1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সর্দি-কাশির সমস্যা

১৭ মে ২০১৩

কত রোগের ওষুধ বেরোয়, কিন্তু সর্দি-কাশি সামলাতে এখনও হিমশিম খান ডাক্তাররা৷ তার উপর মানুষ নিজেরাই নিজেদের উপর ডাক্তারি করে কখনো অ্যান্টিবায়োটিক খায়, কখনও তা বন্ধ করে দেয়৷ এমন খামখেয়ালিপনা আদৌ রোগ সারাতে সাহায্য করে না৷

ছবি: DW

সবারই নিশ্চয়ই এই অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ প্রথমে নাকে একটু সুড়সুড় করে৷ তারপর সর্দি ধরে৷ সবশেষে দেখা দেয় জ্বরজ্বর ভাব ৷ তখন অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিকের দিকে হাত বাড়ায়৷ কিন্তু নাক, কান, গলার বিশেষজ্ঞ ড. হান্স মিশায়েল শ্ট্রাল এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রথমে বুঝতে হবে, সংক্রমণটা ভাইরাস না ব্যাকটেরিয়ার৷ তিনি বললেন, ‘‘ভাইরাসের সংক্রমণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রুত ঘটে৷ ঝট করে সংক্রমণ ঘটলে বুঝতে হবে এটা ভাইরাস৷ কাঁপিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এলে শরীরের তাপও বেড়ে যায়৷ অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ধীরে ধীরে আসে৷

ঠাণ্ডা লাগাটা সাধারণত ভাইরাস থেকেই হয়৷ যার সর্দি হয়েছে তার কাছে গেলে বা তার সাথে হাত মেলালে সংক্রমণ ঘটে৷ অ্যান্টিবায়োটিক এক্ষেত্রে কাজে লাগেনা৷ অ্যান্টিবায়োটিক মানে জীবাণুর বিরুদ্ধেই লড়াই, অর্থাৎ যার প্রাণ আছে৷ ‘অ্যান্টি' মানে বিরুদ্ধে, ‘বায়ো' অর্থাৎ জীবন৷ এটা শুধু ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷

নিজের উপর ডাক্তারির অভ্যাস কার না নেই!ছবি: Manjunath Kiran/AFP/Getty Images

ড. শ্ট্রাল আরও বললেন, ‘‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার বিস্তারে বাধা দেয়, অর্থাৎ বাড়তেই দেয় না৷ অথবা সেগুলিকে একেবারে মেরে ফেলে৷ দুটি দুই ধরনের প্রক্রিয়া৷ তাই বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক এক সাথে খাওয়া উচিত নয়, এর ফল মারাত্মক হতে পারে৷''

নির্দিষ্ট সময়ের আগে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করে দেওয়াও বিপজ্জনক৷ অনেকে রোগের উপসর্গ দেখা দিলে প্রথম প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকে৷ কিন্তু একটু ভালো বোধ করলেই আর খায় না৷ এটা বিরাট ভুল৷ ড. শ্ট্রাল মনে করেন, ‘‘অ্যান্টিবায়োটিক ঠিকমতো প্রয়োগ করলে তার ফলও তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়৷ তখন রোগী মনে করে, ‘‘আমার তো ভালোই লাগছে, আর ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই৷'' কিন্তু নিয়ম হচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিক কমপক্ষে পাঁচ দিন খেতে হবে৷ অথবা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে, কতদিন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া প্রয়োজন৷''

ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে নিয়মিত নাকের ফ্লাশিং আর টমেটো জুস পান করতে বলেন চিকিত্সকরা৷ ড. শ্ট্রাল বললেন, ‘‘দেখা গেছে, একেবারে সস্তার টমেটো জুসেও লাইকোপিন নামের লাল রং-এর এক ধরনের উপাদান থাকে৷ এটা সর্দি প্রতিরোধ করার ক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়৷ তাই বিশেষ করে শীতকালে প্রতিদিন এক গ্লাস করে টমেটো জুস খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়৷''

তবে শরীরের প্রতিরোধ শক্তি জোরালো করতে হলে প্রয়োজন নিয়মিত হাঁটাচলা ও টাটকা বাতাস৷ তবুও যদি ঠাণ্ডা লাগে, তাহলে গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যাবে৷ এতে সাইনাস ও নাকের ভেতরের পাতলা চামড়ার তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বেড়ে যাবে৷ ফলে সংক্রমণ রুখতে ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতাও জোরালো হবে৷ এই ভাবে বছরের ঠাণ্ডা ঋতুটা পার করা সহজ হবে৷

আরবি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ