1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিপাকিস্তান

ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখে পাকিস্তানের নতুন সরকার

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে যে সরকারই পাকিস্তানের হাল ধরুক না কেন, অর্থনীতির বেহাল অবস্থা সামাল দেওয়া তাদের জন্য কঠিন হবে৷ অপ্রিয় সংস্কার, বাড়তি কর ও রাজস্ব আদায় জনরোষের কারণ হতে পারে৷

করাচিতে একটি বাজারে ঠেলাগাড়িতে করে খাদ্যপাণ্যের প্যাকেট টেনে নিচ্ছেন এক ব্যক্তি
উচ্চ্য মূল্যস্ফীতির কারণে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের দুর্দশা বেড়েছেছবি: Rizwan Tabassum/AFP

করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধসহ একাধিক সংকটের কারণে বিশ্বের অনেক প্রান্তে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে৷ ফলে সাধারণ মানুষের দুর্দশাও বেড়েছে৷ কিন্তু পাকিস্তানের মতো করুণ পরিস্থিতি খুব বেশি জায়গায় দেথা যাচ্ছে না৷ সে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ৩০ শতাংশেরও বেশি৷ সরকারি হিসেবেই প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে রয়েছেন৷ রাষ্ট্রীয় ঋণ ও জিডিপির অনুপাত ৭২ শতাংশ ছুঁয়েছে৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কমার পর মার্কিন ডলারের সঙ্গে পাকিস্তানের মুদ্রার বিনিময় মূল্যের অস্বাভাবিক ওঠানামার কারণে আমদানির সমস্যা রয়েছে৷ তার উপর দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা সেই পরিস্থিতি আরো কঠিন করে তুলেছে৷ আপাতত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের জরুরি ঋণ সম্বল করে পাকিস্তান কোনোরকমে টিকে রয়েছে৷

সাধারণ নির্বাচনের পর শেষ পর্যন্ত যে সরকারই পাকিস্তানের হাল ধরুক না কেন, অর্থনীতির বেহাল অবস্থা সামাল দেওয়া তার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অপেক্ষা করছে৷ তবে অন্যান্য যে কোনো নীতির মতো অর্থনীতির প্রশ্নেও সামরিক বাহিনীর সম্মতি ছাড়া নতুন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এক পা ফেলা সম্ভব হবে না৷ তার উপর এক দিকে মরিয়া জনগণ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলির সংস্কারের চাপ সামলে বাজারের আস্থা অর্জন করাও পাকিস্তানের নতুন সরকারের জন্য কঠিন কাজ হবে৷ প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে উত্তেজনা ও স্থিতিশীলতার অভাবের কারণে পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগ এমনিতেই কমে চলেছে৷ শুধু চীনের কৌশলগত সহায়তার উপর নির্ভরতা আরো বেড়ে গেছে৷

পাকিস্তান: মাজারের খাবারে গরিবের বাঁচা

01:48

This browser does not support the video element.

গত বছরের জুন মাসে আইএমএফ পাকিস্তানকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দিলেও সে দেশকে বেশ কিছু অপ্রিয় সংস্কার চালাতে বাধ্য করেছিল৷ ১৯৫৮ সাল থেকে এই নিয়ে ২৩ বার পাকিস্তানকে এমন সহায়তা দিতে হয়েছে৷ সর্বশেষ সহায়তার পূর্বশর্ত হিসেবে সরকারকে বিদ্যুতের উপর বাড়তি কর চাপাতে হয়েছে, ভরতুকি কমাতে হয়েছে৷ বিপুল বিদ্যুৎ ঘাটতির মাঝে এমন পদক্ষেপ ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি করেছে৷ নতুন সরকার আরো ঋণ চাইলে অন্যান্য ক্ষেত্রেও অপ্রিয় সংস্কার চালাতে বাধ্য হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ বিশেষ করে কর ও রাজস্ব আদায়ের দুর্বল অবকাঠামো শক্তিশালী করে দেশের মধ্যে রাষ্ট্রের আয় বাড়ানোর জন্য চাপ বাড়ছে৷ বলা বাহুল্য, কঠিন পরিস্থিতিতে করের বাড়তি বোঝা পাকিস্তানের অনেক মানুষের জীবন আরো দুর্বিসহ করে তুলতে পারে৷ বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এমন চাপ প্রতিরোধের চেষ্টা করতে পারেন৷ পাকিস্তানের একাধিক সরকার এতকাল এমন সব অপ্রিয় পদক্ষেপ এড়িয়ে গেছে৷ নতুন সরকারের পক্ষে সেটা আর সম্ভব নাও হতে পারে৷

এমন প্রেক্ষাপটে সামরিক বাহিনীর সমর্থন পেলেও পাকিস্তানের নতুন সরকারের স্থিতিশীলতা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই দলকে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জন্য যে সুবিধাজনক অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে-বিদেশে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে৷ সেনা প্রধান জেনালের আসিম মুনির নতুন সরকারেরও নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়বেন, সে বিষয়ে তেমন সন্দেহ নেই৷ পরমাণু শক্তিধর দেশটিতে এমন লাগাতার সংকট তাই বিশ্বের কাছে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে থাকতে পারে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ