1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গোলিয়ার বনভূমি বিপন্ন

ইউরি রেশেটো/এসি২৮ জুন ২০১৪

সাইবেরিয়ার সুবিখ্যাত ‘তাইগা’ বনভূমির সূচনা উত্তর মঙ্গোলিয়ার সেলেঙ্গে পর্বতমালায়৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাইগা বনভূমি ক্রমেই আরো বেশি সংকুচিত হচ্ছে৷ তা রোধে করতে এবার মাঠে নেমেছেন মঙ্গোলিয়ার বন বিভাগের শিক্ষার্থীরা৷

ছবি: picture alliance / Arco Images GmbH

সাইবেরিয়ার সুবিখ্যাত ‘তাইগা' বনভূমির সূচনা উত্তর মঙ্গোলিয়ার সেলেঙ্গে পর্বতমালায়৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাইগা বনভূমি ক্রমেই আরো বেশি সংকুচিত হচ্ছে৷ তা রোধে করতে এবার মাঠে নেমেছেন মঙ্গোলিয়ার বন বিভাগের শিক্ষার্থীরা৷

হরিণ, ভাল্লুক, নেকড়ে, নানান জীবজন্তু তাদের আবাস হারাচ্ছে৷ আর সেই সঙ্গে হারাচ্ছে তাইগার মনোরম সৌন্দর্য৷ শিক্ষার্থীরা গত এক সপ্তাহ ধরে শিখছেন, কী ভাবে গাছ কাটতে হয়, কী ভাবে এক পর্যায় গাছ কেটে জঙ্গলে অগ্নিপ্রতিরোধের ব্যবস্থা করা যায়, কী ভাবে জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করা যায়৷ ২৭ বছর বয়সি এংখসায়া এনখবাৎ বললেন: ‘‘বাইরে খোলা জায়গায় কাজ করতে আমার সত্যিই ভালো লাগে৷ যান্ত্রিক করাত দিয়ে গাছ কাটা আদৌ শক্ত নয়৷ তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো: কচি গাছগুলোর যেন কোনো ক্ষতি না হয়৷ অধিকাংশ লোকে ভাবেন, এ সব কাজ পুরুষদের জন্য৷ কিন্তু আমি দেখছি, বন বিভাগের কাজ মহিলাদের পক্ষেও খুব যুৎসই হতে পারে৷ কারণ কাজটা তো আসলে গাছ কাটা নয়, বরং জঙ্গলটাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা৷''

মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলান বাটোর থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তরে সেলেঙ্গে প্রদেশ৷ সেখানে নানা ধরনের ফার, পাইন, বার্চ ও লার্চ গাছের একটি জঙ্গল৷ কয়েক মাস পর পর কাছের স্যুঞ্চারা শহর থেকে হবু বনরক্ষীরা এখানে কাজ শিখতে আসেন৷

‘তাইগা' উধাও হচ্ছে

সেলেঙ্গের পর্বতমালা থেকেই সাইবেরিয়ার ‘তাইগা' নামধারী কনিফার বনভূমির সূচনা৷ কিন্তু এই সীমানা ক্রমেই আরো উত্তরে উঠে আসছে, ‘তাইগা' ক্রমেই আরো ছোট হয়ে যাচ্ছে৷ ধীরে ধীরে গোটা জঙ্গলটাই নিশ্চিহ্ন হচ্ছে৷

তার একটি মূল কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন৷ একটানা তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মাটির ভিতরে জমা বরফ বা পার্মাফ্রস্ট গলে যাচ্ছে৷ জমিতে অত্যধিক আর্দ্রতার ফলে গাছের শিকড় পচে গাছগুলো মরে যাচ্ছে৷ অথচ তাইগার সৌন্দর্য আজও অম্লান৷ যেমন এংখসায়া এনখবাৎ বললেন: ‘‘মঙ্গোলিয়ার জঙ্গল মুগ্ধ হবার মতো, কেননা তা মানুষের হাতে তৈরি নয়, প্রকৃতির হাতে গড়া৷ নানা ধরনের গাছপালা, জন্তু-জানোয়ারের বাস এখানে৷ মঙ্গোলিয়ার অপূর্ব সব প্রাকৃতিক দৃশ্য৷ আমার এখানে থাকতেই ভালো লাগে, আমি শহরে থাকতে চাই না৷ এমনকি দেশ বেড়ানোর সুযোগ থাকলেও আমি কখনো শহরে যেতে চাইব না, বরং মঙ্গোলিয়ার সব অরণ্য ঘুরে দেখতে চাইব৷ আমি কোনোদিনই শহরে সুখি হতে পারব না৷''

শহর বলতে এংখসায়া বোঝান রাজধানী উলান বাটোরকে, যেখানে মঙ্গোলিয়ার ২৮ লাখ নাগরিকদের অর্ধেকের বাস৷ তাঁদের সকলেরই দরকার কাঠের: যেমন বাড়ি তৈরি করতে, তেমন বাড়ি গরম রাখতে৷ মঙ্গোলিয়ার অর্থনীতি বেশ কয়েক বছর ধরে গরমাগরম৷

সোনার কোম্পানিগুলি পাথর ধুয়ে সোনা বের করতে বিপুল পরিমাণ পানি অপচয় করে, কেননা সেই পানির একটা বড় অংশ বাষ্পীভূত হয় এবং নদীতে ফেরত যায় না৷ কাজেই তাইগার অন্তর্ধানের দ্বিতীয় কারণ হলো: মানুষ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ