এখনো ওপেন কনসার্টে জড়ো হয় হাজারো মানুষ৷ তারপরও সঙ্কট আছে, আছে সমস্যা এবং সম্ভাবনাও৷ সব বিষয় নিয়েই ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা)-র সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুল আলম টিপু৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলে: এক দশক আগেও বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীতের জয়জয়কার ছিল, হঠাৎ করে ছন্দপতন কেন?
শেখ মনিরুল আলম টিপু : ১০/১৫ বছর আগে ব্যান্ড মিউজিক নিয়ে যে উন্মাদনা ছিল, সেটা এখন যে নেই, সেটা বলা যাবে না৷ এখনো আছে ভালোভাবেই৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিবর্তন হয়েছে৷ তখন যে স্টুডেন্ট ছিল, এখন তো তিনি স্টুডেন্ট নেই, কর্মজীবি৷ বিভিন্ন পেশায় জড়িত হয়ে গেছে৷ এখন যারা স্টুডেন্ট, তাদের ওখানে কিন্তু এখন আমরা যাচ্ছি৷ সেখানে ভালো সাড়া পাচ্ছি৷ এবার যদি কনসার্টের কথা বলি, সেটা তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে৷ ভেন্যু স্বল্পতার কারণে৷ ওপেন কনসাটের জন্য আগে কমলাপুর স্টেডিয়াম, আর্মি স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হতো৷ এখন এসব মাঠ পাওয়া যাচ্ছে না৷ স্পন্সর, আয়োজকরা আগ্রহী, শিল্পীরা তো বটেই৷ ভেন্যুর কারণে ওটা সেভাবে হচ্ছে না৷ ঢাকার বাইরে কম-বেশি হচ্ছে, কিন্তু ঢাকার ভেতরে হচ্ছে না৷ সিকিউরিটির কারণে অনেক সময় অনুমতি দেয়া হচ্ছে না৷
তরুণরা কি এখনো আগের মতো ব্যান্ড শোনে?
আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাচ্ছি, স্কুল-কলেজে যাচ্ছি, ফ্যাশন শো-তে যাচ্ছি, সেখানে তো ভালো সাড়া পাচ্ছি৷ তা না হলে তো তারা আমাদের ডাকতো না৷ তবে এটা বলবো, সঠিকভাবে ব্যান্ড মিউজিকের চর্চা না হলে তরুণ প্রজন্ম আগ্রহটা হারিয়ে ফেলবে৷ বিশ্বব্যাপী যে মিউজিকের উন্নতি হচ্ছে, আমাদের সেভাবে উন্নতি করতে হবে৷ নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে হলে অন্য ব্যান্ড দলগুলোকেও উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে হবে৷
‘ভেন্যুর অভাবে ঢাকায় ওপেন কনসার্ট বন্ধ হয়ে গেছে'
বাংলাদেশে কতগুলো ব্যান্ড দল আছে?
কতগুলো ব্যান্ড দল আছে, সেটা বলা যাবে না, তবে বামবার সদস্য আছে ২৭ জন বা ২৭টি দল৷
এর মধ্যে মানসম্মত দল আছে কয়টি?
বামবাতে যারা আছে, তারা সবাই মানসম্মত৷ একটা স্টান্ডার্ড ছাড়া বামবার সদস্য হওয়া যায় না৷ বামবার বাইরেও বেশ কিছু ভালো ব্যান্ড আছে৷ আপনি যদি ওভাবে ভাবেন, তাহলে পাবেন না৷ তবে আমরা উন্নতি করছি, একটু সময় লাগবে৷
বলা হয়, আপনাদের গানে সুরের চেয়ে যন্ত্রই বেশি প্রাধান্য পায়৷ এটা কি ঠিক?
ব্যান্ড মিউজিকটা হলো টিম ওয়ার্ক৷ এখানে সবাই মিলে একটা সংমিশ্রনে একটা প্রোডাকশন বের হয়৷ অন্য গানগুলোকে সাউন্ড কম্পোজিশন যেভাবে হয়, ব্যান্ডে সেভাবে হয় না৷ এটা একটু ভিন্ন৷ সেই কারণে আপনি বলতে পারেন, মিউজিকের আধিক্য হয়৷ এটা প্রয়োজনের খাতিরেই হয়, অ্যারেঞ্জমেন্টের খাতিরেই হয়৷ এটা আমূলক সাধারণত হয় না৷
বাংলাদেশে বছরে ব্যান্ডের গানের কতগুলো সিডি বের হচ্ছে?
অনেকদিন ধরে সিডি হচ্ছে না৷ সিডির মার্কেটই নেই৷ আগে ঈদে, নতুন বছরে সিডি হতো৷ এখন সেভাবে হয় না৷ আগে তো ঈদে ৩০০ সিডি হতো৷
বিশ্বের নামি-দামি সংগীত ও অপেরা শিল্পীদের আলোয় যেসব মঞ্চ উদ্ভাসিত হয়, বিশ্বের সেরা অর্কেস্ট্রা যেসব মঞ্চে পারফর্ম করে, তেমন কয়েকটি সংগীত ভেন্যু আছে এই ছবিঘরে, যাদের স্থাপত্য এবং আধুনিকতা মুগ্ধ করবে আপনাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Jiajie
এল্বফিলাহার্মোনি হামব্যুর্গ, জার্মানি
১১ জানুয়ারি জার্মানির এই বৃহত্তর কনসার্ট হলটির উদ্বোধন হয়৷ এমনভাবে এটি তৈরি, যে সমুদ্রবন্দরের একফোটা শব্দ এর ভেতরে প্রবেশ করে না৷ একটি মালগুদামের উপর কাচের এই বাড়িটি যেন জলের ওপর ভাসছে৷ এটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে একদশক৷
ছবি: T. Rätzke
গুয়াংসৌ অপেরা হাউজ, চীন
পার্ল নদীর উপর এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে৷ বিশাল আকৃতির একটি প্রস্তরখণ্ডের মত দেখতে এটি৷
ছবি: picture-alliance/ANN
অপেরা সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
অসাধারণ এই স্থাপত্যের নির্মাতা ডেনিশ স্থপতি ইয়র্ন উৎসন৷ এটির নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই যিনি পদত্যাগ করেছিলেন৷ এর পেছনে খরচ হয়েছিল প্রচুর অর্থ, ছড়িয়ে পড়েছিল অনেক গুজব৷ ১৪ বছর লেগেছিল এটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে৷ চালু হয়েছিল ১৯৭৩ সালে৷ ২০০৭ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় এটি৷ ছ’বছরের সংস্কার শেষে চলতি বছরের মে মাসে আবারও এটি চালু হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Naupold
ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস, চীন
বেইজিং-এ তিয়েনানমেন স্কয়ার থেকে খুব বেশি দূরে নয়, কিছুটা পথ গেলেই কৃত্রিম লেকের উপর ‘বিশাল একটি ডিম’ বা ‘পানির ফোটা’-র মতো এই ভবনটির দেখা পাবেন৷ ফরাসি স্থপতি পল অ্যান্ড্রু ১৯৯৯ সালে এটি নির্মাণ করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Xiashun
পালাউ দে লেজার্ত রেইনা সোফিয়া, স্পেন
নিজের জন্মস্থান ভ্যালেন্সিয়ায় শিল্প ও বিজ্ঞানের অপূর্ব সংমিশ্রণে একটি পুরো শহর নির্মাণ করেছেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি সান্তিয়াগো কালাত্রাভা৷ ‘কুইন সোফিয়া প্যালেস অফ দ্য আর্টস’-এর অনন্য নিদর্শন ৷ এটি দেখে কী মনে হয়? ভবন বা স্থাপত্য? নাকি কোনো বিশালাকৃতির রাজহাঁস বা একটি তিমি?
লস অ্যাঞ্জেলেসের ফিলহার্মোনিক অর্কেস্ট্রার হোম ভেন্যু এটি, বর্তমানে যেটির পরিচালক গুস্তাভো দ্যুদামেল৷ বিশাল একটি ফুলের মতো দেখতে এই স্থাপনাটির নামকরণ করা হয়েছে ওয়াল্ট ডিজনির নামে৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
এসপ্লানাডে থিয়েটার্স অন দ্য বে, সিঙ্গাপুর
দু’টি গোলাকৃতির কাঠামো এবং ৭ হাজার ত্রিকোণাকৃতির কাচ দিয়ে স্থাপনাটি নির্মিত৷ স্থানীয় মৌসুমী ফলের নামে স্থানীয়রা এটির নাম দিয়েছেন ‘ডুরিয়ান’৷ সিঙ্গাপুরের সিম্ফোনি অর্কেস্ট্রা এই কনসার্ট হলে প্রায়ই অনুষ্ঠান করে৷ এখানে আসন সংখ্যা ১৬০০৷ এছাড়া নাটক ও অন্যান্য পারফর্মেন্সের জন্য আলাদা ২০০০ আসন রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/A. Hall
হার্পা মিউজিক হল, রাইকজাভিক, আইসল্যান্ড
আংশিক রং করা কাচের বিল্ডিং ব্লকগুলোকে মৌমাছির চাকের মতো বসিয়ে আলোর জাদু সৃষ্টি করেছেন শিল্পী ওলাফুর এলিয়াসন৷ দিনের বেলায় বাইরে থেকে কাচের ওপর আলো পড়ে বর্ণালীর সৃষ্টি হয়, রাতে ভবনটির ভেতরের আলো জ্বললে পুরো ভবনটি রঙ বদলায় বহুরূপীর মতো৷
গেটসহেড আর নিউক্যাসলের মধ্যে টাইন নদীর ওপর সাতটা সেতু৷ তার মধ্যে মিলেনিয়াম ব্রিজটি সেজ গেটসহেড কনসার্ট হলের ওপর দিয়ে চলে গেছে৷ পুরো ভবনেই আলো জ্বলে৷ এর নকশা করেছেন প্রখ্যাত স্থপতি স্যার নর্মান ফস্টার৷ উদ্বোধন করা হয় ২০০৪ সালে৷ কনসার্ট হলটি প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা করে বছরে ৩৬৪ দিন খোলা থাকে৷
ছবি: picture alliance/Robertharding
কালচারাল সেন্টার হেডার আলিয়েভ, আজারবাইজান
এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি বাকু শহরে কাসপিয়ান সমুদ্রের ওপর নির্মিত৷ বর্তমান প্রেসিডেন্টের নামে নামকরণ করা হয়েছে এটির৷ ২০০৭ সালে এটির নকশা করেন স্থপতি জাহা হাদিদ৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/D. Shamkin
10 ছবি1 | 10
কোন ব্যান্ড দলের প্রধান নারী?
কোনো নারী যদি ব্যান্ড দল বানান, তাহলে সেটা হতে পারে৷ এটা আমি ঠিকভাবে জানি না৷ যেমন, মেহেরিন করেছিল তার নামে৷ আরো কয়েকজন করেছিল তাদের নামে৷ এখন তাদের কী অবস্থা আমি জানি না৷
ব্যান্ডে কি দেশীয় ঐতিহ্য ফুটে ওঠে?
একেকটা ব্যান্ড একেক ধরনের মিউজিক করে৷ কেউ ফোক, কেউ রক, কেউ হার্ডরক করে৷ যে যে ধরনের মিউজিক করে, সে তার কম্পোজিশন সেভাবে তৈরি করে৷
দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ব্যান্ড সঙ্গীতের কি কোনো পার্থক্য আছে?
ব্যান্ড তো দেশীয় সংস্কৃতিরই অংশ৷ ব্যান্ডে কয়েকজন মিলে কাজ করছে, এটা একটা টিম ওয়ার্ক৷ এখানে একেকজন একেক ধরনের ইনস্ট্রুমেন্ট বাজায়৷ কে কী ধরনের মিউজিক করবে, সে সেই ধরনের ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়ে কাজ করবে৷ এটা তার টেষ্টের উপর নির্ভর করে৷
ব্যান্ড সংগীতের মাধ্যমে পশ্চিমা ধাচের সংস্কৃতি দেশে ঢুকে পড়ছে, এমন অভিযোগ কতটা ঠিক?
আমরা তো ওয়েস্টার্ন মিউজিক ফলো করি, শুনি৷ সেটার ছাপ তো আমাদের মধ্যে থাকবেই৷ কারণ, ওখান থেকে আমরা শিখি, জানি, বুঝি৷ শুধু পশ্চিমা নয়, ইস্টার্ণ, ইস্টর্ণ ক্লাসিক্যাল বা ওখানকার যে রাগ আছে, সেটা আমরা শেখার বা বোঝার চেষ্টা করি৷ যখন আপনি ওগুলো নিয়ে চর্চা করবেন, তখন আপনার মিউজিকে সেটার প্রতিফলন হবে৷ এটা অভিযোগ করলে হবে না, যার যেটা ভালো লাগে সে সেটা শুনছে৷
ব্যান্ড দলগুলো মূলত কোন ধরনের শ্রোতাদের টার্গেট করে গড়ে উঠছে?
মিউজিক তো মিউজিকই৷ একেবারে টিএনজার থেকে শুরু করে বড়রাও শুনবে৷ সবারই টার্গেট থাকে ছোট-বড় সবার, যার আমার গান ভালো লাগবে৷ গানগুলো আসলে বয়স চিন্তা করে করা হয় না৷ ভালো গান করাটাই হলো মূল উদ্দেশ্য৷ আমাদের চিন্তা থাকে আপনি এখন যে গান করছেন, সেটা যেন ২০-৩০ বছর পরও মানুষ শোনে৷
বিদেশি ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা দেখা যায় সব শ্রেণিতেই৷আমাদের দেশে ব্যান্ড দলগুলো কি সব শ্রেণির মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারছে?
আমাদের দেশে তো ব্যান্ড মিউজিক শুরু হলো কিছুদিন আগে৷ হুট করেই তো কারো কাছে এটা ভালো না-ও লাগতে পারে৷ এক প্রজন্ম না করলেও হয়ত পরের প্রজন্ম এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে৷ এর জন্য সময় লাগবে৷ আমরা তো এটা শুরু করেছি, আমরা দেখেছি আগের প্রজন্ম এটা পছন্দ না করলেও পরের প্রজন্ম এটা পছন্দ করছে৷
যদি বিদেশি ব্যান্ডের সঙ্গে আপনাদের তুলনা করতে বলি, তাহলে আপনি কি বলবেন?
তুলনা করা ঠিক হবে না, আমরা চেষ্টা করছি৷ আমরাও হার্ড মিউজিক করার চেষ্টা করছি৷ আমরা নিজেদের ইন্টারন্যাশনাল লেভেলের মনে করি, সেই মানের কাজ করার চেষ্টা করি৷ আসলে পশ্চিমা বলেন আর ইস্টার্নই বলেন, যেখানেই ভালো কাজ হবে, সেটাই ভালো৷ ভালো তো সব সময়ই ভালো৷
বিশ্ববিখ্যাত ব্যান্ডগুলোর ভাঙা-গড়া
যশ, অর্থ ও প্রতিপত্তি যখন তুঙ্গে থাকে, তখন অনেকেই তা ঠিক সামাল দিতে পারেন না৷ সে কারণেই যুগে যুগে বিখ্যাত সব ব্যান্ড ভেঙেছে৷ অনেকে ব্যান্ডের ছায়ায় না থেকে নিজের আলাদা ক্যারিয়ার গড়েছেন৷ ছবিঘরে দেখে নিন তারই এক ঝলক৷
ছবি: Getty Images/AFP
দ্য বিটলস
১৯৬৯ সালেই ব্যান্ড ছেড়ে দেন লেজেন্ড গায়ক জন লেনন৷ তবে ১৯৭০ সালে সতীর্থ পল ম্যাককার্টনি একক অ্যালবামের ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP
দ্য ঈগলস
১৯৮০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যান্ডের তকমা দ্য ঈগলসের গায়ে৷ মূল দুই সদস্য বার্নি লেডন ও রেন্ডি মাইজনার ব্যান্ড ছেড়ে দেন৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, দলের ভেতরের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে৷ কর্তৃত্ব আর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেদের দ্বন্দ্ব এতটাই চরমে পৌঁছে যায় যে, ১৪ বছর একসাথে থাকার পর ভেঙে যায় ব্যান্ডটি৷
ছবি: Imago/UnitedArchives
গানস অ্যান’ রোজেস
জনপ্রিয়তা আর বাণিজ্যিক সাফল্যের শিখরে থাকা অবস্থাতেই ভেঙে যায় গানস অ্যান’ রোজেস৷ গায়ক রোজ ও গিটরিস্ট স্ল্যাশের মধ্যকার দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছে৷ দু’জনেই আধিপত্য বজায় রাখতে গিয়ে ব্যান্ডটা ভেঙ্গে ফেলেন৷
ছবি: Imago/ZUMA Press
পিংক ফ্লয়েড
১৯৮৩ সালে প্রথম ভাঙে এই বিখ্যাত দলটি৷ দু’বছর পর আবার দলকে এক করার চেষ্টা করেন ডেভিড গিলমোর ও নিক মেসন৷ কিন্তু ব্যান্ডটির অমর সৃষ্টি ‘দ্য ওয়াল’ গানের মূল নায়ক রজার ওয়াটার্স নিজের একক ক্যারিয়ার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন৷ শুধু তাই নয়, তিনি ব্যান্ডটি আবার একত্রিত হচ্ছে, তা-ও মেনে নিতে পারেননি৷ মামলা ঠুকে দেন অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে৷ পরে অবশ্য কোর্টের বাইরেই ফয়সালা হয়৷
ছবি: Reuters/S. Wermuth
স্পাইস গার্লস
গান ও মিউজিক ভিডিও দিয়ে লাখো তরুণের মন মাতানো স্পাইস গার্লসও এক থাকতে পারেনি৷ ১৯৮৮ সালে গ্যারি হ্যালিওয়েল (জিনজার স্পাইস) ঘোষণা দেন যে, তিনি বিশেষ কারণে দল ছেড়ে দিচ্ছেন৷ এরপর কিছুদিন একক ক্যারিয়ার চালিয়ে গেলেও দলটি বেশিদিন আর টিকতে পারেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Owen
দ্য এভারলি ব্রাদার্স
প্রায় দুই দশক গান গেয়ে পুরো পৃথিবী মাতান৷ এরপর তাঁদের মধ্যে কে বড়, তাই নিয়ে বাঁধে ঝগড়া৷ সেই ঝগড়ার কারণে দলটিই ভেঙে দিয়ে আলাদা আলাদা ক্যারিয়ার নিয়ে এগিয়ে যান৷
ছবি: Getty Images
ওয়েসিস
ব্যান্ডের দুই সহোদর গীতিকার নোয়েল ও লিয়াম গ্যালাঘারের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রায়ই সহিংস হয়ে উঠতো৷ যখন নোয়েল নিজের নাম ‘অলসো লিয়াম’-এ পরিবর্তন করলেন, তখন ব্যান্ডটিকে ধরে রাখা গেল না৷ ভেঙ্গে গেল৷
ছবি: AP
এন সিঙ্ক
ব্যান্ডটি বেশ ভালোই নাম কুড়িয়েছিল৷ কিন্তু অন্যতম সদস্য জাস্টিন টিম্বারলেক যখন ২০০২ সালে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম বের করলেন, তখনই শঙ্কায় পড়লো ব্যান্ডের ভবিষ্যৎ৷ এরপর ২০০৪ সালে ঘোষণা দিয়েই ব্যান্ড ছেড়ে বেরিয়ে এলেন টিম্বারলেক৷
ছবি: Getty Images/Liaison
8 ছবি1 | 8
আপনিও কি মনে করেন ভেন্যুর অভাবেই কনসার্ট বন্ধ হয়ে গেছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷