইএলএডি, ভাইরাল ইউএসএ এবং ইন্টারেসটিনেট- এটি পোস্ট করার পর ফেসবুকে বিপুল পরিমাণ লাইক ও শেয়ার হয়৷ কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ফুটেজের কোথাও নাসা বা ফেসবুকের লাইভ স্ট্রিম কথাটির উল্লেখ ছিল না৷ পরে নাসা’র এক মুখপাত্র জানান, ভিডিওটি ২০১৩ সালে রুশ নভোচারীদের ধারণ করা ভিডিও৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Nasa
করোনা বিয়ারের প্রতিষ্ঠাতার উইল
২০১৬ সালের অন্যতম ভাইরাল খবর এটি-করোনা বিয়ার-এর প্রতিষ্ঠাতা আন্তোনিও ফার্নান্দেজ মৃত্যুর আগে তাঁর জন্মভূমি স্পেনের একটি গ্রামের ৮০টি পরিবারের মধ্যে ২০ কোটি ইউরো দান করার উইল করে গেছেন৷ ডেইলি মেইল প্রথমে খবরটি প্রকাশ করে স্থানীয় পত্রিকার বরাত দিয়ে৷ পরে আরটি, দ্য ইন্ডেপেন্ডেন্ট, দ্য মিররসহ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রও তা প্রকাশ করে৷ পরে ফার্নান্দেজের পরিবার প্রতিবাদ জানানোয় তারা খবরটি সরিয়ে ফেলে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/M. Rourke
ধর্ষণের ভুয়া খবর
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বার্লিনে লিজা নামের এক জার্মান কিশোরীকে এক দল অভিবাসীর ধর্ষণ করার খবর ভাইরাল হয়ে যায়৷ বিশেষ করে রুশ মিডিয়ায় খবরটি বিপুল কভারেজ পায়৷ পরে কিশোরীটি জানায়, সে সব কিছু বানিয়ে বলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Wuestenhagen
মার্কিন নির্বাচন
মার্কিন নির্বাচনে যে ভুয়া খবরটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছিল তাতে ছিল ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধের মাত্রার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের তুলনা৷ এছাড়া নির্বাচনের ফলাফলের এমন একটি মানচিত্র ওয়াশিংটন পোস্ট প্রকাশ করেছিল, যেটির দিকে ভালোভাবে তাকালে বোঝা যায় একেবারে ওপরে ২০১২ সালের উল্লেখ রয়েছে৷
ট্রাম্প এবং সিম্পসন
সিম্পসন কার্টুনে বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী থাকে৷ আর এ কারণে ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার পর একটি ট্রল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে বলা হয় সিম্পসনে আগেই বলা হয়েছিল, ট্রাম্প নির্বাচনে জিতবেন৷ কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু হয়নি৷ অথচ টুইটারে বাস্তব আর পুরোনো ভুয়া সিম্পসনের ছবি দেয়ায় নিউজটি ভাইরাল হয়ে যায়৷
ছবি: INTERTOPICS / Taschen-Verlag
শোকার্ত ক্যাঙ্গারু
ডেইলি মেইল এমন একটি ছবি প্রকাশ করে যেখানে দেখানো হয় এক পুরুষ ক্যাঙ্গারু নারী ক্যাঙ্গারুকে দুই হাতে ধরে অশ্রুসজল চোখে তাকিয়ে আছে৷ ইভান সুইৎজারের তোলা ছবিটি এভাবে উপস্থাপনের কারণে ভাইরাল হয়ে যায়৷ তবে ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞরা জানান, নারী ক্যাঙ্গারুর সঙ্গে যৌন মিলনের ইচ্ছে জাগলে পুরুষ ক্যাঙ্গারুর চোখ অশ্রুসজল হয়, তখনই তারা দুই হাত দিয়ে ঝাঁকিয়ে নারী ক্যাঙ্গারুকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে৷
ছবি: DW/C. Atkinson
বিখ্যাত গণমাধ্যমের নকল
ভুয়া খবর প্রচারকারীরা জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত ওয়েবসাইটগুলোকে নকল করে ৷ ফলে মানুষ খুব ভালোভাবে লক্ষ্য না করলে বুঝতে পারে না, সেগুলো প্রকৃত ওয়েবসাইট, নাকি ভুয়া৷ যেমন, এবিসি নিউজ ডট কম এর সঙ্গে ডট সিও যুক্ত করে (ABCnews.com.co), ব্লুমবার্গের সঙ্গে ডট এমএ যুক্ত করে, ওয়াশিংটন পোস্ট ডট কম- এর সঙ্গে ডট সিও যুক্ত করে কয়েকটি ভুয়া সংবাদ সাইট তৈরি করা হয়েছে৷ এসব ওয়েবসাইটের কাজই ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করা৷