1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মত প্রকাশের পথ রুদ্ধ বাংলাদেশে

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৮ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশে সরকারের ‘কঠোর নিয়ন্ত্রণ' চলছে বলে পর্যবেক্ষণ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর৷ ২০১৫ সালে বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে একথা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি৷

Human Rights Watch Logo

[No title]

This browser does not support the audio element.

গত বছর একদিকে ব্লগার ও বিদেশিরা জঙ্গি হামলার লক্ষ্যে ছিলেন বাংলাদেশে৷ আবার অন্যদিকে সরকারের চোখ রাঙানি হজম করতে হয়েছিল গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজকে, জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ৷ এছাড়া একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে ‘ত্রুটিগুলো' প্রশমন না হওয়াতে ‘ন্যায়বিচার' হচ্ছে না বলেও দাবি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই মানবাধিকার সংগঠনটির৷

এইচআরডাব্লিউ-র এই প্রতিবেদনের সঙ্গে পুরোপুরি একমত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব এম হাফিজ উদ্দিন খান৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নেই৷ সরকার তো আগেই কর্তৃত্বপরায়ন হয়ে গেছে৷ সবাই ভয়ভীতির মধ্যে আছে৷ বিরোধীপক্ষ এখন সভা-সমাবেশ করতে পারছে, এটা ঠিক৷ কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রচুর মামলা হচ্ছে৷ আমরা বুঝি না এর কতগুলো মামলা সঠিক আর কতগুলো সাজানো৷''

অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভয়ে ভয়ে আছি, কথা বলতে পারছি না৷ টেলিভিশনের টক শোতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি৷ কারণ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি না আমরা৷''

গত বুধবার ৬৫৯ পৃষ্ঠার ‘বিশ্ব প্রতিবেদন ২০১৬' প্রকাশ করে এই নিউ ইয়র্কে অবস্থিত এই মানবাধিকার সংস্থাটি৷ তাতে ৯০টি দেশ নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর, সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের যে আন্দোলন হয়েছিল, তাতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে৷ যাতে প্রাণ হারায় অগুন্তি সাধারণ মানুষ, আহতের সংখ্যাও ছিল অসংখ্য৷ হরতাল-অবরোধে শিশুদের স্কুলে শিক্ষাগ্রহণের মতো বিষয়গুলো বাধাগ্রস্ত হয়৷ অন্যদিকে ঐ সময়ে সহিংসতা দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন, বিরোধী কর্মীদের বন্দি এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে তাঁর কার্যালয়ে নজরবন্দি করে রাখার ঘটনা ঘটে৷ সরকারের সমালোচনা করে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয় যে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ একটি ‘স্বেচ্ছাচারিতা পূর্ণ' পথে চলতে থাকে৷ আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে অবতীর্ণ হতে দেখা যায় বাকস্বাধীনতা ‘হরণ' এবং সুশীল সমাজকে ‘ছত্রভঙ্গ' করার ভূমিকায়৷

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নিজের মন্তব্য তুলে ধরে এইচআরডাব্লিউ-র এশিয়া অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘‘প্রধান দলগুলো নির্বাচন বয়কট করায় সংসদ বিরোধীদলশূন্য হয়ে পড়েছে৷ বর্তমানে সরকার সংসদের বাইরেও বাকস্বাধীনতা হরণের পথ বেছে নিয়েছে৷''

ব্লগার হত্যা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মর্মান্তিক বিষয় হলো ব্লগার হত্যার পর সরকার ব্যবস্থাগ্রহণের পরিবর্তে বাকস্বাধীনতা চর্চায় উল্টো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে৷'' প্রতিবেদনে আরো বলা হয় যে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে জঙ্গি আক্রমণের শিকার হয়ে পাঁচজন ব্লগার প্রাণ হারান৷ হুমকির মুখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে আত্মগোপনে যেতে হয় অনেক ব্লগার, লেখক ও প্রকাশককে৷

শিয়া সম্প্রদায়ের মিছিল ও হিন্দু মন্দিরে হামলায় আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে একই বছর৷ সরকারের বিরুদ্ধে দমনের অভিযোগ তুলে ধরে এইচআরডাব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে হত্যা, গুম এবং নির্বিচারে আটকের মতো বেশ কয়েকটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও দাবি করে৷ এছাড়া বাংলাদেশে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমকে কঠোর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে৷

বর্তমান সরকার কি সত্যিই বাকস্বাধীনতায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ