1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভেনিসে সোনার পাত তৈরির ঐতিহ্য

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

হাজার বছর আগে ভেনিসের স্বর্ণকাররা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সোনার পাত তৈরি করতেন৷ এখন মেশিনের যুগ চলে আসায় সেই ঐতিহ্য প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে৷ বর্তমানে অল্প কয়েকটি পরিবার ঐতিহ্যটা ধরে রেখেছে৷

Deutschland Goldbarren
ছবি: Alexander Heinl/picture alliance

ভেনিসে যা চকচক করে তার অনেকখানিই সোনা৷ গত কয়েক শতকে মূলবান এই ধাতু দিয়ে সম্পদ গড়েছে ভেনিস৷ তবে এখন সেখানে খালি হাতে কাজ করা স্বর্ণকারের সংখ্যা অনেক কমে গেছে৷

‘মারিও ব্যার্তা বাত্তিলোরো' নামে মেনেগাস্সো পরিবার এখনো সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে৷

মারিনো মেনেগাস্সো বলেন, ‘‘এই কাজের জন্য আপনার অনেক শক্তির প্রয়োজন নেই৷ একটু কৌশল করতে হয়৷ কৌশল ভালো হলে পরিশ্রম কম হয়৷ এটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সোনার পাত কতখানি পাতলা করতে হবে তার উপর নির্ভর করে ৫০ মিনিট থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত আপনাকে হাতুড়িপেটার কাজটি করতে হয়৷''

২৪ ক্যারেটের খাঁটি সোনা এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় গলিয়ে একটি ছোট্ট সোনার বার তৈরি করা হয়, যার দাম প্রায় ছয় হাজার ইউরো হতে পারে৷

মারিনো মেনেগাস্সো জানান, ১২০ গ্রাম ওজনের একটা ছোট্ট সোনার বার থেকে পুরুত্বভেদে এক থেকে ছয় হাজার সোনার পাত তৈরি করা যায়৷

প্রথমে সোনার বারকে এমন রোলারের মধ্যে কয়েকবার ঢুকিয়ে পাতলা করা হয়৷ এভাবে বেল্টের মতো একটি জিনিস পাওয়া যায়৷

সোনার পাতগুলোকে হাতুড়িপেটা করার আগে পার্চমেন্ট কাগজের মধ্যে আলাদা করে রাখছেন সারা মেনেগাস্সো৷

ঐতিহ্য ধরে রাখা ভেনিসের স্বর্ণকাররা

04:09

This browser does not support the video element.

সারা মেনেগাস্সো বলেন, ‘‘একেকটা প্যাকেটে ৩৩০টি পাত থাকে৷ প্রথমে মেশিনের নীচে এগুলো ফেলা হয়, তারপর চার ভাগ করা হয়৷ এবং তারপর হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়৷''

এক হাজার বছর আগে ভেনিসে এভাবে সোনার পাত বানানো হতো৷ সেই সময় মেশিন ছিল না, ছিল শুধু বিভিন্ন ধরনের হাতুড়ি৷

হাতুড়িপেটা করে এমন হাজার হাজার সোনার পাত তৈরি করা হয়৷ একেকটি পাতের ওজন একটি চুলের মতো৷ এলেনোরা মেনেগাস্সোর আশা, এমন কাজের ঐতিহ্য পরবর্তী প্রজন্ম পর্যন্তও টিকে থাকবে৷

এলেনোরা মেনেগাস্সো বলেন, ‘‘এভাবে কাজ করার ঐতিহ্যটা প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে, যা কষ্টকর৷ এই ভালো জিনিসটা যে হারিয়ে যাচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না৷''

সোনার পাত দিয়ে গিলটি করেন এলিজাবেত্তা মাসন৷ এজন্য তিনি মেনেগাস্সো পরিবারের তৈরি সোনার পাত ব্যবহার করেন৷ এমন পাত দিয়ে কাজ করতে অনেক ধৈর্য্য লাগে৷ সামান্য হাওয়ায়ও কাজটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ 

এলিজাবেত্তা মাসন বলেন, ‘‘কারখানায় তৈরি সোনার পাত আর হাতে তৈরি পাতের মধ্যে অনেক পার্থক্য৷ কারখানায় তৈরি পাত অনেক বেশি পাতলা হয়৷ ফলে সহজে ভেঙে যায়৷ সেগুলো দিয়ে কাজ করা কঠিন৷ কারখানায় তৈরি পাত দিয়ে করা কাজ, হাতে তৈরি পাত দিয়ে করা কাজের মতো দেখতে সুন্দর হয় না৷''

ভেনিসের সেন্ট মার্কস কাম্পানিলের শীর্ষে থাকা অ্যাঞ্জেল সংস্কারে মেনেগাস্সো পরিবারের হাতে তৈরি সোনার পাত ব্যবহার করা হয়েছে৷ এভাবে এখনো ঐতিহ্যবাহী কাজ ভেনিসের ঔজ্জ্বল্য বাড়াচ্ছে৷

ইয়েনা অর্টেল/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ