1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

৪ সেপ্টেম্বর ২০১২

৪ বছর আগে বারাক ওবামা ডেমক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছিলেন৷ কিন্তু আজ তাঁর পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ বুধবার শুরু হচ্ছে ডেমক্র্যাটিক কনভেনশন৷

ছবি: picture-alliance/dpa

২০০৮ সালের দিকে ফিরে তাকালে মনে পড়ে যায় ওবামা'কে ঘিরে বিপুল উৎসাহের জোয়ারের সেই সব দৃশ্য৷ ‘ইয়েস উই ক্যান' স্লোগানের মাধ্যমে সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন তিনি৷ তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল ‘হোপ অ্যান্ড চেঞ্জ' – অর্থাৎ আশা ও পরিবর্তন৷ তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি, ওয়াশিংটনের ক্ষমতাকেন্দ্রের হাল-হকিকত বোঝার বেশি সময় আমার ছিল না৷ তবে ওয়াশিংটন'কে যে বদলাতে হবে, তা বোঝার জন্য যথেষ্ট সময় আমি সেখানে কাটিয়েছি৷''

৪ বছর পর সেই উৎসাহ-উদ্দীপনা স্তিমিত হয়ে গেছে৷ বারাক ওবামা মেনে নিচ্ছেন যে, এখনো অনেক কাজ বাকি৷ দ্বিতীয় কার্যকালের জন্য দরবার করতে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি৷ ৪ বছর আগে সবাইকে অবাক করে তিনি আইওয়া রাজ্যে ডেমক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও সেখানে তিনি রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী জন ম্যাককেন'কে হারিয়েছিলেন৷ ফলে আইওয়া'কে এখন ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট'

 বলা হচ্ছে৷ সেখানে প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তাঁর এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী মিট রমনি প্রায় সমান মাত্রায় এগিয়ে আছেন৷ মার্শালটাউন নামের এক ছোট্ট শহরের স্কুলে প্রচার সভায় ওবামা বিনয়ের সঙ্গে বললেন, ‘‘২০০৮ সালে আমি বলেছিলাম, আমি মোটেই ‘পার্ফেক্ট' নই৷ আপনারা আমার স্ত্রী মিশেল'কেও জিজ্ঞাসা করতে পারেন৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবেও আমি ‘পার্ফেক্ট' হতে পারি নি৷ এটা সম্ভব নয়৷''

সেইসঙ্গে ওবামা দাবি করেন, যে প্রতি দিন তিনি ভোটারদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন৷ তাঁর মতে, আরও স্কুল তৈরি করতে হবে, আরও শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, আরও বেশি সংখ্যক সৈন্যকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে, আরও রাস্তাঘাট তৈরি করতে হবে৷ মোটকথা তিনি যা যা করতে চান, তার তালিকা দীর্ঘ হয়ে উঠছে৷ সবার উপর রয়েছে দেশকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধার করা৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮ শতাংশের বেশি বেকারত্বের হার অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ৷ ওবামা ২০০৯ সালে কোটি কোটি ডলার সরকারি সহায়তার বন্দোবস্ত করা সত্ত্বেও অর্থনীতি অত্যন্ত ধীর গতিতে মাথা তুলছে৷ ওবামা অন্য যে সব ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তন করে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছিলেন, সেগুলিও পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব হয় নি৷ যেমন অভিবাসনের ক্ষেত্রে সংস্কার এখনো থমকে আছে৷ ওয়াল স্ট্রিট পুঁজিবাজারের সংস্কারের কাজও আংশিকভাবে সফল হয়েছে৷

তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোর ঘোষিত নীতি শেষ পর্যন্ত কার্যকর করে ছেড়েছেন বারাক ওবামা৷ ২০১০ সালের মার্চ মাসে সেই আইন চালু হয়েছে৷ কিন্তু কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে তাঁকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে৷ সংসদের দুই কক্ষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হারিয়ে ডেমক্র্যাট দল বেকায়দায় পড়েছে৷ সংসদে দুই শিবিরের ক্ষমতার লড়াইয়ের ফলে ২০১১ সালে আইন প্রণয়নের কাজ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছিল৷

এই পরিস্থিতিতে জনমত সমীক্ষায় ওবামার জনপ্রিয়তা হু হু করে কমতে থাকে৷ ক্ষমতায় এসে প্রায় ৬৮ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছিলেন তিনি৷ এখন সেই মাত্রা ৪৫শে নেমে এসেছে৷ এমনকি পূর্বসূরি জর্জ ডাব্লু বুশও একই সময়ে ৪৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন৷ মার্কিন গাড়ি নির্মাণ শিল্পক্ষেত্রকে বাঁচানো ও ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের মতো সাফল্যও মানুষের মন কাড়তে পারে নি৷ শুধুমাত্র ওসামা বিন লাদেনের হত্যাকাণ্ডের ফলেই ওবামার জনপ্রিয়তা একলাফে বেড়ে গিয়েছিল৷ সেই জনপ্রিয়তার উপর ভরসা করে ওবামা এখন ‘চেঞ্জ' বা পরিবর্তনের বদলে ‘ফরওয়ার্ড' বা অগ্রগতির স্লোগান নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় ফিরতে চান৷

প্রতিবেদন: ক্রিস্টিনা ব্যার্গমান/এসবি

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ