বাংলাদেশের অনেক পেশাজীবীদের নিয়েই সমালোচনা আছে৷ তবে যে পেশার দায়িত্বশীলতা বেশি, সেখানে ‘খারাপ' থাকলে সমাজে এর প্রভাব ভয়াবহ৷ ব্লগওয়াচে থাকছে এক শ্রেণির সাংবাদিক আর এক সাংবাদিকের স্ত্রীর আত্মহত্যা প্রসঙ্গ৷
শিরোনাম দেখেই বোঝায় যায় লেখায় তিনি কোন শ্রেণির সাংবাদিকদের কথা তুলে ধরেছেন৷ বাংলাদেশে যেমন প্রতিষ্ঠানের মান এবং কর্মীদের যোগ্যতা এবং সততার বিষয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ট্র্যাভেল এজেন্সি, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে, তেমন ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত আছে সংবাদমাধ্যমেও৷ নানা ধরণের প্রভাব খাটিয়ে একটা সাইনবোর্ড হয়ত জোগার করা গেছে, কিন্তৃ সেখানে কর্মীদের বেতন-ভাতা দেয়ার আন্তরিক চেষ্টা বা সাধ্য নেই৷ প্রাণান্ত পরিশ্রম করে, পেশার জন্য জীবন বাজি রেখেও অনেক সংবাদকর্মীর যে দেশে আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং জীবনের নিরাপত্তা মেলে না, সেই দেশে ‘সাইনবোর্ডসর্বস্ব' প্রতিষ্ঠানের তথাকথিত কিছু সাংবাদিকের জীবন কাটে মহাসুখে৷
নিজের চোখে দেখা তেমন কয়েকজন সাংবাদিক সম্পর্কে লেখার আগে অবশ্য সৎ এবং নিষ্ঠাবান কয়েকজন সাংবাদিকের কথাও উল্লেখ করেছেন আহমদ জসিম, লিখেছেন, ‘‘বেশ ক'মাস আগে ঢাকার এক সাংবাদিক বন্ধুর সাথে ফোনালাপ হলো৷ খুব দুঃখ করে জানালেন: ছয় মাসের বেতন বকেয়া, ভাগ্যিস বউ চাকরি করে, নয়ত উপোসে মরতাম৷ আর চট্টগ্রামের কবি বন্ধুর কথা, আমার পত্রিকায় তিন মাস ধরে বেতন বন্ধ, ভাগ্যিস সংসার করিনি, করলে এখন কাপড় খুলে রাস্তায় হাঁটতে হতো৷''
সাংবাদিকদের জন্য দুঃসময়
একটি সমীক্ষা অনুযায়ী গত দশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিস্থিতি এতো খারাপ দেখা যায়নি৷ বিশ্ব জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস করেন যে সব দেশে, সে সব দেশে সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
মধ্য এশিয়ার পরিস্থিতি
ফ্রিডম হাউস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৯৯৭টি দেশের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে, যার ফলাফলে দেখা গেছে, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সবচেয়ে কম৷ অন্যদিকে সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে নেদারল্যান্ডস, সুইডেন এবং নরওয়েতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সাংবাদিকদের ওপর হামলা
তুরস্কে অনেক সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে৷ সাংবাদিক গ্যোকহান বিচিচি-কে প্রেপ্তার করা হয় গেজি পার্কে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে৷ সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষা কমিটির মতে গত ডিসেম্বরের শুরুতে তুরস্কে ৪০জন সাংবাদিকদের আটক করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
অপ্রিয় রিপোর্ট
ইউক্রেনেও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়৷ বিশেষ করে কিয়েভের ময়দান স্কোয়ারে প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময়৷ সরকারের সমালোচক সাংবাদিক টেটিয়ানা চর্নোভোল ঐ হামলার শিকার হন৷ তিনি পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ বিলাসী জীবনযাত্রার ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন৷ হাজারো মানুষ এই সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন৷
ছবি: Genya Savilov/AFP/Getty Images
মিথ্যা বলা বন্ধ করুন!
চীন এবং রাশিয়াতেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমালোচনার মুখে৷ দুই দেশের সরকারই মিডিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে এবং সরকারের মতামত মিডিয়াকে জানানোর জন্য একটি আইনও প্রণয়ন করে৷ এমনকি রাশিয়ায় সংবাদ সংস্থা ‘রিয়া নভোস্তি’ বন্ধ করে সেটা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব করা হয়৷ অনেক রুশ নাগরিকের তা পছন্দ না হওয়ায় তারা ‘মিথ্যা বলা বন্ধ করুন’ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্কিন সরকারের আড়িপাতা
অ্যামেরিকায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রয়েছে৷ কিন্তু মার্কিন তথ্যনীতি ক্রমঃশই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে৷ সমীক্ষা অনুযায়ী, সরকার সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেছে৷ শুধু তাই নয়, এমনকি সরকার সাংবাদিকদের কাছে তথ্য সূত্রও জানতে চায়৷ এছাড়া, মার্কিন সরকার সংবাদ সংস্থা এপি-র সাংবাদিকদের টেলিফোনেও আড়ি পেতেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
মুবারক জমানায় প্রত্যাবর্তন
মিশরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে৷ প্রেসিডেন্ট মুরসির পতনের পর সেখানকার পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে৷ সমীক্ষা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস-এর মতে, ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে সামরিক অভ্যুথ্যানের পর থেকে বেশ কিছু সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয় হয় এবং পাঁচজন মারা যান৷
ছবি: AFP/Getty Images
মালিতে পরিস্থিতির উন্নতি
মালিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইসলামি বিদ্রোহীদের দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিতাড়নের পর মালির আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়৷ ২০১২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর বেশ কিছু মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো৷ সেগুলো এখন আবার কাজ করছে৷
ছবি: AFP/Getty Images
কিরগিজিস্তান ও নেপালে ইতিবাচক প্রবণতা
যে সব দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাড়ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কিরগিজিস্তান৷ সেখানকার সাংবাদিকরা ২০১৩ সালে খুব কম আক্রমণের শিকার হয়েছেন৷ নেপালেও মিডিয়ার ওপর রাজনৈতিক প্রভাব কমেছে, যদিও সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া বন্ধ হয় নি৷ সমীক্ষা অনুযায়ী ইসরায়েলেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উন্নতি হয়েছে এবং এখন তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
তারপরই এসেছে ‘ভুয়া সাংবাদিক' প্রসঙ্গ৷ জসিমের বর্ণনায়, ‘‘জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে কর্মরত সাংবাদিকদের যখন এই অবসস্থা, ঠিক সেই সময় আমাদের পাড়ায় হঠাৎ আবির্ভাব হয়েছে একদল সাংবাদিক৷ যার গুরু নাম হচ্ছে বিপ্লব৷ ক্লাস সিক্স/সেভেন পাস এই লোকটার দাবি, সে ‘সন্ধ্যাবাণী' নামক পত্রিকার ব্যুরোচিফ৷ তার সাথে আছে ‘দেশের পত্র' নামক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মোটর মিস্ত্রি বাচ্চু বড়ুয়া আর এক সময়ের প্যাকেজ অভিনেতা রুমেল৷ এই তিন জন মিলে চট্টগ্রাম শহরে গড়ে তুলেছে ভুয়া সাংবাদিকতার বিশাল নেটওয়ার্ক৷ চাঁদাবাজি, নারী কেলেঙ্কারি, জমি দখল থেকে শুরু করে হেন অপরাধ নেই যা তাদের দ্বারা সংঘটিতত হয়নি৷ আসল সাংবাদিকের জীবন যেখানে শঙ্কিত সেখানে এই ভুয়া সাংবাদিকরা এত ক্ষমতা পায় কোথায়? হু, তাদের এই অপকর্মের সাথে জড়িত আছে পুলিশ প্রশাসনও, যে কারণে তাদের অনেক চাঁদাবাজির অভিযানে পুলিশকেও সঙ্গে যেতে দেখা গেছে৷''
লেখার শেষ দিকে জসিমের আক্ষেপ, ‘‘আসলে পুরো দেশটাই যে নকলে ভরে গেছে সেখানে আসলরা শুকিয়ে মরবে আর নকলরা ক্রমশ তাজা হবে এটাই তো স্বাভাবিক৷''
জসিম যাকে ‘ভুয়া সাংবাদিক' বলছেন, এখন তিনি নাজি কারাগারে, সাংবাদিকরাই নাকি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন৷ জসিম লিখেছেন, ‘‘তবুও সুখের কথা, বিপ্লব এখন জেলে৷ না, পুলিশ ধরেনি, বরং সাংবাদিকরাই ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাকে৷ তবে আমি নিশ্চিত, বিপ্লব যে কোনো সময় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও তার সঙ্গীদের নিয়ে মোল্লাপাড়া মোড়ে বসে চাপাবাজি আর শহর জুড়ে চাঁদাবাজি এক সাথে চালিয়ে যাবে৷''
পরের লেখাটি দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক পান্না বালার স্ত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে৷ সামহয়্যারেই এ বিষয়ে লিখেছেন তালাত৷
ঢাকায় সাগর-রুনির বন্ধুদের মানববন্ধন
সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ানবাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়৷ সাংবাদিক দম্পতির কাছের মানুষ, বন্ধুরা ছাড়াও আরো অনেকে এতে অংশ নেন৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: DW
ফেসবুক আহ্বানে সমবেত সবাই
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার খুনিদের বিচার চেয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়৷ একটি ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে সাগর-রুনির বন্ধু, সহকর্মীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
প্রতীকী প্রতিবাদ
খুনিদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয়াদের অনেকের মুখ ছিল কালো কাপড় বাঁধা৷ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এটা করেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
সার্ক ফোয়ারা ঘিরে অবস্থান
সাংবাদিক দম্পতির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে সার্ক ফোয়ারা ঘিরে অবস্থান করেন প্রতিবাদকারীরা৷ বলাবাহুল্য, হত্যাকাণ্ডের পর দু’বছর পেরিয়ে গেলেও আজও হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে কিংবা প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘জানতে চাই, বিচার চাই’
মানববন্ধনে অংশ নেয়া এক ব্যক্তির হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড লেখা, ‘‘কার ছায়ায়/কার মায়ায়/সাগর-রুনির খুনি? জানতে চাই/বিচার চাই৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
দীর্ঘতম ৪৮ ঘণ্টা!
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি খুন হওয়ার পরপরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে৷ কিন্তু সেই ৪৮ ঘণ্টা আজও শেষ হয়নি বলে মনে করেন প্রতিবাদকারীরা৷ কেননা, সাগর-রুনির খুনিরা আজও গ্রেপ্তার হয়নি৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
এদিকে, সাগর-রুনির পরিবারের উদ্যোগে ঢাকার দৃক গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়৷ এই প্রদর্শনীতে লেখা রয়েছে, ‘‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’’৷ লেখাটি পড়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘‘কতটা দুঃখ আর হতাশা থেকে এই লেখা তা আমাদেরও বুঝতে হবে৷’’
ছবি: DW/H. Swapan
‘ক্রাইম সিন, ডু নট ক্রস’
‘ক্রাইম সিন, ডু নট ক্রস’ শিরোনামের চিত্র প্রদর্শনীটি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আয়োজন করা হলো৷ সাংবাদিক দম্পতির পরিবারসহ সাংবাদিক নেতারা বারবার হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে আসলেও নিরাপত্তা বাহিনী এখনো প্রকৃত খুনিদের ধরতে পারেনি৷
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan
‘আন্দোলন থামিও না’
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মুনীর বলেন, ‘‘আন্দোলন থামিও না, যত সাংবাদিক মারা গেছে সবার বিচারের দাবিতে তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাও৷ আমার মেঘের জন্য আমি বিচার চাই৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
‘সরকার আন্তরিক’
গত দুই বছরে খুনিরা গ্রেপ্তার না হলেও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘‘রহস্য উদঘাটনে সরকার আন্তরিক৷’’
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan
পেরিয়ে গেল দুই বছর
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিজেদের ভাড়া বাসার বেডরুমে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি৷ সেসময় একই বাসায় অবস্থান করলেও প্রাণে বেঁচে যায় সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র সন্তান মেঘ৷
ছবি: DW
10 ছবি1 | 10
তালাত জানিয়েছেন, ‘‘ফরিদপুরের সাংবাদিক পান্না বালার স্ত্রী আত্মহত্যা করার পর, আরো অনেক পরিবারের মতো তাঁর স্ত্রীর পরিবারও তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে৷ বিয়েতে এক টাকাও যৌতুক না নিলেও, তাঁর বিরুদ্ধেই যৌতুক দাবির অভিযোগ আনা হলো৷ স্থানীয় একজন মন্ত্রীর প্রত্যক্ষ ভুমিকা, টেলিফোনে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারও করল৷ অনেক স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাতেই স্বামীকে পুলিশ আটক করে৷ কিন্তু এখানে আরো অস্বাভাবিক এই যে, কে বা কারা লাখ টাকা খরচ করে চার রঙা পোস্টার ছাপিয়ে শহর ছেয়ে ফেলল৷ এতেই বোঝা যায় যে, কোনো একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে, কারণ, পান্না বালার বস্তুনিষ্ঠ আর সৎ সাংবাদিকতা অনেকের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল৷''
লেখার শেষে পান্না বালার বোন তৃপ্তি বালার একটি লেখার লিঙ্ক দিয়েছেন তালাত৷ সেখানে তৃপ্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘‘... প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি দেখবেন কি?''