1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে বারাক ওবামা

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী২৩ জুলাই ২০০৮

জর্ডান সফর সেরে বারাক ওবামা ইস্রায়েলে পদার্পণ করেছেন৷ কিন্তু আম্মানেই তাঁর ভবিষ্যত্ মধ্যপ্রাচ্য নীতির কিছুটা আভাস পাওয়া যায়৷

ওবামা বার্লিনে যে বিজয় তোরণটির নীচে বক্তৃতা দেবেনছবি: AP/DW

জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা যেমন একদিকে ওবামাকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তেমনই অন্যদিকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আরব দুনিয়া মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতে মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কি ধরণের নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করে৷ ওবামা তাঁর তরফে বলেন, যে তিনি হোযাইট হাউসে তাঁর প্রথম দিন থেকেই ঐ সংঘাতের সমাধানের জন্য সচেষ্ট হবেন, তবে কোনো মার্কিণ প্রেসিডেন্টের পক্ষেও তুড়ি বাজিয়ে শান্তি আনা সম্ভব নয়৷ এর পর ওবামাকে বাস্তববাদী এবং স্পষ্টবক্তা, উভয় ভূমিকাতেই দেখা যায়, বিশেষ করে যখন তিনি আম্মানের সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, যে ইস্রায়েলী সরকার অনিশ্চয়তায় ভুগছে৷ প্যালেস্তিনীয়রা ফাতা এবং হামাসের মধ্যে বিভক্ত৷ কাজেই উভয় পক্ষই শান্তি আনয়নের জন্য কোনো সাহসী পদক্ষেপ নেবার মতো অবস্থায় নেই৷

ইতিপূর্বে ইরাক

ইরাকে ওবামার অভ্যর্থনা যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জন ম্যাককেনকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে৷ ওবামার ১৬ মাসের মধ্যে কমব্যাট ট্রুপ্‌স্‌ বা যুদ্ধসৈনিকদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ইরাকী প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির প্রত্যক্ষ সমর্থন পেয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে, কেননা মালিকির সময়সূচীতে সেটা ঘটবে ২০১০-এর মধ্যে৷ অথচ ওবামা যে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপারে সত্য- এবং ভবিষ্যত্‌দ্রষ্টা, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই৷ প্রেসিডেন্ট বুশের তথাকথিত সার্জ বা সর্বাধুনিক সৈন্যবৃদ্ধির কার্যকরিতার ক্ষেত্রে ওবামা যেমন নিঃসন্দেহে ভুল করেছেন, তেমনই তাঁর মন্তব্য, যে অবিভক্ত জেরুসালেমকে ইস্রায়েলের রাজধানী রাখতে হবে, প্যালেস্তিনীয়দের ক্ষিপ্ত করেছে৷ কিন্তু এ-সবই অতীতের ভুল৷ এই তুখোড় মানুষটি যে অতি শীঘ্র একটি অঞ্চলের নাড়ির স্পন্দন ধরে ফেলার ক্ষমতা রাখেন, তা’তে কোনো সন্দেহ নেই৷

এবার অগ্নিপরীক্ষা কিংবা ট্রাপিজের খেলা

ওবামা তেল আভিভের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে পৌঁছবার কয়েক ঘন্টা আগে এক প্যালেস্তিনীয় যে হোটেলে তিনি থাকবেন, তার মাত্র ২০০ মিটার দূরে বুলডোজ়ার সহ বেশ কিছু গাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত করে জানান দেয়, যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এক ব্যাপার, আর মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তব আরেক ব্যাপার৷ ওবামা পাকা কূটনীতিকের মতো এই ঘটনাটিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরো বেশী সক্রিয় হবার ডাক ইত্যাদি বলে সামলে দিয়েছেন৷ ইস্রায়েলে তাঁর প্রায় এক প্রেসিডেন্টের নির্ঘন্ট, কোনো প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নয়৷ মিলিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী এহুদ অলমের্ট, প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ়িপি লিভনি, বিরোধীদল লিকুদ পার্টির প্রধান বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের সঙ্গে৷ এবং অবশ্যই রামাল্লায় গিয়ে প্যালেস্তিনীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মিলিত হবেন, যে কাজটা জন ম্যাককেন এখনও করে উঠতে পারেননি৷

অতঃপর জার্মানী

সেটা হবে একটা সম্পূর্ণ অন্য ব্যাপার৷ ইউরোপে তিনি পাবেন এক হিরোর ওয়েলকাম৷ বিশেষ করে জার্মানীতে তাঁর ফ্যানের সীমাসংখ্যা নেই৷ কিন্তু বার্লিনের মুক্তাঙ্গণে পপস্টারের মতো বক্তৃতা দেবার সময় তাঁর বিষয় হবে আন্তঃ-অতলান্তিক সম্পর্ক৷ সেও এক ধরণের গভীর জল বৈকি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ