বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনার টিকা দেয়া শুরুর কথা থাকলেও তার আগেই শুরু হতে পারে৷ স্বাস্থ্যসেবা সচিব আবদুল মান্নান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা উপহারের টিকা দিয়ে এ মাসেই সূচনা করার চিন্তা করছি৷’’
বিজ্ঞাপন
বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার ভারতের উপহার অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা হাতে পেতে পারে বাংলাদেশ৷ দূতাবাসের মাধ্যমে এই টিকা হস্তান্তর করা হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার দুপুরে জানিয়েছেন৷
বিমানবন্দরে হাজির থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই তা গ্রহণ করবেন৷ ভারত যে উপহারের টিকা পাঠচ্ছে তার চিঠি এসে গেছে৷
স্বাস্থ্যসেবা সচিব আবদুল মান্নান ডয়চে ভেলেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন পেশাজীবীদের ছোট ছোট গ্রুপকে এ মাসেই ভ্যাকসিন দেয়ার চিন্তা করছি৷ এর মাধ্যমে একটা অবজার্ভেশনও হবে৷ যেহেতু আমরা আগেই উপহারের ভ্যাকসিন পাচ্ছি, তাই এটা কাজে লাগাতে চাই৷ শুরুটা করতে চাই৷”
তিনি জানান, এই ২০ লাখ ডোজ টিকা তিন কোটি ডোজের চুক্তির বাইরে৷ এটার সাথে চুক্তির কোনো সম্পর্ক নাই৷ এটা অতিরিক্ত৷
আবদুল মান্নান
তবে তিনি বলেন, এ মাসেই টিকা দেয়া শুরু হলেও মূল টিকা কর্মসূচির সাথে যেন সময়ের পার্থক্য বেশি না হয়, তাহলে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে, সেটাও বিবেচনা করা হচেছ৷
বাংলাদেশের নাগরিকদের বিনামূল্যে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা সচিব৷ তবে বেসরকারি উদ্যোগে টিকা আনার কয়েকটি আবেদন আছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে৷ তাদের অনুমতি দেয়া হলে সেই টিকা নাগরিকদের কিনতে হবে বলে জানান তিনি৷
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক বৈঠক শেষে দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে শিডিউল আছে তাতে আগামীকাল (বুধবার) টিকা আসবে৷ পরশুদিনও (বৃহস্পতিবার) হতে পারে৷’’
তবে ওই ব্রিফিং-এ উপহারের টিকা নির্ধারিত সময়ের আগেই দেয়া হবে কিনা বা দেয়া হলে কারা পাবেন সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম৷ তিনি বলেন, বুধবার এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে বৈঠক আছে৷ সেখানেই এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷
বাংলাদেশে টিকা দেয়ার যে খসড়া পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে যে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে তার প্রথম চালান আসবে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ৷ ২৬ জানুয়ারি থেকে হবে অ্যাপস-এর মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন৷ ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে৷ প্রথম চালানের ৫০ লাখ টিকা ৫০ লাখ নাগরিককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে৷
প্রশ্ন-উত্তরে করোনার টিকা
করোনার টিকা কি হালাল, শিশু ও গর্ভবতীরা কি টিকা নিতে পারবে, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি, কতদিন স্বাস্থ্য়বিধি মানতে হবে- এমন সব প্রশ্নের উত্তর থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Leon Neal/Getty Images
কতগুলো টিকা অনুমোদন পেয়েছে
ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন বায়োনটেক-ফাইজার, মডার্না ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, এই তিন টিকার অনুমোদন দিয়েছে৷ এর বাইরে রাশিয়া স্পুটনিক ৫ ও চীন সিনোভ্যাক টিকার অনুমোদন দিয়েছে৷
ছবি: Sven Hoppe/dpa/picture alliance
পার্থক্য
বায়োনটেক-ফাইজার ও মডার্নার টিকা হচ্ছে এমআরএনএ টিকা৷ মডার্নার টিকা ঘরের রেফ্রিজারেটরে সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত রাখা যায়৷ বায়োনটেক-ফাইজারের টিকার মতো মডার্নার টিকাকে পরিবহনের সময় মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হয় না৷ আর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ভেক্টর ভাইরাস টিকা, যা সাধারণ রেফ্রিজারেটরে রাখা যায়৷
ছবি: ULMER Pressebildagentur/picture alliance
দ্বিতীয় ডোজে অন্য টিকা?
তিনটি টিকার ক্ষেত্রেই দুটো করে ডোজ দিতে হয় এবং ডোজ দুটো একই টিকার হতে হবে৷ কারণ দুই ডোজে দুই ধরনের টিকা নিলে কী হতে পারে সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য নেই৷
ছবি: TASR/dpa/picture alliance
করোনা হলেও টিকা নিতে হবে?
হ্যাঁ, নেয়া ভালো৷ কারণ একবার সংক্রমিত হলে পরে আর হবে না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই৷
ছবি: Abdesslam Mirdass/Hans Lucas/imago images
কী অবস্থায় টিকা নেয়া যাবেনা?
করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় এবং সাধারণ সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকলে সেই সময় টিকা নেয়া যাবে না৷ কোয়ারান্টিনে থাকার সময়ও টিকা নেয়া যাবে না৷ যাদের কোনো বিষয়ে অ্যালার্জি আছে তাদের বেশিরভাগই টিকা নিতে পারবেন৷
ছবি: Markus Schreiber/AP Photo/picture alliance
শিশুদের টিকা?
টিকাগুলো ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সিদের দেয়ার জন্য অনুমোদন পেয়েছে৷ শিশুদের টিকা দেয়ার বিষয়ে গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছে জার্মানির রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
গর্ভবতীরা টিকা নিতে পারবেন?
‘জার্মান স্ট্যান্ডিং কমিশন অন ভ্য়াকসিনেশন’ বা স্টিকো গর্ভবতীদের টিকা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেনা৷ আবার না-ও করছেনা৷ তবে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে যাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তারা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ঝুঁকি-লাভ বিবেচনা করে টিকা নিতে পারেন বলে জানিয়েছে স্টিকো৷ এদিকে, এমআরএনএ টিকা গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিশ্বাস করেননা বিশেষজ্ঞরা৷ তবে এ বিষয়ে এখন প্রাণীর উপর গবেষণা চলছে৷
টিকা নেয়ার পর তিনদিনের মধ্যে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে৷ যেমন টিকার স্থান ফুলে যাওয়া, মাথাব্য়াথা, জ্বর, দুর্বল লাগা ইত্যাদি৷ তবে দুদিনের মধ্যে এগুলো সেরে যাবার কথা৷
ছবি: Imago Images/M. Eichhammer
অন্য টিকা নিতে কতদিন অপেক্ষা?
ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম, রুবেলা কিংবা টিটেনাসের টিকা নিতে চাইলে করোনার টিকা নেয়ার আগে বা পরে ১৪ দিন অপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: imago/blickwinkel
টিকা হালাল?
ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্ররা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন তাদের টিকায় শূকরের কিছু নেই৷
ছবি: Dominic Lipinski/picture-alliance
টিকা নেয়ার পরও হাত ধোঁয়া, মাস্ক পরতে হবে?
টিকা আপনাকে কতদিন রক্ষা করতে পারে সে বিষয়ে এখনও কোনো গবেষণা নেই৷ তাই টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা চালিয়ে যেতে হবে৷
ছবি: Michel Kappeler/REUTERS
11 ছবি1 | 11
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভিআইপিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই৷ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই টিকা নিচ্ছেন- বাংলাদেশে এমন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘‘এ ধরনের চিন্তা আপাতত নেই৷ যাদের সবচেয়ে আগে প্রয়োজন, ফ্রন্টলাইনার, তাদের আগে দেবো৷ ডাক্তার, নার্স, পুলিশ প্রথমে পাবেন৷ সাংবাদিকদেরও দেওয়া হবে৷ ভিভিআইপিরা আগে পাবেন না৷’’
কেন্দ্রীয়ভাবে তিনটি জায়গায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে৷ মহাখালীর সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয়, তেজগাঁর সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) নিজস্ব সংরক্ষণাগার ও তেজগাঁর কেন্দ্রীয় ওষুধাগার৷
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জানান, ভ্যাকসিন ‘ওয়াক ইন কুল’ নামে ছোট ঘরের মধ্যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হবে৷ দেশের ২৯টি জেলায় ওয়াক ইন কুল আছে৷ আরো ১৮টি জেলায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য ওয়াক ইন কুল তৈরি হচ্ছে৷
লেনিন চৌধুরী
এ ছাড়া প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ‘আইএলআর’ নামের হিমায়িত বাক্সের মধ্যে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে৷ ভ্যাকসিন পরিবহন করা হবে আলাদা হিমায়িত বাক্সের৷
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেনিন চৌধুরী মনে করেন, ‘‘ভ্যাকসিন দেয়ার আগে দেশের মানুষকে মানসিকভাবে প্রস্তত করা প্রয়োজন৷ কারণ, বিশ্বের যেসব দেশে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে, সেখানে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনাও ঘটেছে৷ ভারতেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে৷ তাই এসব ব্যাপারে আমাদের নাগরিকদের আগাম মানসিকভাবে প্রস্তুত করা প্রয়োজন৷’’
তিনি বলেন, রেজিষ্ট্রেশনের জন্য অ্যাপটি এখনো প্রস্তুত নয়৷ তাই মাত্র কয়েকদিন আগে রেজিষ্ট্রেশন শুরু করলে কীভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকা করে ভ্যাকসিন দেয়া হবে সেটা বোঝা বেশ কঠিন৷ আর আগে একটি মহড়া বা ট্রায়াল হওয়া দরকার৷ তার প্রস্তাব- উপহারে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনের একটি অংশ ফ্রন্ট লাইনার স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি অংশকে আগে দিয়ে দেখা যেতে পারে৷ আর ভ্যাকসিন দেয়ায় যেন স্বাস্থ্যকর্মী, বিশেষ করে ইপিআই'র কর্মীদের প্রাধান্য থাকে৷ প্রশাসন আইন শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখবে৷
প্রসঙ্গত, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পেতে ৬ মাস লাগবে৷
করোনা ভ্যাকসিনের যত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিশ্বের অনেক দেশে শুরু হয়েছে করোনার টিকাদান৷ তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী সেটি নিয়ে এখনও অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে সে সম্পর্কে কিছু তথ্য৷
ছবি: Robin Utrecht/picture alliance
সাধারণ প্রতিক্রিয়া
যেকোন টিকারই সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে৷ যেমন, শরীরে ইনজেকশন দেয়ার স্থানটি লাল হয় বা ফুলে যায়৷ তিনদিনের মধ্যে অবসাদ, জ্বর, মাথা ব্যাথা, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যাথা হতে পারে৷ তবে এর কোনটিই দীর্ঘস্থায়ী নয়৷ শরীরে টিকার কার্যকারিতা শুরু হলে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ায় এমন প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক৷ অনুমোদন পাওয়া করোনা ভ্যাকসিনগুলোর ক্ষেত্রেও এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে৷
ছবি: Mark Lenninhan/AFP/Getty Images
গুরুতর প্রতিক্রিয়া
বিরল হলেও কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটার সম্ভাবনা থাকে৷ যেমন, যুক্তরাজ্যে টিকা কর্মসূচি চালুর পর ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুইজনের অ্যালার্জি দেখা দেয়৷ দেশটির কর্তৃপক্ষ এ ধরনের সমস্যা যাদের আছে তাদেরকে সতর্ক করেছে৷ তবে সার্বিকভাবে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কারণেই করোনার বিভিন্ন টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি, যুক্তরাজ্যের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
ছবি: Robin Utrecht/picture alliance
টিকার উপাদান
সাধারণত টিকায় দুর্বল বা মৃত ভাইরাস থাকে৷ যার মাধ্যমে শরীর সেই ভাইরাসের বিপরীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে৷ তবে করোনার টিকাগুলোর মধ্যে কয়েকটি প্রথমবারের মতো এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি৷ এতে কোন ভাইরাস থাকে না৷ তার বদলে কোভিড-১৯ এর জীবাণুর ব্লুপ্রিন্ট বা প্রতিরূপ থাকে৷ তাই দুই ধরনের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দুই রকম হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Cairns
বায়োনটেক-ফাইজার
অনুমোদন পর্যায়ে বায়োনটেক-ফাইজার উদ্ভাবিত টিকার গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ কোন কোন ক্ষেত্রে টিকা গ্রহীতা সাময়িক অবসাদ আর মাথা ব্যাথায় ভুগেছেন৷ এমআরএনএ ভ্যাকসিনটির ব্যবহার শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে একজন ও ব্রিটিনে দুইজনের ত্বক লাল হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিয়েছিল৷ যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদেরকে সতর্ক করেছে বিট্রিশ মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
মডার্না
বায়োনটেক-ফাইজারের মতোই এমআরএনএ ভিত্তিক মডার্নার টিকাটি৷ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই টিকাগ্রহীতাদের তেমন কোন সমস্যা হয়নি৷ হালকা যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে সেগুলো ছিল সাময়িক৷ তবে ১০ শতাংশ অবসাদে ভুগেছেন বলে জানিয়েছে একটি স্বাধীন পর্যবেক্ষক প্যানেল৷ অল্প কয়েকজন রোগী অ্যালার্জি ও মুখের স্নায়ু নিষ্ক্রিয় হওয়ার মতো জটিলতায় ভুগেছেন৷ তবে কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি৷
ছবি: Dado Ruvic/Reuters
অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকা
অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে একজন মেরুদণ্ডের প্রদাহে ভুগেছেন৷ সেপ্টেম্বরে এই ঘটনার পর কিছুদিন ট্রায়াল বন্ধ ছিল৷ কিন্তু পরে একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ প্যানেল পরীক্ষার পর জানিয়েছে সেটির কারণ ভ্যাকসিন নয়৷ এছাড়া টিকাটি নেয়ার পর ইনজেকশনের স্থানে ও পেশিতে ব্যথা, মাথাব্যাথা ও অবসাদগ্রস্ততার মতো সাধারণ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে তা তুলনামূলক কম ছিল৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/J. Porzycki
স্পুটনিক ফাইভ
তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর আগে গত আগস্টেই নিজেদের টিকা স্পুটনিক ফাইভ এর অনুমোদন দেয় রাশিয়া৷ দুই ধরনের পরিবর্তিত অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে এতে৷ রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জ্বর, মাথাব্যাথার মতো টিকাটির কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে৷ তবে কোন গুরুতর প্রতিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি৷ তবে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য প্রকাশ না করার অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে৷
ছবি: Sergei Karpukhin/TASS/dpa/picture alliance
দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া
এখন পর্যন্ত যত তথ্য জানা গেছে সেগুলোর কোনটিই আসলে পরিপূর্ণ চিত্র তুলে ধরছে না৷ দীর্ঘ মেয়াদে টিকাগুলোর ব্যবহার মানবদেহে কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে তা অজানা৷ সেটি হয়ত সামনের মাস বা বছরগুলোতেই পরিস্কার হবে৷