1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাদপ্রদীপের আলোয় পুটিন!

৫ জুন ২০১৪

ব্রাসেলসে জি-সেভেন নেতৃবর্গের বৈঠক৷ নামটাই বলে দিচ্ছে, ১৬ বছর পর রাশিয়া আর বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শিল্পোন্নত দেশগুলির এই সম্মেলনে উপস্থিত নয় – কারণ ইউক্রেন সংকটের দরুণ রাশিয়ার উপস্থিতি কাম্য নয়৷

Belgien Jose Manuel Barroso Barack Obama Herman Van Rompuy G7 Gipfel in Brüssel 04.06.2014
ছবি: Reuters

জি-এইট থেকে কমিয়ে জি-সেভেন৷ রাশিয়া বাদ৷ ঐ বাদ পড়াটাই বস্তুত তার শাস্তি৷ আপাতত এর বেশি কিছু নয়৷ অর্থাৎ ব্যাপারটা যাকে বলা হয় কিনা একটা ‘ডেমনস্ট্রেশন', মানে প্রতীকী আচরণ৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনও ‘ডি-ডে'-র কমেমোরেশন উপলক্ষ্যে পশ্চিমে আসছেন৷ কিন্তু মঙ্গলবারে তিনি রাশিয়ায় বসেই ফরাসি মিডিয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, যা-তে তিনি তাঁর নিজের, অর্থাৎ রাশিয়ার মনোভাব স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে দিয়েছেন৷

‘‘আমরা এই সংকট ঘটাইনি,'' সাক্ষাৎকারে বলেছেন পুটিন৷ ‘‘আমরা রুশ জাতীয়তাবাদকে উসকানি দেবো না এবং আমাদের রুশ সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার কোনো অভিপ্রায় নেই,'' ব্যঙ্গের সুরে বলেন পুটিন৷ ইউক্রেনে যা ঘটছে, তার পিছনে রাশিয়ার হাত আছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পুটিন বলেন: ‘‘প্রমাণ দেখান৷ সারা বিশ্বের মনে আছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিভাবে ইরাকের গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্রের প্রমাণ হিসেবে একটি টেস্ট টিউবে ওয়াশিং পাউডার পুরে বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদে প্রদর্শন করেছিলেন৷''

ব্রিটেন, ক্যানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা ব্রাসেলস থেকে জোরালো বক্তব্য রাখার প্রচেষ্টা করেছেন: ‘‘ইউক্রেনের সার্বভৌম বিষয়ে রুশ ফেডারেশনের অ-গ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইউক্রেন সরকার ও ইউক্রেনের জনগণের পাশে আছি৷'' জে-সেভেন নেতারা যোগ করেন: ‘‘রাশিয়ার অবৈধভাবে ক্রিমিয়া দখল এবং পূর্ব ইউক্রেনের স্থিতি হানির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে৷''

অপরদিকে পুটিন তাঁর ইউরোপীয় এবং মার্কিনি ‘‘বন্ধুদের'' বিরুদ্ধে ইউক্রেনে একটি ‘‘সংবিধান বিরোধী সশস্ত্র অভ্যুত্থান''-কে সমর্থন করার অভিযোগ এনেছেন৷ তবে পুটিনের কণ্ঠেও আপোষের সুর শোনা গেছে: দৃশ্যত তাঁর ইউক্রেনের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে মিলিত হতে কোনো আপত্তি নেই৷ প্যারিস ও নরমান্ডিতে তাঁর আসন্ন সফরে তিনি নাকি সকলের সঙ্গেই কথা বলতে প্রস্তুত৷ আপাতত তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন; শুক্রবার মিলিত হবেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে৷

মোট কথা, রাশিয়ার বিরুদ্ধে উত্তরোত্তর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুমকি বজায় রাখা হচ্ছে৷ এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট৷ অপরদিকে একাধিক ইউরোপীয় নেতা পুটিনের সঙ্গে একক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন – কেননা রাশিয়ার সঙ্গে আরেক পর্যায় ঠান্ডা লড়াই কিংবা তুষার যুগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইউরোপের ক্ষতিই বেশি৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ