জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সমিতি জিআইজেড নানা ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পে সাহায্য করে থাকে৷ তার মধ্যে পড়ে মঙ্গোলিয়ার উত্তরে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে মহিলারা শিখছেন ভবিষ্যৎ বনরক্ষীদের কাজ৷
বিজ্ঞাপন
সে কাজের একটি বড় অংশ হলো পরিবেশ সংরক্ষণ৷ এমনকি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাঠ্যবইগুলো রচনায় সাহায্য করেছেন জার্মান বন বিভাগের কর্মীরা৷ কেমন চলেছে এই পাঠক্রম? জিআইজেড মঙ্গোলিয়ায় অরণ্য সংরক্ষণেও সাহায্য করে থাকে, মঙ্গোলিয়া সরকারকে পরিবেশ সংক্রান্ত প্রকল্পের বাস্তবায়নেও সাহায্য করে৷
মঙ্গোলিয়া সরকার ও দেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয় আইনের সংস্কার করেছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য একটি জাতীয় পরিকল্পনা সৃষ্টি করেছেন৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীর অভাব৷ জিআইজেড ঠিক সেখানেই সাহায্য করছে৷
পরিবেশ বাঁচাতে পারেন আপনিও
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে এবং পৃথিবী ক্রমশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে৷ এই পরিস্থিতি বদলাতে অবদান রাখতে পারি আমি, আপনি, আমরাও৷ কিভাবে? সেটাই জানাচ্ছে এই ছবিঘরটি৷
ছবি: Lightcycle.de
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে করণীয়
জ্বালানি উৎপাদন এবং ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হচ্ছে৷ প্রকৃতির দুর্দশার পেছনে এটি ছাড়াও আরও কিছু বিষয় কাজ করে৷ যেমন খাদ্য তৈরির সময়ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়৷ এর জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড হচ্ছে সবচেয়ে বড় অপরাধী৷ এসব নির্গমনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যক্তি পর্যায়ে কিংবা রাষ্ট্র কিভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে?
ছবি: picture-alliance/dpa
নতুন ধরনের লাইট বাল্ব
জ্বালানি সাশ্রয়ী বাল্ব ব্যবহারের মাধ্যমে আপনিও পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারেন৷ এজন্য প্রথমেই বাড়িতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাঁচটি পুরনো বাল্ব বদলে ফেলুন৷ নতুন লাইট বাল্বগুলোর স্থায়ীত্বও পুরনোগুলোর চেয়ে দশ থেকে পঞ্চাশ গুণ বেশি৷ যার অর্থ হচ্ছে, এগুলো আপনার টাকাও বাঁচাতে পারে৷ আর দয়া করে, ঘর থেকে বেরুবার আগে বাল্ব বন্ধ করতে ভুলবেন না৷
ছবি: Lightcycle.de
পানির ব্যবহার কমিয়ে জ্বালানি বাঁচান
প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা পানি ব্যবহার করি এবং আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এক অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে পানি৷ সুতরাং পানি সংরক্ষণ ছাড়াও এর ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখতে পারেন আপনি৷ কেননা পানি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস থেকে তুলতে, তা পরিশোধন এবং গরম করতে অনেক জ্বালানির প্রয়োজন হয়৷ আপনি এর ব্যবহার কমালে তাই জ্বালানিও সাশ্রয় হবে৷
ছবি: picture-alliance/ZB
মাঝে মাঝে গাড়িকে ছুটি দিন!
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নিজের গাড়িটিকে ছুটি দেয়ার মাধ্যমে বছরে দুই টন পর্যন্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ রোধ করতে পারেন আপনি৷ আর গাড়ি ব্যবহারের সময় এর সাশ্রয়ী দিকটি বিবেচনা করুন৷ গাড়ি চালানোর সময় অনর্থক গ্যাস এবং ব্রেক প্যাডেল চাপবেন না৷ হঠাৎ করে গাড়ির গতি ব্যাপক আকারে বাড়ানোর প্রয়োজন নেই এবং গাড়ির ভেতরে যেসব অপ্রয়োজনীয় জিনিস আছে সেগুলো সরিয়ে অথবা নামিয়ে নিন৷
ছবি: AP
নতুন গাড়ি খুঁজছেন?
আপনি একটি হাইব্রিড বা ইলেকট্রিক গাড়ি কিনছেন না কেন? ২০২০ সালের মধ্যে জার্মানির রাস্তায় দশ লাখ ইলেকট্রিক গাড়ি নামানোর লক্ষ্য স্থির করেছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বিশেষজ্ঞরা যদিও বলছেন, ই-কার গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে, তবুও সেপথে এগোতে বিশেষ আগ্রহী হচ্ছে না জার্মানরা৷
ছবি: picture alliance/dpa
কারিগরি অবকাঠামো আর সাশ্রয়ী গণপরিবহন
ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোগ ছাড়াও শহর, রাজ্য এবং জাতীয় সরকারকেও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে৷ বার্লিনের মতো বড় শহরগুলোতে সাশ্রয়ী গণপরিবহন চালু এবং পুরনো ভবনগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী করে নতুনভাবে গড়ে পরিবেশ রক্ষায় বড় অবদান রাখা সম্ভব৷
ছবি: picture alliance/dpa
সবুজ ভবন
পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ গ্রিনহাউস নির্গমন ঘটে ভবনগুলো থেকে৷ নতুন করে তৈরি করা ভবনগুলো এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে৷ যেমন, ভবন তৈরির সময় সেটার সঙ্গে সোলার প্যানেল জুড়ি দিলে এবং তাতে জ্বালানি সাশ্রয়ী বাল্ব ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব৷ একই সঙ্গে নতুন ভবনে জানালা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং রুম হিটার বা কুলিং সিস্টেমও সাশ্রয়ী উপায়ে তৈরি করতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্থানীয় খাবার গ্রহণ করুন
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন রোধের আরেক উপায় হচ্ছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্য গ্রহণ৷ এর ফলে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে খাদ্য পরিবহনের ফলে যে কার্বন নির্গমন হচ্ছে তা কমবে৷ পাশাপাশি, খাদ্য তালিকা থেকে মাংস পরিহার করলেও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনও কমবে ব্যাপক হারে৷
ছবি: PATRICIA DE MELO MOREIRA/AFP/Getty Images
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করুন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ভবিষ্যতে তেল, কয়লা বা গ্যাস নির্ভর জ্বালানির বদলে নবানয়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দিকে উৎসাহী হচ্ছে৷ জার্মানি এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে৷ ২০০০ সালে জার্মানির মোট জ্বালানি শক্তির ৬.৩ শতাংশ এসেছিল নবায়নযোগ্য উৎস থেকে৷ আর গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে৷
ছবি: Fotolia/Schlierner
কম সিও২, বেশি চাকুরি
জার্মানিতে এখন অনেক ‘উইন্ড টার্বাইন’ বিষয়ক সংস্থা রয়েছে এবং এই দেশ সৌরশক্তির মাধ্যমে বিস্ময়করভাবে ব্যাপক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে৷ এছাড়া বায়োম্যাস, বায়োওয়েস্ট এবং হাইড্রো পাওয়ার ব্যবহার করেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে জার্মানিতে৷ এছাড়া, সবুজ জ্বালানি শিল্পও ক্রমশ বড় আকার ধারণ করছে এবং সেখাতে চাকুরির সম্ভাবনাও বাড়ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সংরক্ষণের জন্য অর্থ প্রদান?
ব্যাপক জীবাশ্ম জ্বালানির আধার আছে যেসব উন্নয়নশীল দেশে, তারা যাতে সেসব জ্বালানি ব্যবহার না করে, সেজন্য তাদেরকে অর্থ প্রদানের একটি উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ এতে করে অনেক অঞ্চলে গাছ কাটা বন্ধ হতে পারে৷ ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিতে অবদান রাখতে পারবে সেগুলো৷ ইকুয়েডরের সরকার আশা করছে, এভাবেই তাদের ইয়াসুনি অঞ্চলকে কাজে লাগানো যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
ইয়াসুনিতে যদি খনি খনন করা হয়, তাহলে তেল থেকে প্রচুর মুনাফা অর্জন করবে ইকুয়েডর৷ কিন্তু একই সঙ্গে এই উদ্যোগ উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের ব্যাপক ক্ষতি করবে৷ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন রোধে উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত জীবনযাত্রাকে আরো নিরাপদ করতে পারি৷ ভবিষ্যত প্রজন্মের কথাও তো ভাবতে হবে আমাদের৷ তাই নয় কী?
ছবি: DW / Michael Altenhenne
12 ছবি1 | 12
স্যুঞ্চারা শহরটি ঠিক যেখানে ‘তাইগা' বনভূমি ‘স্টেপ', অর্থাৎ খোলা প্রান্তরে পরিণত হয়, সেখানে অবস্থিত৷ অঞ্চলের বৃহত্তম পেশাদারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এই স্যুঞ্চারায়৷ এখানে বনরক্ষী ও পরিবেশ প্রযুক্তিবিদদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ পাঠ্যবইগুলো রচনা করা হয়েছে জার্মান বন বিভাগের কর্মীদের সহযোগিতায়৷
প্রশিক্ষণার্থীদের শিখতে হয়, নার্সারিতে কী ভাবে গাছ লাগাতে হয়, ছোট ছোট চারাগুলোর দেখাশোনা করতে হয়, অথবা প্রতি হেক্টর জঙ্গল থেকে কী পরিমাণ গাছ কাটলে সেই জঙ্গলের কোনো ক্ষতি হয় না৷ পরে এই প্রশিক্ষণার্থীরাই আবার এ সব অন্যদের শেখাবে৷
সঠিক পেশা
এঁদের মধ্যে কয়েকজন সবে কাজ শুরু করেছেন, অন্যরা এর আগে বেকার ছিলেন৷ এখন বিশেষ করে মহিলাদের এই পেশাটির জন্য উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা চলেছে৷ এংখসায়া এনখবাৎ-এর ভাষ্যে: ‘‘আমি যখন আমার বাবা-মাকে বললাম যে, আমি বনরক্ষী হতে চাই, তখন তাঁরা খুব আনন্দিত হয়েছিলেন – প্রধানত আমার কথা ভেবে৷ আমার বাবার এক টুকরো জমি আছে, সরকারের কাছ থেকে আগামী ৬০ বছরের জন্য ইজারা পেয়েছেন৷ প্রতিবার আমি যখন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বাড়ি আসি, বাবা-মা আমাকে উৎসাহিত করেন, আরো পড়ো, এংখসায়া, জঙ্গলে ঘুরে দেখো, অনেক শেখো, যাতে আমাদের কাছে যেটা একটা সখ, সেটা তোমার পেশা হয়ে উঠতে পারে, তোমার সঠিক পেশা৷''
জার্মানির বন-জঙ্গল
জার্মানরা বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন৷ এভাবে অবসর সময় কাটাতে আর হাঁটতেও ভালোবাসেন তাঁরা৷ চলুন সে রকমই জার্মানির কিছু বনানির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
জাতীয় পার্ক ইয়াসমুন্ড
ইয়াসমুন্ডের এই পার্কটি জার্মানির জাতীয় পার্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট পার্ক৷ বিখ্যাত ব়্যুগেন দ্বীপের একেবারে উত্তরে অবস্থিত এই পার্কের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে, করে মুগ্ধ৷ ইউনেস্কো ২০১১ সালে ইয়াসমুন্ড পার্কটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়৷
ছবি: Scoopshot/ac-images
এলবে নদীর নিসর্গ
প্রকৃতি সৃষ্ট নিসর্গের মধ্যে অন্যতম নদী পরিবেষ্টিত চরগুলি৷ নিয়মিত বন্যা হওয়ার কারণে এই সব চরে গাছপালা এবং পশুপাখিরা আনন্দে বেঁচে থাকে৷ যেমনটা এখানে, ব্রান্ডেনবুর্গের এলবে নদীতে৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এলবে নদীর এই চরটিকে ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যর অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হারৎস
জার্মানির মধ্যভাগে অবস্থিত হারৎসের পাহাড়ি অঞ্চল শুধু জার্মানির সবচেয়ে বড় বনভূমি নয়, জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় বনাঞ্চলও বটে৷ ১৮২৪ সালে অন্যতম জার্মান লেখক হাইনরিশ হাইনে তাঁর ভ্রমণ কাহিনিতে এই অঞ্চলকে তুলে ধরেন৷ যাঁরা হাঁটতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছে জায়গাটি খুবই প্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
হাইনিশ জাতীয় পার্ক
জার্মানির ট্যুরিঙ্গেন রাজ্যে রয়েছে ‘বুখেন’ বা বীচ গাছে ঘন জঙ্গল৷ এই বনের কয়েকটা গাছ আবার গত ৮০০ বছর ধরে এইভাবে একেবারে সাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ এর জন্যই ইউনেস্কো ২০১১ সালে এই বনভূমিকে বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এখানে বনবিড়ালের মতো অনেক বিরল প্রাণীও দেখা যায়৷
ছবি: DW/C. Hoffmann
স্পেসার্ট
জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত বাভারিয়া এবং হেসেন রাজ্যের মাঝামাঝি একটি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই বনটি৷ আগে স্পেসার্ট ছিল ধনী ও বিশপদের শিকার করার জায়গা৷ শুধু তাই নয়, ঊনিশ শতকে এই জঙ্গলেই আস্তানা গড়েছিল জার্মানির কুখ্যাত ডাকাতরা৷ ১৮২৭ সাল থেকে ‘‘দাস ভির্টহাউস ইম স্পেসার্ট’’ নামে পরিচিতি লাভ করে এই ঘন বনাঞ্চল৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
ব্ল্যাক ফরেস্ট
ব্ল্যাক ফরেস্ট বা কৃষ্ণ অরণ্য নিয়ে নানা রকম ভূতের গল্প প্রচলিত আছে জার্মানিতে৷ আছে এই জঙ্গলের নামে একটি কেক-ও৷ সে জন্যই হয়ত এই কৃষ্ণ অরণ্যের জাতীয় পার্কের মর্যাদা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে৷ আবার অন্যদের আশঙ্কা, জাতীয় পার্ক হলে এখান থেকে আর ফল সংগ্রহ বা গাছ কাটা যাবে না – জার্মানিতে পরিবেশ রক্ষা সত্যিই যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
ছবি: picture-alliance/Ronald Wittek
বাভারিয়ার জাতীয় পার্ক
রাখেল লেক বাভারিয়ার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হ্রদের মধ্যে একটি৷ লেকটি ঘিরে প্রায় ১০৭০ মিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই বন, যেখানে গত কয়েক দশকে একটি গাছও কাটা হয়নি৷ খুবই নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশ এখানে৷ তাই হাঁটার জন্যও খুব উপযোগী এই অঞ্চল৷ ১৯৭০ সালে এই পার্কটিকে জার্মানির প্রথম জাতীয় পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাতীয় পার্ক ব্যার্শটেসগাডেন
এটা আলপস পর্বতমালায় অবস্থিত জার্মানির একমাত্র জাতীয় পার্ক৷ পার্কটি উচ্চ পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থানের কারণে পর্যটকরা এখানে এলে বিরল প্রাণীর দেখা পান৷ তাই তো পক্ষীপ্রেমী আর বন্যপ্রাণী গবেষকদের জন্য এটা দারুণ একটা জায়গা৷
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
8 ছবি1 | 8
এংখসায়া যাতে শেষমেষ একটা চাকরিও পান, সেজন্য স্যুঞ্চারার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে একত্রে কাজ করছে, তার একটি হলো এই কাঠকল৷ সরকার চান যে, ভবিষ্যতে শুধু অনুমোদিত কোম্পানিরাই জঙ্গল থেকে কাঠ কিনতে পারবে৷ সে অনুমোদন পাবার জন্য কোম্পানিগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা যেন জঙ্গল থেকে মাত্রাধিক কাঠ না কাটে এবং তাদের কর্মী হিসেবে শুধু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পরিবেশ প্রযুক্তিবিদদের নিয়োগ করে৷
পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্য মঙ্গোলিয়ার প্রায় তিন হাজার বনরক্ষীর প্রয়োজন৷ এঁদের এক-তৃতীয়াংশ আগামী তিন বছরেই প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে বের হবেন৷ তারপর তাঁদের প্রচেষ্টা হবে, তাইগা বনভূমির তিলে তিলে মৃত্যু রোধ করা৷