1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম নিচ্ছে অসুস্থ শিশু

৩০ আগস্ট ২০১০

পশ্চিম তীর এবং গাজা এলাকায় প্রতি বছর কয়েক’শ ফিলিস্তিনি শিশু জন্ম গ্রহণ করছে অসুস্থ হয়ে৷ জটিল ধরণের হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিচ্ছে জন্মানোর এক বছরের মধ্যেই৷

প্যালেস্টাইনে প্রতি ১০০ জন শিশুর মধ্যে একটি শিশু হৃদযন্ত্রের জটিল সমস্যা নিয়ে জন্মায় (ফাইল ফটো)ছবি: DW

গাজা বা পশ্চিম তীরে এ রকম অসুস্থ শিশুর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এসব শিশুর জরুরি ভিত্তিতে ওপেন-হার্ট-সার্জারির প্রয়োজন৷ প্যালেস্টাইনে এ ধরণের চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা কম হওয়ায়, তারা যাচ্ছে ইসরায়েলের তেল হা শোম্যারে৷ সেখানে ১৯৯৯ সাল থেকে নিয়মিত ফিলিস্তিনি শিশুদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে৷

তেল হা শোম্যারের শিশুদের জন্য একটি ক্লিনিকে কাজ করছেন ছয়জন চিকিৎসক এবং তাঁদের সহযোগিতা করছেন বেশ কয়েক নার্স৷ সবাই দাঁড়িয়ে রয়েছেন একটি বিছানার সামনে৷ বিছানায় শুয়ে সাত বছর বয়সী একটি ছেলে৷ ছেলেটির শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ৷ ছেলের বাবা বাইরে অপেক্ষা করছেন৷ চিকিৎসকদের হাব-ভাব মোটেই ভাল ঠেকছে না তাঁর৷

ফাইল ফটোছবি: AP

ছোট্ট সেই ছেলেটির জন্ম প্যালেস্টাইনের হেব্রনে৷ সেখানে কোন ক্লিনিকই ছেলেটিকে সাহায্য করতে পারেনি৷ পশ্চিম তীর বা গাজা এলাকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এতো জটিল রোগীর চিকিৎসা করতে তাঁরা সক্ষম নন৷

তেল হা শোম্যারের চিকিৎসক ডেভিড মিশালি জানান, পশ্চিম তীর আর গাজার হাসপাতালগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়৷ সেখানে কোনো ধরণের চিকিৎসাই সম্ভব নয়৷ তিনি আক্ষেপের সঙ্গে জানান, ‘‘এখানে আমরা শিশুদের সুস্থ করে ফিরিয়ে দেই৷ আমারা প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সফল হই৷ প্যালেস্টাইনে প্রতি ১০০ জন শিশুর মধ্যে একটি শিশু হৃদযন্ত্রের জটিল সমস্যা নিয়ে জন্মায়৷ অসুস্থ শিশুদের মধ্যে চিকিৎসার অভাবে প্রথম বছরেই মারা যায় প্রায় অর্ধেক''৷

১৯৯৯ সাল থেকে তেল হা শোম্যারের শিশু ক্লিনিকে নিয়মিতভাবে চিকিৎসা করানো হচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুদের৷ বছরে প্রায় ২০০ শিশুকে নিয়ে আসা হয় সেখানে৷ সেই ক্লিনিকে প্রতি দুটি শিশুর মধ্যে একটি শিশু ফিলিস্তিনি, অপরটি ইসরায়েলি৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ