1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোটে জিতেছেন সিপ্রাস

১৬ জুলাই ২০১৫

শর্ত মেনে ঋণ গ্রহণের পক্ষে রায় পেয়েছেন আলেক্সিস সিপ্রাস৷ সংসদে বিরোধী দলেরও সমর্থন পেয়েছেন, তবে নিজের দল থেকেই এসেছে বিরোধিতা৷ সিপ্রাস বলেছেন, ‘‘অর্থনৈতিক পদক্ষেপগুলো খুব কঠোর৷ আমাকে এ সব মানতে বাধ্য করা হয়েছে৷''

Griechenland Parlament Alexis Tsipras
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis

জানুয়ারির নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে বামপন্থি সিরিসা পার্টি৷ আলেক্সিস সিপ্রাস হন প্রধানমন্ত্রী৷ শুরু থেকেই সিপ্রাস এবং তাঁর সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শর্ত মেনে ঋণ নেয়ার বিপক্ষে৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-র কঠোর অবস্থানের কারণে গত সোমবার শর্তসাপেক্ষে ঋণ নিয়েই গ্রিসকে আরো বড় রকমের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করার অঙ্গীকার করতে হয়েছে সিপ্রাসকে৷ তাঁর এই সিদ্ধান্ত সংসদেরও অনুমোদন পেয়েছে৷ ৩০০ আসনের গ্রিক সংসদে শর্ত মেনে ঋণ গ্রহণের পক্ষে ভোট পড়েছে ২২৯টি, ৬৪ জন সংসদ সদস্য ভোটের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন, বাকিরা ভোট দেননি৷

এই ভোটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নিজের দলের ৪৯জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৩২ জনেরই সমর্থন পাননি সিপ্রাস৷ তাঁরা বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ ৬ জন ভোটে অংশ নেননি আর একজন সংসদেই আসেননি৷ বিপক্ষে ভোট দেয়া সংসদ সদস্যরা মনে করেন, গণভোটের মাধ্যমে যে বিষয়ে জণগনের সমর্থন নেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে উল্টো অবস্থান দুঃখজনক৷ সিপ্রাস অবশ্য ভোট গ্রহণের আগে সবার সমর্থন আহ্বান করে বক্তব্য রাখার সময় বলেছেন, ‘‘আমিও মনে করি যেসব অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে সেগুলো খুবই কঠোর এবং গ্রিসের অর্থনীতির জন্য এ সব কোনো সুফল বয়ে আনবে না৷ তবে এসব মেনে নিতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছে৷''

গণভোটের পরই ইইউ-র সঙ্গে গ্রিসের আলোচনার পরিবেশ ভালো করার স্বার্থের কথা বলে পদত্যাগ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিস৷ বুধবার সংসদে ভোট অনুষ্ঠানের পর তিনি বলেছেন, ইইউ গ্রিসের সঙ্গে যে আচরণ করছে, ১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে জার্মানির সঙ্গেও একই আচরণ করা হয়েছিল৷ ভারুফাকিস, বর্তমান জ্বালানি মন্ত্রী পানাগিওটিস লাফাজানিস এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী দিমিত্রিস স্ট্রাটুলিস বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ সিরিসা পার্টি এবং সিপ্রাস সরকারের ভেতরের মতপার্থক্য আরো পরিষ্কার করেছে আরেকটি পদত্যাগ৷ এবার অর্থ প্রতিমন্ত্রী নাদিয়া ভালাভানিও দায়িত্ব ছেড়ে সরকার থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন৷

প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে গ্রিসের সব ব্যাংক বন্ধ৷ অর্থনৈতিক সঙ্কটের সাথে সাথে জনজীবনের বিপর্যয়ও সীমা অতিক্রম করছে৷ অবস্থা কিছুটা ভালো হতে পারে বৃহস্পতিবার ফ্রাংকফুর্টে অনুষ্ঠেয় ইউরোপীয় কেন্ত্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)-র পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা শেষ হলে৷ এ সভায় জরুরি তহবিল ছাড়ের মাধ্যমে গ্রিসের ব্যাংকগুলো খুলতে সহায়তা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ইইউ-এর দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের বিশেষ সভাও হচ্ছে বৃহস্পতিবার৷ এ সভায় গ্রিসকে ৭ বিলিয়ন ইউরো দেয়ার সিন্ধান্ত হতে পারে৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ