২০১৫ সালের ভূমিকম্পে নেপালে বহু মানুষ হতাহত হন৷ তখনই জার্মানির ডেসাউ-এর এক স্থাপত্যবিদ্যার ছাত্রের মাথায় ধারণা আসে: স্রেফ ইট-কাঠ-সুড়কি দিয়ে তৃতীয় বিশ্বের উপযোগী এক ভূমিকম্প প্রতিরোধী বাড়ি বানানোর৷
বিজ্ঞাপন
২০১৫ সালে নেপালে একাধিক ভূমিকম্প হয়, যাতে সব মিলিয়ে প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রাণ হারান, আহত হন ২০ হাজারের বেশি৷
ভূমিকম্পের মাত্র ক'দিন আগে ইয়ান ভারজাভা তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে নেপালে গিয়েছিলেন৷ সবাই আর্কিটেকচারের ছাত্র৷ সকলে মিলে সেখানে একটি স্কুলবাড়ি তৈরি করেছিলেন৷ জার্মানিতে ফিরে ইয়ান শুনলেন নেপালে ভূমিকম্পের কথা৷ শুনলেন, নতুন স্কুলবাড়িটা দাঁড়িয়ে আছে বটে, কিন্তু অন্যান্য বহু ভেঙে পড়েছে৷
স্থাপত্যবিদ্যার এই ছাত্রের কথায়, ‘‘স্বভাবতই আমরা খুব দুঃখ পেয়েছিলাম৷ তার পরেই ভাবলাম, নেপালে আমাদের চেনা লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জিগ্যেস করতে হবে, তারা কেমন আছেন আর আমরা কোনোরকম সাহায্য করতে পারি কিনা৷ তখন আমার মাথায় এলো একটি সহজ ধরনের বাড়ি বানানোর কথা – যাতে পাহাড়ি অঞ্চলের অতি গরীব গ্রামগুলোতেও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে৷''
আজব এক উল্টো বাড়ি
জার্মানিতেই তৈরি হয়েছে এমন এক বাড়ি যা পুরোপুরি উল্টো৷ বাড়ির ছাদ নীচে আর টেলিভিশন, ফ্রিজ, আসবাবপত্র সব ওপরে! চলুন ঘুরে দেখি আজব সেই বাড়ি৷
ছবি: picture-alliance/ZB/Sauer
উল্টো দুনিয়া
২০০৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জার্মানির মেকলেনবুর্গ ফোয়রপমার্ন রাজ্যের ট্রাসেনহাইডে-তে নির্মাণ করা হয় অদ্ভুত এই বাড়ি৷ জার্মান ভাষায় বাড়িটির নাম, ‘ডি ভেল্ট শ্টেট কপ্ফ’, অর্থাৎ ‘পৃথিবীটা মাথার ওপরে দাঁড়িয়ে’৷ সত্যিই তাই৷ বাংলায় ‘হেঁট মুণ্ডু ঊর্ধ্ব পদ’ বলে একটা কথা আছে, ঠিক সেভাবে এ বাড়ির ছাদটা নীচে, আর নীচে থাকার জিনিসগুলো সব ওপরে৷ পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই বাড়ি৷
ছবি: picture-alliance/ZB/Lösel
স্ক্রু আর আঠার কেরামতি
বাড়িটির নকশা করেছেন দুই পোলিশ স্থপতি ক্লাউডিউসৎজ গোলোস এবং সেবাস্টিয়ান মিকিচিউক৷ কেমন করে উল্টো করে সব তৈরি বা স্থাপন করা হলো? সবই স্ক্রু আর আঠার জাদু৷ ঘরের আসবাবপত্র, টেলিভিশন থেকে শুরু করে সাধারণত মেঝেতে বা ছাদের নীচে থাকে এমন সব জিনিস ওপরে লাগানো হয়েছে শুধু স্ক্রু আর আঠা দিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Büttner
অবাক তাকিয়ে রয়...
দর্শনার্থীরা গিয়ে অবাক হয়ে দেখেন সবকিছু৷ ছবিতে দেখুন, এক দর্শনার্থীর চোখের সামনে উল্টো হয়ে ঝুলছে একটা গাছের টব৷ অবাক তো লাগবেই!
ছবি: picture-alliance/dpa/Büttner
ভাগ্যিস সিঁড়িটা ঠিকঠাক!
উল্টো বাড়ি হলেও বাড়ির একটা জিনিস অন্তত ঠিক আছে৷ কী সেটা, জানেন? সিঁড়ি৷ সিঁড়িও যদি ওপরের দিকে থাকতো তাহলে দর্শনার্থীদের কী বিপদটাই না হতো!
ছবি: picture-alliance/ZB/Sauer
স্টিলের কাঠামো
ঘরের সব আসবাবপত্রের চাপটা পড়ে ছাদের ওপর৷ এমন বাড়ির কাঠামোটা একটু বেশি শক্ত না হলে কি চলে? সে কথা ভেবেই ইট-শুঁড়কির জায়গায় স্টিল ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে ‘ডি ভেল্ট শ্টেট কপ্ফ’, নির্মাণকাজে ব্যয় হয়েছে ৩ লক্ষ ইউরো!
ছবি: picture-alliance/ZB/Sauer
5 ছবি1 | 5
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইয়ান তাঁর ‘ভূমিকম্প প্রতিরোধী' বাড়ির নকশা করে ফেলেন – এমন এক বাড়ি, বাসিন্দারা যা সহজেই স্থানীয় উপাদান ব্যবহার করে নিজেরাই তৈরি করতে পারবেন৷ তার জন্য কংক্রিট, স্ক্রু-ড্রাইভার কিংবা বোরিং মেশিনের দরকার পড়বে না৷
ইয়ান ভারজাভা জানান, ‘‘আমি বিশেষভাবে দেখার চেষ্টা করেছি যে, বাড়ি তৈরিতে যে সব জিনিস ব্যবহার করা হবে, তা যেন সেখানেই পাওয়া যায়: কাঠ, পাথর, করোগেটেড টিন৷ এছাড়া যে সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে, সেগুলোও যেন সেখানে পাওয়া যায়: যেমন পেরেক, হাতুড়ি, করাত কি কোদাল৷''
সেই সঙ্গে আছে বাড়িটা কিভাবে তৈরি করতে হবে, তা নিয়ে একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল৷ ইয়ান নিজেই এই টিউটোরিয়াল তৈরি করেছেন, যেখানে ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে, কোন কাজের পর কোন কাজ করতে হবে; কী কী জিনিসের খেয়াল রাখতে হবে, যাতে বাড়িটা সত্যিই ভূমিকম্প প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে৷ ইয়ান বলেন, ‘‘লোকজন ভিডিও দেখলে সহজে বুঝতে পারে, কেননা হাতে-নাতে করে দেখানো হয়েছে; লোকজন দেখছেন, প্রতিটি কাজ কিভাবে করা হচ্ছে ও কেন – লিখিত নির্দেশাবলীতে যা সম্ভব ছিল না, যদিও আমি ছবি সুদ্ধ একটা ৬০ পাতার ‘ইনস্ট্রাকশন' লিখেছিলাম৷''
ইয়ান আর তাঁর বন্ধুরা মাত্র নয় দিনের মধ্যে একটি ভূমিকম্প প্রতিরোধী বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন – তৈরি করার সময় ভিডিও তোলা হয়েছে৷ এই ভিডিও টিউটোরিয়াল বিভিন্ন ভাষায় ‘ডাব' করা হবে৷ বড় ধরনের ভূকম্পনেও বাড়িটা ধসে পড়বে না, কেননা তার একক অংশগুলো হালকা আর পরস্পরকে ধরে রাখছে৷
যে সাতটি এলাকায় ভূমিকম্প অস্বাভাবিক নয়
নেপালে সপ্তাহান্তে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর নিহতের সংখ্যা এখনো বেড়ে চলেছে৷ তবে ভূমিকম্প নতুন নয়, পৃথিবীর আরো কয়েকটি অঞ্চল বড় ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
পৃথিবী যেখানে কাঁপে
সাতটি টেকটনিক বা গঠনমূলক প্লেট দিয়ে তৈরি হয়েছে আমাদের ভূপৃষ্ঠ৷ যেসব স্থানে এসব প্লেটের মিলন ঘটেছে, সেসব স্থান সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত৷ নেপালে ভূমিকম্পের কারণ হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্লেটের সঙ্গে ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষ৷ পৃথিবীর সাতটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার একটি নেপাল৷
ভক্তপুর, নেপাল (আগে)
কাঠমান্ডু উপত্যকায় অবস্থিত সাতটি বিশ্ব এতিহ্য অসংখ্য নেপালী এবং বিদেশি পর্যটককে আকর্ষণ করেছে৷ ২০১৪ সালের আগস্টে তোলা হয়েছে ছবিটি৷
ছবি: picture alliance/landov
ভক্তপুর, নেপাল (পরে)
ভূমিকম্পের পরের ছবি এটি৷ উদ্ধারকর্মীরা ভেঙ্গে পড়া বিভিন্ন মন্দিরের নিচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন৷ নেপালে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছে চার হাজারের বেশি মানুষ৷ উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে৷
ছবি: Reuters/D. Siddiqui
জাপানের উপকূল (এখন)
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত জাপান৷ সেখানকার বহুতল ভবনগুলোও এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে সেগুলো ভূমিকম্পের সময়ও টিকে থাকতে পারে৷ দেশটিতে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রও রয়েছে৷ ছবিটি সেরকম একটি বিদ্যুতকেন্দ্রের৷
ছবি: AFP/Getty Images/JIJI Press
জাপানের উপকূল (আগে)
জাপানের দূরত্ব নেপাল থেকে পাঁচহাজার কিলোমিটার৷ ২০১১ সালের মার্চে বড় ধরনের ভূমিকম্পের কবলে পড়ে জাপান৷ সেসময় আঠারো হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায় ফুকুশিমার পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরগুলোও গলতে শুরু করে এবং রেডিওঅ্যাক্টিভ পদার্থ গিয়ে সমুদ্রে পানিতে মেশে৷ তা সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে জাপান৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আন্দামান সাগর, ভারত মহাসাগর (এখন)
আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, যেটা কিনা ভারতের অংশ, ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশিয়ান কন্টিনেন্টাল প্লেটের সংযোগ স্থলের কাছাকাছি অবস্থিত৷ সেখানে ভূমিকম্প যে কোনো সময় হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আন্দামান সাগর, ভারত মহাসাগর (তখন)
সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ঘটেছে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর৷ এখন পর্যন্ত হিসেবে রাখা তৃতীয় শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল সেটি৷ ভূমিকম্প এবং পরবর্তীতে সুনামির কারণে সে সময় ২৩০,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Choo Youn Kong
ইয়ুনান, চীন (আগে)
চীনের ইয়ুনান প্রদেশ এরকম অসাধারণ ল্যান্ডস্কেপের জন্য পরিচিত৷ তবে এই অঞ্চলটিও ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press
ইয়ুনান, চীন (পরে)
২০১৪ সালের আগস্টে ভূমিকম্পের পর তোলা ছবি এটি৷ ভূমিকম্পে ৪০০-র বেশি মানুষ মারা যায় এবং একলাখের মতো গৃহহীন হয়ে পড়ে৷ চীনে বড় ভূমিকম্প দুর্লভ নয়৷ ২০০৮ সালে অপর এক ভূমিকম্পে সেদেশে প্রাণ হারায় সত্তর হাজার মানুষ৷
ছবি: Reuters
লাকিলা, ইটালি (আগে)
যদিও ইউরোপ ঠিক ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত নয়, তবে ভূমিকম্প এখানে অস্বাভাবিক নয়৷ ইটালিতে আফ্রিকার প্লেট ইউরোপীয় মহাদেশের প্লেটের বিপরীতে চাপ সৃষ্টি করছে৷ ফলে দেশটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Barone
লাকিলা, ইটালি (পরে)
২০০৯ সালে ইটালির লাকিলা শহরে ভূমিকম্পে তিনশো মানুষ প্রাণ হারায়, গৃহহীন হয় দশ হাজারের মতো মানুষ৷ সেসময় ভূমিকম্প সম্পর্কে পূর্বাভাষ দিতে ব্যর্থতার দায়ে সাত বিজ্ঞানীকে অভিযুক্ত করা হয়৷ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটির সমালোচনা হয়েছে কেননা বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গেলেও এখনো ভূমিকম্পের আগাম সতর্ক বার্তা দিতে সক্ষম নয়৷
ছবি: picture alliance/INFOPHOTO
সান ফ্রান্সিসকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯০৬ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে ভূমিকম্প থেকে শহরে আগুন ধরে যায়৷ ফলে তিন হাজার থেকে ছয় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷ মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে একটি এটি৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
ভালডিভিয়া, চিলি
ভূকম্পণের মাত্রা মাপা শুরু পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ভূকম্পণের ঘটনা ঘটেছে চিলিতে৷ ১৯৬০ সালে সেদেশে নয় দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হয়৷ এতে চিলির দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ স্থাপনা ধ্বংস হয়, প্রাণ হারায় কমপক্ষে ১,৭০০ মানুষ৷
ছবি: AP
13 ছবি1 | 13
ইয়ান ভারজাভা জানান, ‘‘বাড়ির একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো এই ‘বেভেল' বা ঢালু করা কোণগুলো৷ এর ফলে ভূমিকম্পের শক্তি বাড়ির দেয়ালগুলো দিয়ে ঘুরে যায়৷ দেয়ালটা এদিকে ঠ্যালে, আর পরের দেয়ালটা সেই শক্তি শুষে নেয়৷ এভাবে ভূমিকম্পের শক্তি ভাগাভাগি হয়ে যায়৷ সাধারণ সমকোণ দেয়ালগুলোতে একটি দেয়াল তার অক্ষ থেকে সরে যায়৷ এছাড়া ছাদটা দেয়ালের ওপর থাকলেও, দেয়ালের সঙ্গে জোড়া নেই – বরং দু'টোর ভিতরে একটা ফাঁক রয়েছে৷ কাজেই দেয়ালের একাংশ ভেঙে পড়লেও, ছাদটা ভেঙে পড়ে কাউকে চাপা দেবে না৷''
দেয়ালের ইটগুলো একবার সোজা, একবার বাঁকা করে বসানো – যা শুধু একদিকে মুখ করে বসানো ইটের দেয়ালের চেয়ে অনেক বেশি স্থায়ী, নেপালে সাধারণত যা করা হয়৷
এরপর ইয়ান তাঁর ভিডিও টিউটোরিয়ালটি ইন্টারনেটে দেবেন৷ কাজেই অন্যরাও এই ভূমিকম্প প্রতিরোধী বাড়ি বানাতে পারবেন৷ তবে আইডিয়াটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তরুণ স্থপতি ও আবিষ্কারকের সাংগঠনিক ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন৷
একুশ শতকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী কয়েকটি ভূমিকম্প
গত ১৫ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছে৷ ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের হিসেবে অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের তালিকা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Shah
পোর্ট অফ প্রিন্স, হাইতি
২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইতিতে ৭.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ এতে কমপক্ষে তিন লক্ষ ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়৷ আহত হয় প্রায় তিন লক্ষ মানুষ৷ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল হাইতির রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে৷
ছবি: AP
আচে, ইন্দোনেশিয়া
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রগর্ভে সংঘটিত ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প যে সুনামির অবতারণা ঘটায়, তা-তে ১৪ দেশের প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Choo Youn Kong
সিচুয়ান, চীন
২০০৮ সালের ১২ মে চীনের সিচুয়ানে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ মারা যায়৷ এতে ৫০ লক্ষেরও বেশি ভবন ধসে পড়ে৷ নিহতদের বেশিরভাগই ধসে যাওয়া ভবনের নীচে পড়ে প্রাণ হারায়৷
ছবি: AFP/Getty Images
কাশ্মীর, পাকিস্তান
২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তানের কাশ্মীর অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷ এছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রায় ১,৩০০ জন এবং আফগানিস্তানেও বেশ কয়েকজন নিহত হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/E. Feferberg
বাম, ইরান
২০০৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইরানের বাম প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়৷ এতে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়৷ আহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ হাজার৷
ছবি: AP
ফুকুশিমা, জাপান
২০১১ সালের ১১ মার্চ ৯ মাত্রার ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি ও তাপরর পারমাণবিক কেন্দ্রে বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রায় ২১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa
গুজরাট, ভারত
২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের গুজরাটে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
ছবি: SEBASTIAN D'SOUZA/AFP/Getty Images
কাটমান্ডু, নেপাল
চলতি বছর নেপালে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে৷ ২৫ এপ্রিলের ঐ ভূমিকম্প প্রায় নয় হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়৷ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কাটমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
ইয়োগিয়াকার্টা, ইন্দোনেশিয়া
২০০৬ সালের ২৬ মে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের শিকার হয়ে প্রায় ৫,৮০০ মানুষের প্রাণ যায়৷ আহত হয় প্রায় ৩৬ হাজার৷
ছবি: AP
পাকিস্তান-আফগানিস্তান
সোমবার (২৬ অক্টোবর, ২০১৫) ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত ২৩০ জন ও আফগানিস্তানে কমপক্ষে ৭৬ জনের প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গেছে৷ আফগানিস্তানে নিহতদের মধ্যে ১২ জন ছাত্রী রয়েছে যারা ভয়ে স্কুল থেকে বের হতে গিয়ে পায়ের নীচে পড়ে মারা যায়৷