1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মণিপুর সংঘাতে নিহত ৬০, গৃহহীন ৩০ হাজার

৯ মে ২০২৩

এই প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ। জানিয়েছেন, ঘরছাড়াদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বহু এলাকায় এখনো কার্ফিউ।

মণিপুরে সংঘাত
ছবি: AFP

মণিপুরে অন্তত এক হাজার সাতশ ঘর জ্বলেছে। গৃহহীন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। নিহত অন্তত ৬০। বুধবার সংঘাতের পর অবশেষে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ। হতাহতের হিসেব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের রেয়াত করা হবে না। সকলের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি ঘরছাড়াদের দ্রুত ফেরানো হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন। তিনি বলেছেন, সহিংসতা থামাতে কেন্দ্র সাহায্য করেছে।

সহিংসতায় ঘর ছাড়ছেন মণিপুরের মানুষ

02:21

This browser does not support the video element.

এদিকে মণিপুরের প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে এখনো উদ্বাস্তু শিবিরে বহু মানুষ বসবাস করছেন। আসামের কাছাড় জেলায় ক্যাম্প করে আছেন উদ্বাস্তুরা। আসাম সরকার জানিয়েছে, তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

গত বুধবার ভয়াবহ সংঘাত শুরু হয় মণিপুরে। ওই দিন রাজ্যের চূড়াচাঁদপুরে  ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর মিছিল বার করে। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই গোষ্ঠী নিজেদের তফশিলি জনজাতির অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। তার বিরোধিতা করে ছাত্র সংগঠন মিছিল বার করে। আর সেই মিছিল ঘিরেই তীব্র সংঘাত শুরু হয়। হত্যা, আগুন জ্বালানোর ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় কার্ফিউ জারি করা হয়। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে ১৪৪ ধারা এখনো জারি আছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই ঘরছাড়াদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। অনেকেরই বাড়ি সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণহাতে করে তারা পার্শ্ববর্তী রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।

জনজাতিভুক্ত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে অজনজাতি গোষ্ঠীর সংঘর্ষ এর আগেও হয়েছে মণিপুরে। মেইতেই বহুদিন ধরেই নিজেদের তফশিলি জনজাতির অন্তর্ভুক্ত করার আন্দোলন চালাচ্ছে। এই রাজনৈতিক প্রশ্ন নিয়ে অবশ্য এদিন কোনো মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ