ভেবেচিন্তে প্রজ্ঞাপন দিন, নয়তো পাগলা গারদ খুলুন
২৭ মে ২০২০গত কয়েকমাসের প্রজ্ঞাপনের অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো নয়৷ নানা বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, সমালোচনার মুখে কিছু আবার প্রত্যাহারও হয়েছে৷ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জনহিতকর ভেবে প্রথমে জারি করা আদেশের কথা ভুলে থাকাই যায়, করোনার এ মহাসংকটের সময় উটকো ঝামেলা এড়ানো গেলে ভালোও লাগে৷ কিন্তু ওই ভালোলাগা মুছে দিতে আরেকটা অনান্তরিক এবং অবিবেচনাপ্রসূত প্রজ্ঞাপনই যথেষ্ট৷ রাত পোহালে সেরকম আরেক প্রজ্ঞাপনের দেখা মেলে কিনা সেই চিন্তা নিশ্চয়ই দেশবাসীকে এখন পেয়ে বসেছে৷
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর খবর অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে ঘরে থাকার মেয়াদ আর না বাড়িয়ে আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ এ সময় সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে চলবে৷
কিন্তু চলবে কিভাবে? অফিসে যাবেন কিভাবে সবাই? অফিস থেকে প্রতিদিন বাড়ি ফিরবেন কিভাবে? গণপরিবহনও তো আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ৷ সরকার যে বলছে ‘নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়’, সেভাবে কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য আছে কয়টি প্রতিষ্ঠানের? এসবের সুনির্দিষ্ট এবং যুক্তিযুক্ত জবাব আমরা পাবো তো? সেই জবাবে সরকারের গণমুখী চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হবে তো?
বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সব বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ সেখানে গণপরিবহন বন্ধ রেখে সবাইকে স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রেখে নিরাপদে যাতায়াতের একটা উপায় বলে দিলে সবাই নিশ্চয়ই খুশি হবেন৷ আর তা না পারলে দেশে নতুন ‘পাগলা গারদ’ খোলার দরকার হতে পারে৷ করোনার হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে প্রতিদিন পথে নানা ধরনের ‘যুদ্ধ’ করে করে কর্মস্থলে যাওয়া, কর্মস্থল থেকে ফেরা; যেতে না পারলে এই দুঃসময়ে বেকার হওয়ার শঙ্কা- সবার পক্ষে এত শারীরিক এবং মানসিক চাপ সহ্য করা তো অসম্ভব!