মগবাজার বিস্ফোরণের কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি
২৮ জুন ২০২১![](https://static.dw.com/image/58068544_800.webp)
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন জানিয়েছেন তদন্ত কমিটি সোমবার সকাল থেকে কাজ শুরু করছে ৷
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান৷ এই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে''
সোমবার সকালে কমিটির প্রধান জিল্লুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা জরুরি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলব৷''
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস গেইট এলাকা কেঁপে ওঠে ৷ বিস্ফোরণের ধাক্কায় আড়ং, বিশাল সেন্টারসহ আশপাশের ডজনখানেক ভবনের কাচ ভেঙে পড়ে৷ আড়ংয়ের উল্টো দিকে আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা ভবনটির প্রায় ধসে পড়ার দশা হয়েছে৷
ওই ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র, নিচতলায় খাবারের দোকান শরমা হাউজ ও বেঙ্গল মিটের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল, যা মিশে গেছে৷ লোহার গ্রিল, আসবাবপত্র, ভবনের বিভিন্ন অংশ ছিটকে এসেছে রাস্তায়৷ সড়কের উপর আটকে থাকা দুটি ক্ষতিগ্রস্ত বাসের ভেতরে যাত্রীদের রক্ত আর জিনসপত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়৷
ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাতজনের মৃত্যুর কথা সাংবাদিকদের জানান৷ ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে অন্তত চারশ মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন রাস্তায়; বিস্ফোরণের ধাক্কায় এবং কাচের টুকরো লেগে তারা আহত হন৷
শর্মা হাউজে গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়াও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছিল৷ বেঙ্গল মিটেও ব্যবহৃত হত কমপ্রেসার মেশিন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র৷ দোতালায় সিঙ্গারের শোরুম ও গোডাউনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছাড়াও বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ছিল৷
দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে গ্যাস জমেই ভয়াবহ এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন৷
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন রাতে সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন৷ তবে তদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে৷ এর পেছনে নাশকতার কোনো বিষয় ছিল বলে মনে করছেন না ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম৷
বিস্ফোরণে ক্ষাতিগ্রস্ত ভবনটির আশপাশের ভবন ছাড়াও বিপরীত দিকে রাশমনো হাসপাতাল, আড়ং, নজরুল শিক্ষালয়, ডম-ইনো ভবন, বিশাল সেন্টারের কোনো কাচ অক্ষত থাকেনি৷ ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের নিরাপত্তাকর্মী আফজাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,মগবাজার এলাকা এমনিতেই ব্যস্ত থাকে, সোমবার থেকে লকডাউনের কড়াকড়ি বাড়ার ঘোষণা থাকায় রোববার সন্ধ্যয় ওই রাস্তায় আরও বেশি ভিড় ছিল৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)