লন্ডনের ২৩ বছরের তরুণ জুলিয়াস ডেইন-কে রাস্তার ম্যাজিশিয়ান বলা চলে৷ অপরদিকে তিনি ইন্টারনেটের, ফেসবুকের ম্যাজিশিয়ান, কেননা সেখানেই তাঁর অগুনতি ফ্যান আর ফলোয়ার৷
বিজ্ঞাপন
মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এই ভিডিওটা ফেসবুকে দেখা হয়েছে দু'কোটি চল্লিশ লাখ বার৷ ম্যাজিক দেখিয়ে ইন্টারনেটে লক্ষ লক্ষ দর্শককে খুশি করার, চমকে দেওয়ার ক্ষমতা আছে লন্ডনের এই ২৩ বছর বয়সি তরুণের৷
ইন্টারনেট ম্যাজিশিয়ান জুলিয়াস ডেইন বললেন, ‘‘আমার বাবা ব্যাপারটা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি৷ সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে ওঁর কোনো সম্পর্ক নেই৷ কাজেই আমি যখন বাবাকে বললাম, গত সপ্তাহে আমার এই ভিডিওটা ফেসবুকে পাঁচ কোটি বার দেখা হয়েছে, তখন বাবা বললেন: ‘বাঃ বেশ৷ তোমার পরীক্ষা কেমন চলছে?’ তখন আমি সবে ভিডিও তৈরি করা শুরু করেছি৷’’
ম্যাজিক মানে ম্যাজিক
সুন্দরীদের করাত দিয়ে কেটে দু’টুকরো করা কিংবা বাতাসে মানুষ ভাসানো, এ সব কী করে করা হয়, তা জানতে হলে বন শহরের ‘ম্যাজিক উইক্স’-এ চলে আসুন৷ এপ্রিল মাস অবধি এখানে সারা ইউরোপ থেকে আসা ম্যাজিশিয়ানদের দেখতে ও শুনতে পাবেন৷
ছবি: Syda Productions/Fotolia.com
টুপি থেকে খরগোশ...
...বার না করতে পারলে আবার ম্যাজিশিয়ান কিসের? জার্মানে তো এই ম্যাজিকটা ভাষার অঙ্গ হয়ে গেছে: ‘আউস ডেম হুট গেৎসাউব্যার্ট’ মানে ‘টুপির ভেতর থেকে ম্যাজিক করে বার করা’৷ যেমন আইডিয়াটা কোথায় পেলেন, তা না জানিয়ে হঠাৎ একটা বুদ্ধি দেওয়া৷
ছবি: Kitty/Fotolia.com
দ্য ম্যাজিক সার্কেল
জার্মানির জাদুকর সমিতির সদস্যসংখ্যা ২,৮০০-র বেশি৷ সমিতির নানা নিয়মকানুন আছে৷ সদস্য হতে গেলে সমিতির ৮০টি স্থানীয় সার্কেল-এর কোনো একটিতে পরীক্ষা পাস করতে হয়৷ ম্যাজিক সার্কেল থেকে প্রতি তিন বছর অন্তর জার্মান চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়, এছাড়া প্রতিবছর একজন ‘ম্যাজিশিয়ান অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচন করা হয়৷
ছবি: Syda Productions/Fotolia.com
গোপনীয়
বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা মেলে না – এই হলো ম্যাজিকের জীয়নকাঠি মরণকাঠি৷ চুরিবিদ্যার মতো জাদুবিদ্যাও মহাবিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা৷ কাজেই কোনো ম্যাজিশিয়ান যদি ম্যাজিকের রহস্য ফাঁস করে দেন, তাহলে সেখানেই ম্যাজিকের ইতি৷ তাই ম্যাজিক সার্কেল-এর সদস্যরা সেই অপকর্মটি না করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Lander
লাগ লাগ লাগ ভেলকি লাগ
অথবা ইংরেজিতে আব্রাকাডাব্রা – এ সবই হলো ম্যাজিকের ফর্মুলা বা জাদুমন্তর৷ সত্যিই এ ধরনের জাদুমন্তর আছে এবং বহু যুগ ধরে চলে আসছে৷ জার্মানির মের্জেবুর্গের জাদুমন্তরগুলি সম্ভবত সংকলিত হয় অষ্টম শতাব্দীতে৷ জার্মানে ‘আব্রাকাডাব্রা’ মন্তরটির চল তৃতীয় শতাব্দী থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যাজিক শো
জার্মান জাদুকর মহলের পপস্টার বলা চলে আন্ড্রেয়াস ও ক্রিস্টিয়ান রাইনেল্ট, এই ম্যাজিসিয়ান ভ্রাতৃদ্বয়কে৷ ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে তাঁরা ফ্রাংকফুর্টের ফুটবল স্টেডিয়ামে যে ম্যাজিক শো করেন, তাতে দর্শক এসেছিলেন ৩৮,৫০৩ – যা কিনা একটা বিশ্বরেকর্ড৷ রাইনেল্ট ভাইরা তিনবার জার্মানির ম্যাজিসিয়ান অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন৷
ছবি: picture alliance/dpa/Geisler-Fotopress
করাত দিয়ে কাটা
এই ‘জাদু’-টি সারা দুনিয়ার বড় বড় জাদুকর ও ম্যাজিক শো-র পেটোয়া৷ ১৯২১ সালে প্রথমবার দেখানো হয় মার্কিন মুলুকে: এক মহিলাকে বাক্সের মধ্যে পুরে, সেই বাক্স – মহিলা সুদ্ধু! – করাত দিয়ে কেটে দু’টুকরো করে ফেলা হয়৷ তা সত্ত্বেও মহিলাটি শেষমেষ অক্ষত অবস্থাতেই বাক্স থেকে বেরিয়ে আসেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Photoshot
সবচেয়ে নামকরা জার্মান ম্যাজিসিয়ান
‘সিগফ্রিড অ্যান্ড রয়’ – আদতে জিগফ্রিড ফিশবাখার এবং রয় হর্ন-এর নাম নব্বইয়ের দশকে সবাই চিনতো – বিশেষ করে তাঁদের ম্যাজিক শো-তে একাধিক সিংহ ও সাদাবাঘ থাকার কারণে৷ লাস ভেগাসে সিগফ্রিড আর রয়ের শো নাকি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে জটিল ও মহার্ঘ স্টেজ শো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাতাসে ভাসা(নো)
এই ‘ট্রিক’ বা ‘চালাকি’-র পিছনে আছে মানুষের সেই চিরকালের স্বপ্ন, মাধ্যাকর্ষণের বাঁধন ছিঁড়ে মেঘ হয়ে উড়ে যাওয়া, ভেলার মতো ভেসে বেড়ানো৷ ভেলা তো নয়, ভেলকি৷ কিন্তু সেই ভেলকি যে কীভাবে হয়, সেটা জানতে পারলেই তো মজাটা মাটি, নয় কি?
ছবি: Aarrttuurr/Fotolia.com
বিশ্ব সমিতি
বিশ্বের সর্বত্র ম্যাজিশিয়ানদের পাওয়া যাবে৷ ‘ফেদারাসিওঁ অ্যাঁতারনাসিওনালে দে সোসিয়েতে মাজিক’ বা এফআইএসএম-এ ৫৫টি দেশের মোট ৬০,০০০ জাদুকর সংঘবদ্ধ৷ সংগঠনটি প্রতি তিন বছর অন্তর একটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যবস্থা করে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Chunyang
শিক্ষানবীশ
জাদুবিদ্যার কোনো সরকারি বিধিবদ্ধ শিক্ষানবিশী নেই৷ ম্যাজিক শেখার স্কুলে বুনিয়াদী কিছু পাঠ নেওয়া যায়, প্রবীণ জাদুকররা মাঝেমধ্যে সেমিনার করে কিছু কিছু ‘ভেলকি’ শেখান৷ অনেক জাদুকর আবার নতুন ‘ট্রিক’ আবিষ্কার করে তা ম্যাজিকের দোকানদারদের কাছে বেচে দেন৷ বাকিটা কিন্তু হবু ম্যাজিশিয়ানদের নিজেদেরই পড়াশুনা করে শিখে নিতে হয়৷ এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হলো প্র্যাকটিস, প্র্যাকটিস আর প্র্যাকটিস৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Denouk Images
10 ছবি1 | 10
ইন্টার্নশিপেরবদলে ম্যাজিক
মাত্র বছর দুয়েক আগে নেশা বা পেশাটার শুরু: এক্সচেঞ্জ স্টুডেন্ট হিসেবে ক্যালিফর্নিয়ায় গিয়ে, সেখানে তাঁর প্রথম ক্লিপগুলো তৈরি করেন জুলিয়াস ডেইন৷ সতীর্থরা যখন ইন্টার্নশিপ নিয়ে ব্যস্ত, জুলিয়াস তখন নেটে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ানোয় মশগুল৷ দেশে ফিরে নিজের ট্রিকগুলোকে আরো চমকদার করার ফাঁকে পড়াশুনো শেষ করে, পুরোপুরি জাদুবিদ্যায় মন ঢেলে দেন জুলিয়াস৷
বিশেষ করে যে সব ভিডিও-য় তিনি ছোটখাট ম্যাজিক দেখিয়ে মহিলাদের মুগ্ধ করেন, সেগুলো বিশেষভাবে জনপ্রিয়৷ তাঁর ‘‘কী করে একটি মেয়েকে ম্যাজিক দেখিয়ে চমকে দিতে হয়’’ পর্যায়ের ভিডিওগুলো সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ কোটি ক্লিক পেয়েছে৷
ছাত্রাবস্থাতেই ঘরোয়া আসর বা পার্টিতে ম্যাজিক দেখিয়েছেন জুলিয়াস৷ আজ তাঁর ফেসবুকে ফলোয়ারের সংখ্যা ৮০ লাখের বেশি৷ তাদের নানারকম প্রতিক্রিয়া শোনা যায়৷
ফর্মুলা
ধরা যাক জুলিয়াস বেরিয়েছেন ইস্ট লন্ডনে, কয়েকটা নতুন ম্যাজিক ট্রাই করে দেখার জন্য৷ কিন্তু ঠিক দর্শক পাওয়া চাই৷ জুলিয়াসবলেন,‘‘পাঁচ কোটি ভিউয়ারের পছন্দের মতো ভিডিও তৈরি করার জন্য এমন দর্শক চাই, যাদের প্রতিক্রিয়া দেখার মতো হবে৷ সাধারণত সে ধরনের মানুষদের দেখলে বোঝা যায়, তারা নিজের ওপর আস্থা রাখে, তারা খোশমেজাজের, তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়৷’’
ইন্টারনেট তারকা হতে মেয়েরা যা করছে
কসমেটিক সার্জারি করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই তাদের৷ লক্ষ্য একটাই, লাইভ স্ট্রিমে তাদের অত্যন্ত আকর্ষণীয় দেখাতে হবে৷ যত মানুষ দেখবে, তত আয়৷ তবে এজন্য কষ্টও অনেক৷
ছবি: Reuters/D.Sagolj
লাইভ স্ট্রিম তারকা
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত লাইভস্ট্রিম ট্যালেন্ট এজেন্সি ‘থ্রি মিনিট টিভি’ কার্যালয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে আছেন এক তরুণী৷ তাঁর মতো হাজার হাজার মেয়ে এখন চীনে ইন্টারনেট স্টার হতে চাচ্ছেন৷ লাইভ স্ট্রিম সে দেশে এক নতুন ‘ক্রেজ’ তৈরি করেছে, যা বাড়ছে অতি দ্রুত৷
ছবি: Reuters/D.Sagolj
দ্রুত বধর্নশীল মার্কেট
‘থ্রি মিনিট টিভি’-র লাইভে থাকা এক নারীর ছবি এটি৷ তিন বছর আগেও এ রকম লাইভ স্ট্রিম দেখার আগ্রহ চীনাদের তেমন ছিল না৷ অথচ গতবছর এ খাত থেকে বিভিন্ন কোম্পানির লাভ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সে দেশের এক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের দাবি, ২০২০ সালে এই মার্কেট তিনগুণ হবে৷
ছবি: Reuters/D.Sagolj
‘আমি চাই অনেকে আমাকে দেখুক’
থ্রি মিনিট টিভি-র কার্যালয়ে এ রকম অসংখ্য রুম আছে৷ দেখে মনে হবে কোনো মেয়ের বেডরুম এটি৷ মানে বেডরুম থেকে সরাসরি লাইভ হয়েছেন তিনি৷ এ রকম এক উপস্থাপিকা জিয়াং কুই বলেন, ‘‘আমি চাই আরো মানুষ আমাদে দেখুক, আমার জন্য হুয়াজি কয়েন খরচ করুক৷’’ হুয়াজি হচ্ছে সে দেশের জনপ্রিয় এক লাইভ স্ট্রিমিং সাইট, যেখানে কাউকে ভার্চুয়াল গিফট দেয়া যায়৷ সেই গিফট ভাঙিয়ে সত্যিকারের টাকা পাওয়া যায়৷
ছবি: Reuters/D.Sagolj
প্রশিক্ষণ
ভবিষ্যতের লাইভ স্ট্রিম উপস্থাপিকারা ‘থ্রি মিনিট টিভি’-র প্রশিক্ষণ নেন৷ চীনে এমন স্ট্রিমের সম্ভাব্য দর্শকের সংখ্যা ৩৪৪ মিলিয়ন৷ এই দর্শকরা গত ডিসেম্বরে বিভিন্ন লাইভ স্ট্রিমিং সাইট ভিজিট করেছেন৷ এটা অবশ্য চীনের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মাত্র ৪৭ শতাংশ৷ ফলে এই মার্কেটের আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে৷
ছবি: APTN
কসমেটিক সার্জারি
লাইভ স্ট্রিমে অনেক কিছু লুকানো যায় না৷ তাই নিজেদের সৌন্দর্যকে সত্যিকারভাবে ফুটিয়ে তুলতে বা নিজেদের আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে অধিকাংশ উপস্থাপিকাই ছুরির নীচে চলে যান৷ কেউ নাক সুন্দর করেন, কেউ কান, কেউ বা স্তনের গড়ন৷ চীনে কসমেটিক সার্জারি সংক্রান্ত এক অ্যাপের নির্মাতা জানান, ইন্টারনেট উপস্থাপিকাদের অন্তত ৯৫ শতাংশই সার্জারির মাধ্যমে নিজেদের সৌন্দর্য বাড়িয়েছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/E. Jones
এক হাজার প্রশিক্ষিত উপস্থাপিকা
লাইভ স্ট্রিম ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা পূরণে ইতোমধ্যে এক হাজার উপস্থাপিকাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ‘থ্রি মিনিট টিভি’৷ প্রায় চল্লিশটি লাইভ স্ট্রিম প্লাটফর্মে এখন কাজ করছেন তারা৷ প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ও চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকে এবং তিন শিফটে মেয়েরা ইন্টারনেটে লাইভ স্ট্রিম করে যাচ্ছেন সেখান থেকে৷ চীনে এরকম প্রতিষ্ঠান আরো রয়েছে৷
ছবি: Reuters/D.Sagolj
কত কী না করে
লাইভ স্ট্রিমে থাকা উপস্থাপিকাকে দর্শকদের সন্তুষ্ট রাখতে, তাঁকে ভার্চুয়াল উপহার দিতে, অনেকভাবে প্রলুব্ধ করা হয়৷ তারা কখনো গান গায়, কখনো প্রেমের অভিনয় করে৷ আর অনলাইন গিফট থেকে অর্জিত অর্থ ভাগ করে নেয় উপস্থাপিকা, প্রোডাকশন কোম্পানি এবং লাইভস্ট্রিম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান৷ এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন কোম্পানির ব্র্যান্ডিংয়ের জন্যও কাজ করেন তারা৷
ছবি: Reuters/D.Sagolj
সরকারের কড়া নজর
তবে লাইভ স্ট্রিমে চীনের আইনে অবৈধ এমন বাড়াবাড়ি কিছু করা হলে জেল, জরিমানারও ঝুঁকি রয়েছে৷ গত জুলাইয়ে চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, ৪,৩১৩ টি অনলাইন শো রুম বন্ধ করে দিয়েছে তারা৷ সেই সময় ইন্টারনেটে অশ্লীলতাকে উৎসাহ দেয়ার দায়ে ১৮ হাজারের মতো উপস্থাপিকাকে চাকুরিচ্যুত করা বা অন্য শাস্তি দেয়া হয়েছে৷ কয়েকটি লাইভ স্ট্রিম সাইটকে জরিমানাও করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
খানিক বাদেই একটা চুল কাটার সেলুনের সামনে সেরকম দর্শক পাওয়া গেল৷ আজকের ম্যাজিকটা দেখানোর জন্য জুলিয়াসের একটা ফেল্টপেনের বেশি কিছু লাগবে না – এক জাদুবিদ্যা ছাড়া? তাহলে তো হয়েই যেতো৷ ‘‘ইন্টারনেটে এক থেকে পাঁচ মিনিটের ভিডিও দেখলে মনে হবে যেন তৈরি করতে কোনো কষ্টই হয়নি – আসলে কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগে৷ ঠিক টিম, ঠিক লোকেশান, ঠিক ম্যাজিক – যা শিখতে ১০ ঘণ্টা থেকে ১০০ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে,’’ জানালেন জুলিয়াস ডেইন৷
শুধু ভেলকি দেখানোই নয়, লোকজনকে বোকা বানাতেও জুলিয়াসের জুড়ি নেই, বিশেষ করে রাস্তাঘাটে সম্পূর্ণ অচেনা মানুষদের৷ নিজের দাদিমাও জুলিয়াসের ফাজলামো থেকে রেহাই পাননি: ফেসবুকে ন'কোটি বিশ লাখ বার দেখা হয়েছে সে ভিডিও, জুলিয়াসের বিগেস্ট হিট৷ তবে ভাইরাল ভিডিও তৈরি করতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে, ফ্যানরা ঠিক কি চায়:‘‘চটপটে উপস্থাপনা; সেই রকমই চটপটে কন্টেন্ট, চটপট পাতা উলটে যাওয়ার মতো৷ শীর্ষকগুলো বেশি বড় হলে চলবে না – পুরোটা একটা ফর্মুলা৷ ফর্মুলা ফলো না করলে ভাইরাল হওয়া যাবে না৷’’
এ এমন একটা ফর্মুলা, যার কল্যাণে জুলিয়াস আজ অনলাইনে ম্যাজিক দেখিয়েই জীবনধারণ করতে পারেন৷ তবে বড় বড় ম্যাজিশিয়ানরা যা রোজগার করেন, জুলিয়াসের আমদানি তার ধারে-কাছে নয়৷
অথচ তাঁর রাস্তার ম্যাজিক দেখিয়েই দুনিয়াকে মুগ্ধ করেছেন জুলিয়াস ডেইন৷