মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা
২৯ জুলাই ২০১৩মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির উদ্যোগে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে যাওয়া আলোচনা আবারো শুরু হচ্ছে৷ সে সময় পশ্চিম তীরে ইসরায়েল অবৈধ বসতি স্থাপন চালিয়ে যাওয়ায় আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল৷
এদিকে, আলোচনা যেন এগোতে পারে সে লক্ষ্যে ১০৪ জন আরব কারাবন্দিকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা৷ রবিরার এ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরুর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা আমার, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিশেষ করে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সহজ নয়৷ এটা আমি বুঝি৷ কিন্তু কখনো কখনো দেশের কল্যাণের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷''
এছাড়া বৈঠক শুরুর আগে নেতানিয়াহু মন্ত্রীদের বলেন, শান্তি আলোচনা শুরু করা না গেলে ইসরায়েলকে অনেক মূল্য দিতে হবে৷
তবে বন্দি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল আসলে দুটি বিষয়ে ফিলিস্তিনের কাছ থেকে ছাড় পেতে চাইছে৷ এর একটি হলো পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধের ফিলিস্তিনি দাবি এবং অন্যটি, সীমান্ত আলোচনার ভিত্তি হবে ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের আগের সীমান্ত৷ উল্লেখ্য, সে সময় ইসরায়েল পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল৷
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, যে কারণে ২০১০ সালের আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল সেই বসতি স্থাপন প্রশ্নে এখনো ইসরায়েল ছাড় দিতে রাজি নয়৷ ফলে ওয়াশিংটনে যে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে তা কতটা সফল হবে সেটা নিয়ে শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে৷
ইসরায়েলের পক্ষে প্রধান আলোচক সিপি লিভনিও বলছেন আলোচনা জটিল হবে৷ তবে তিনি আশাবাদী৷
ফিলিস্তিনের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন প্রধান আলোচক সায়েব এরেকাত৷
আলোচনা শেষ হতে কমপক্ষে নয়মাস লাগতে পারে৷
জেডএইচ / এসবি (রয়টার্স)