1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেলখানায় আগুনে নিহত ৬৮

২৯ মার্চ ২০১৮

ভেনেজুয়েলার ভ্যালেন্সিয়া শহরের একটি জেলখানার বন্দিরা পালানোর চেষ্টা করার সময় আগুন লেগে যায়৷ এ পর্যন্ত ৬৮ জন মারা গেছে৷ প্রশ্ন উঠেছে সে দেশের জেলগুলিতে বন্দির সংখ্যা ও পরিবেশ নিয়ে৷

ছবি: Reuters/C. G. Rawlins

স্থানটি দৃশ্যত কারাবোবো রাজ্যের পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স৷ ঘটনার তদন্তের জন্য চারজন কৌঁসুলি নিয়োগের কথা বলেছেন দেশের সর্বোচ্চ সরকারি কৌঁসুলি তারেক উইলিয়াম সাব৷ নিহতদের জন্য সরকারিভাবে শোক পালনের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারের এক কর্মকর্তা৷

ভেনেজুয়েলার জেলগুলিতে বন্দিদের নোংরা ও বিপজ্জনক পরিবেশে রাখা হয় বলে বন্দিদের আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ৷ স্থান অনুপাতে মাত্রাধিক বন্দি, সেই সঙ্গে অঢেল মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র– এসব সমস্যার কোনোটাই অজ্ঞাত নয়৷

আগুন লাগার পর বন্দিদের আত্মীয়স্বজন অকুস্থলে ছুটে যান৷ পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাঁধে৷ রাইফেলধারী, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরিহিত ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর সদস্যরা উত্তেজিত জনতাকে কর্ডন করে রাখে৷

‘আ উইন্ডো টু ফ্রিডম’ এনজিও-র বিবরণ অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডে আটক বন্দিদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ত্রাণকর্মীদের জেলের দেয়াল ভেঙে ঢুকতে হয়৷ এনজিওটির অভিযোগ, বড় জেলগুলির মতো ছোট জেলগুলিতেও বন্দির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, কেননা, বন্দিদের মুক্তিদান অথবা বিচারপ্রক্রিয়ার আগে অনেকদিন ধরে তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হচ্ছে৷ দৃশ্যত এইসব জেল বা ‘ডিটেনশন সেন্টারে’ এমন সব করিডর ও কুঠুরি আছে, যেখানে পুলিশ প্রহরীরা পা দিতে পর্যন্ত ভয় পান, যার একটি কারণ হলো, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রহরীদের কল্যাণে বন্দিদের কাছে অস্ত্রশস্ত্রের কোনো অভাব নেই৷

বন্দিরা নিজেই আগুন লাগায়

সরকারি কৌঁসুলির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্দিরা নিজেই আগুন লাগায়৷

‘উনা ভেন্তানা আ লা লিবার্তাদ্’ বা ‘আ উইন্ডে টু ফ্রিডম’ এনজিও-র বিবরণ অনুযায়ী, বন্দিরা এক প্রহরীর আগ্নেয়াস্ত্র চুরি করার পর সেলের বিছানাপত্রে আগুন ধরায় – ফলে কিছু বন্দি পুড়ে মারা যায় ও বেশ কিছু বন্দি ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে প্রাণ হারায়৷ নিহতদের মধ্যে দৃশ্যত দু'জন মহিলা আছেন, যারা সম্ভবত কারো সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন৷

অগ্নিকাণ্ডের পর আত্মীয়-স্বজনেরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে তাঁদের নিরস্ত করে৷ আইন অনুযায়ী, এ ধরনের জেলখানায় বন্দিদের ৪৮ ঘণ্টার বেশি রাখার নিয়ম নেই৷

১৯৯৪ সালে পশ্চিম ভেনেজুয়েলার জুলিয়া রাজ্যের একটি কারাগারে আগুন লেগে ১০০ জনের বেশি বন্দি প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ সহিংসতাও ভেনেজুয়েলার জেলে নিত্যনৈমিত্তিক৷ ২০১৭ সালে সহিংসতা, অপুষ্টি বা যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৮ জন বন্দি দেশের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে প্রাণ হারিয়েছেন বলে ‘স্বাধীনতার অলিন্দ’ এনজিও-টির দাবি৷ ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে দক্ষিণের আমাজোনাস রাজ্যের একটি জেলখানায় দাঙ্গা বেঁধে গেলে ১৭ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন৷ সে-বছরের এপ্রিল মাসে পুবের বার্সেলোনা শহরের একটি জেলে বন্দিদের দু'টি গ্রুপের মধ্যে সংঘাতে ১২ জন নিহত ও ১১ জন আহত হন৷

এসি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ