1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বংশগত রোগ

গুডরুন হাইসে / আরবি১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

টেস্ট টিউবে তৈরি ভ্রূণে বংশগত রোগ ব্যাধি নির্ণয়ের পদ্ধতিকে প্রিইমপ্লানটেশন জেনেটিক ডায়েগনোসিস – সংক্ষেপে পিজিডি বলা হয়৷ মাতৃগর্ভে স্থাপন করার আগেই এই পরীক্ষাটি করা হয়৷

Präimplantationsdiagnostik PID
ছবি: picture-alliance/dpa

এই পদ্ধতিতে সাধারণত ভ্রূণ সৃষ্টির তৃতীয় দিনে একটি কোষ বের করে নেওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন ক্রোমোজোমে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কিনা৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দম্পতিরা এই ধরনের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন, যদি তাদের বংশগত কোনো অসুখ বিসুখ থাকে৷ তাঁরা জানতে চান অনাগত সন্তানও এই ধরনের অসুখের সম্মুখীন হতে পারে কিনা৷ চিকিৎসকরা ভ্রূণে কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি ধরতে পারলে সেটা বিনষ্ট করে ফেলেন৷ শুধু সুস্থ ভ্রূণই মাতৃগর্ভে স্থাপন করা হয়৷

গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন সমালোচকরা

সমালোচকরা মানবভ্রূণকে এইভাবে বাছাই করা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন৷ তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে প্রতিবন্ধী বাচ্চা ও তাদের মা-বাবাকে দূরে ঠেলে দেওয়া হতে পারে৷ এছাড়া এই ধরনের পরীক্ষা খুব সহজও নয়৷ জিনগত কিছু অসুখবিসুখ অনেক দেরিতে ধরা পড়ে৷ অনেক সময় প্রাপ্তবয়স্ক হলে দেখা দেয়৷

অন্যদিকে পিজিডির সমর্থকরা বলছেন, নতুন প্রযুক্তির ফলে নতুন সম্ভাবনার দ্বারও উন্মুক্ত হতে পারে৷ এতে শুধু রোগব্যাধি শনাক্ত করাই সম্ভব হবে না, ভবিষ্যতে ভ্রূণকে প্রভাবিতও করা যেতে পারে৷

গর্ভপাত রোধ করা যেতে পারে

পিজিডির সমর্থকরা আরো যুক্তি দেন, এই পদ্ধতির ফলে গর্ভপাত রোধ করা যেতে পারে৷ দম্পতিরা ভ্রূণে কোনো বংশগত রোগের আশঙ্কা দেখা দিলে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তারা বাচ্চাটি চান কিনা৷

জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগ ২০১১ সালে ভ্রূণরক্ষা আইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়৷ তখন থেকে পিজিডি পদ্ধতির প্রয়োগ সীমিত পরিসরে অনুমোদন দেওয়া হয়৷ ২০১৪ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি এই পদ্ধতির সঠিক প্রয়োগ নির্ধারণ করা হয়েছে৷

এ ব্যাপারে একটি এথিক কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে৷ এছাড়া জিনটেস্ট শুধু মাত্র অনুমোদিত পিজিডি-কেন্দ্রেই সম্পন্ন করতে হবে৷ নতুন বিধিবিধান এটাও ঠিক করবে, পিজিডি কেন্দ্রগুলিকে কী ধরনের শর্তাবলী পূরণ করতে হবে৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন জার্মানিতে বছরে এই ধরনের পরীক্ষা ২০০ থেকে ৩০০টি হতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ