1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোলায় পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষের মামলায় আসামি চার শতাধিক

১ আগস্ট ২০২২

ভোলায় পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অন্তত অর্ধশত আহতের ঘটনায় দুটি মামলা করেছে পুলিশ৷ বিএনপির পক্ষ থেকে পাল্টা মামালার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান দলটির এক নেতা৷

প্রতীকী ছবিছবি: bdnews24.com

রোববার রাতে ভোলা সদর মডেল থানার এসআই মো. জসিম বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার জানান৷

তিনি ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি এবং সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম হত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে৷ এতে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যানসহ বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে পুলিশ৷ আসামিদের মধ্যে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ আর ৩৫০ জন অজ্ঞাত পরিচয়৷ তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান ফরহাদ৷

এর আগে রোববার দুপুরে জেলা সদরের মহাজনপট্টিতেপুলিশ ও বিএনপির  নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে একজন নিহত ও অন্তত অর্ধশত আহত হয়৷

লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়৷ এক পর্যায়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান৷ এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে৷ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে৷

নিহত আবদুর রহীম স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী বলে জানান বিএনপি নেতারা, তাদের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে রহীম নিহত হয়েছেন৷ ঘটনার পর ১১ জনকে আটকের কথা জানায় পুলিশ৷ দুপুরে শহরের মহাজনপট্টির বাসভবনে জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঘটনার বিবরণ দেন৷

সেখানে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে ভোলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ' অশান্ত করার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গুলি, টিআর সেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে৷ পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহীম মারা যায়৷ হামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে৷’’

আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বরিশাল ও ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেন জানান তিনি৷ তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার৷

তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে এ ঘটনার জন্য বিএনপিকেই পাল্টা দায়ী করেছেন৷ পুলিশের এ কর্মকর্তার ভাষ্য,  ‘‘সমাবেশ শান্তিপূর্ণই ছিল কিন্তু সমাবেশ শেষে মিছিল করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে পড়েন৷ তখন তারা পুলিশের উপর হামলা করেন৷’’

এদিকে সেচ্চাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকেও পাল্টা মামালা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা বিএনপি নেতা গোলাম নবী৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ