1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একটু কষ্ট করুন

জাহিদুল হক১ জুন ২০১৬

আজকাল ভেজালমুক্ত খাবার পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ দুর্নীতি এতটাই বিস্তৃতি লাভ করেছে যে, খাবারে ফরমালিনসহ অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান মেশানোর মতো অপরাধ বন্ধ করা যাচ্ছে না৷

Markt in Dhaka Bangladesch
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

কিসে ভেজাল নেই? ফল খেতে যান, পাবেন কার্বাইড, নয়ত ফরমালিন৷ মাছ, শাকসবজি তাতেও মেশানো একই জিনিস৷ রোজার সময় মুড়ি খাবেন? তাতেও ইউরিয়া মেশানো৷ মিষ্টিজাতীয় খাবার কিনতে যান, সঙ্গে বিনামূল্যে পাবেন রং৷ মসলার ক্ষেত্রেও তাই৷

তাহলে কী খাবেন? যেহেতু বাজার ভেজাল খাবারে ছেয়ে গেছে, তাই খাবার গ্রহণের আগে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে৷ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খাবারকে ফরমালিন আর কার্বাইডমুক্ত করা যেতে পারে৷ যেমন সবজি রান্নার আগে সেগুলো লবণ মেশানো গরম পানিতে কয়েক মিনিট ডুবিয়ে রাখুন৷ তারপর পানি থেকে সবজি তুলে ভালো পানি দিয়ে আবার ধুয়ে নিন৷ ফল খেতে চাইলে অন্তত এক ঘণ্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন৷ এছাড়া ফল ধোয়ার বিশেষ ডিটারজেন্ট পাওয়া যায়৷ সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে৷ আর ফলের খোসা না খাওয়াই ভালো৷

মাছ, মাংসের ক্ষেত্রেও তা-ই৷ রান্নার আগে ঘণ্টাখানেক পানিতে ডুবিয়ে রাখলে অনেকখানি ফরমালিন দূর হয়ে যাবে৷ আরও ভালো হয় যদি পানির সঙ্গে ভিনেগারও মিশিয়ে দেন৷ তাহলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফরমালিন চলে যাবে৷

এসব প্রক্রিয়া মেনে চলার পাশাপাশি ভেজালমুক্ত খাবার খুঁজে বের করে সেগুলো কেনার চেষ্টা ও উদ্যোগ নিতে হবে৷ এজন্য প্রয়োজনে কিছুটা সময়ও ব্যয় করতে হবে৷ যেমন মসলা আর মুড়ির ক্ষেত্রে, হাতে বানানো হয় এমন জায়গা খুঁজে বের করে সময় নিয়ে সেখানে যেতে হবে৷ আর ফল কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল করতে হবে৷ যেমন মৌসুমের আগেই ফলটি বাজারে এসেছে কিনা, ফলের রং দেখতে যেমন হওয়া উচিত তার চেয়ে একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে কিনা, ফলের গায়ে কোনো মাছি বসছে না কেন - এসব বিষয় দেখতে হবে, কেননা, মৌসুমের আগেই ফল বাজারে আসার অর্থ ব্যবসায়ীরা ফল পাকার আগেই গাছ থেকে নামিয়ে রাসায়নিক দিয়ে সেগুলো পাকিয়েছে৷

দেশি ফলের ক্ষেত্রে ফলগুলো যে এলাকায় জন্মায় সরাসরি সেই অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে ফল কেনার চেষ্টা করতে হবে৷ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে এই বিষয়টি এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে৷

জাহিদুল হক, ডয়চে ভেলেছবি: DW/Matthias Müller

মিষ্টি জাতীয় খাবার ঘরে তৈরি করাই উত্তম৷ এতে যেমন নিজের হাতে তৈরি খাবারের আলাদা স্বাদ পাওয়া যাবে, তেমনি বাজারের রং মেশানো জিলাপি আর মিষ্টি থেকে পাওয়া যাবে মুক্তি৷ মিষ্টি তৈরির উপায় জানতে ইউটিউবের সহায়তা নেয়া যেতে পারে৷

শেষ কথা – ভেজাল খাবার খাওয়ার কারণে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়৷ ভেজালের পরিধি যেহেতু শিশু খাবার পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তাই শিশু স্বাস্থ্যও আজ হুমকির মুখে৷ সুতরাং দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা সমাধানের জন্য যেমন অনেক চিন্তা ও সময় খরচ করা হয়, ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিতের বিষয়টিও তেমন গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে৷

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ