1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গলে অবতরণ

৬ আগস্ট ২০১২

অবশেষে মঙ্গলে অবতরণ করলো মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা’র নভোযান ‘কিউরিওসিটি’৷ এই কিউরিওসিটি’কে নিয়ে মার্কিন গবেষকদের যেন কৌতূহলের শেষ নেই৷ মঙ্গলে সফল অভিযানের পর তাঁদের মধ্যে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা৷

Curiosity Touching Down, Artist's Concept This artist's concept depicts the moment that NASA's Curiosity rover touches down onto the Martian surface. The entry, descent, and landing (EDL) phase of the Mars Science Laboratory mission begins when the spacecraft reaches the Martian atmosphere, about 81 miles (131 kilometers) above the surface of the Gale crater landing area, and ends with the rover safe and sound on the surface of Mars. Entry, descent, and landing for the Mars Science Laboratory mission will include a combination of technologies inherited from past NASA Mars missions, as well as exciting new technologies. Instead of the familiar airbag landing systems of the past Mars missions, Mars Science Laboratory will use a guided entry and a sky crane touchdown system to land the hyper-capable, massive rover. The sheer size of the Mars Science Laboratory rover (over one ton, or 900 kilograms) would preclude it from taking advantage of an airbag-assisted landing. Instead, the Mars Science Laboratory will use the sky crane touchdown system, which will be capable of delivering a much larger rover onto the surface. It will place the rover on its wheels, ready to begin its mission after thorough post-landing checkouts. The new entry, descent and landing architecture, with its use of guided entry, will allow for more precision. Where the Mars Exploration Rovers could have landed anywhere within their respective 93-mile by 12-mile (150 by 20 kilometer) landing ellipses, Mars Science Laboratory will land within a 12-mile (20-kilometer) ellipse! This high-precision delivery will open up more areas of Mars for exploration and potentially allow scientists to roam "virtually" where they have not been able to before. In the depicted scene, Curiosity is touching down onto the surface, suspended on a bridle beneath the spacecraft's descent stage as that stage controls the rate of descent with four of its eight throttle-controllable rocket engines. The rover is connected to the descent stage by three nylon tethers and by an umbilical providing a power and communication connection. When touchdown is detected, the bridle will be cut at the rover end, and the descent stage flies off to stay clear of the landing site. The Mars Science Laboratory spacecraft is being prepared for launch during Nov. 25 to Dec. 18, 2011. Landing on Mars is in early August 2012. In a prime mission lasting one Martian year (nearly two Earth years) researchers will use the rover's tools to study whether the landing region has had environmental conditions favorable for supporting microbial life and for preserving clues about whether life existed. NASA's Jet Propulsion Laboratory, a division of the California Institute of Technology, Pasadena, Calif., manages the Mars Science Laboratory Project for the NASA Science Mission Directorate, Washington. More information about Curiosity is at http://www.nasa.gov/msl and http://mars.jpl.nasa.gov/msl/ . Image credit: NASA/JPL-Caltech
ছবি: NASA/JPL-Caltech

রোববার নাসা'র জেট প্রোপালসন পরীক্ষাগারে কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কয়েক ডজন গবেষক৷ একের পর এক খবর আসছিল মার্স রোভার কিউরিওসিটি'র কাছ থেকে৷ গ্রিনউইচ সময় বিকাল ৫টা ৩২ মিনিটে সিগন্যাল আসে, ‘কিউরিওসিটি' মানে ‘কৌতূহল' মঙ্গলের পৃষ্ঠ স্পর্শ করেছে৷ প্রকৌশলী অ্যালেন শেন ঘোষণা করেন, ‘‘নিরাপদ অবতরণ, আমরা মঙ্গল পৃষ্ঠে৷'' এর পরেই উল্লাসে ফেটে পড়েন পরীক্ষাগারের গবেষকরা৷ একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন আনন্দের আতিশয্যে৷ মানব ইতিহাসের গবেষণাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল নাসার চলন্ত গবেষণাগার ‘কিউরিওসিটি'৷

মঙ্গল থেকে পাঠানো প্রথম ছবিটিছবি: Reuters

অবতরণের কয়েক মিনিট পরই এই রোবটটির কাছ থেকে প্রথম ছবি আসে৷ সাদা-কালো ছবিটিতে দেখা যায় এর চাকা এবং মঙ্গলের বিকেলের আলোতে তার ছায়া৷ এর অর্থ, নিরাপদেই আছে তিন মিটার লম্বা আর ৯০০ কেজি ওজনের এই যন্ত্রটি৷ তার আগে মোট ৫৬০ মিলিয়ন কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দেয় এই মার্স রোভার৷ গত ২৬ নভেম্বর থেকে এটি মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরছিল৷

উল্লেখ্য, মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর চেয়ে ১০০ গুন হাল্কা৷ তাই ল্যান্ডিং ক্যাপসুলটি প্রচণ্ড গতিতে মঙ্গল পৃষ্ঠের দিকে নেমে যাচ্ছিল, ঘণ্টায় ১২ হাজার কিলোমিটার গতিতে৷ এই অবস্থা থেকে মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে পুরোপুরি থামতে হয় ক্যাপসুলটিকে, যা অত্যন্ত কঠিন৷ অবতরণকালে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘষায়, তাপমাত্রা উঠে যায় ৮৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত৷ ক্যাপসুলটির সঙ্গে থাকা প্যারাশুটটি যখন খোলা হয় তখন গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৫০ কিলোমিটার৷ গতি কমানোর জন্য অতিরিক্ত রকেটের চাপ ব্যবহার করতে হয়৷ এক মঙ্গলবর্ষ মানে পৃথিবীর ৬৮৬ দিন ধরে ‘কৌতূহল' ঘুরে বেড়াবে মঙ্গল পৃষ্ঠে৷ আর এই সময় এর গতি হবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৯০ মিটার৷

অবতরণের খবর আসার পর উল্লসিত বিজ্ঞানীরাছবি: Reuters

মোট আড়াই বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে নাসা এই প্রকল্পের জন্য, যা এখনও পর্যন্ত মঙ্গল গবেষণায় সর্বোচ্চ খরচ৷ এর আগে মঙ্গল গ্রহে গিয়েছিল নাসার আরও দুই রোবট ‘স্পিরিট' ও ‘অপরচুনিটি'৷ তবে এবারের কিউরিওসিটি আকারে ও প্রযুক্তিতে আগেরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে৷ বিজ্ঞানীরা এখন অপেক্ষা করছেন তাদের নতুন এই চলন্ত পরীক্ষাগার কী ধরণের তথ্য পাঠায় সেজন্য৷

আরআই / ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ