জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা যেন শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বাস করতে পারে, সেই চেষ্টা করতে হবে৷ একমাত্র দ্বি-রাষ্ট্র নীতির মাধ্যমেই সেটা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
বার্লিনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের আগে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন ম্যার্কেল৷
তবে তিনি বলেন, সেই লক্ষ্য (দ্বি-রাষ্ট্র নীতির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার সমাধান) অর্জনের পথ ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ডনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের পক্ষে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ যেমন ২০১৭ সালে তেল আভিভ থেকে ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুসালেমে নিয়ে যাওয়া হয়৷ আর চলতি বছর জেরুসালেমে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনি মিশনের মর্যাদা কমিয়ে দেয়া হয়৷ গত কয়েক দশক ধরে প্যালেস্টাইন বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনৈতিক মিশন হিসেবে কাজ করে আসছিল ঐ মিশন৷
ম্যার্কেলের পাশে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস ইসরায়েলের পক্ষ নেয়ায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেন৷ মার্কিন সরকারের অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা তৈরিতে সহায়ক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার বহুপক্ষীয় সমাধানের পক্ষে থাকায় ম্যার্কেলের প্রশংসা করেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট৷ তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে ফিলিস্তিন প্রস্তুত৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণে আলোচনা আয়োজনের দাবি জানান আব্বাস৷
উল্লেখ্য, জার্মানি গতবছর ফিলিস্তিনকে ১১০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়েছে৷ ফলে ফিলিস্তিনকে সহায়তা দেয়া বিশ্বের অন্যতম বড় দাতাদেশ হচ্ছে জার্মানি৷
জেডএইচ/এডিকে (ডিপিএ, এপি)
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে যুদ্ধের নীরব সাক্ষী
কয়েক দশক ধরে চলছে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিন কিংবা আরব দেশগুলোর যুদ্ধ আর সংঘাত৷ কিন্তু এই সংঘাতের শেষ যেন কোথাও নেই৷ যুদ্ধ আর সংঘাতের ক্ষত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওই এলাকার অনেক স্থাপনা৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
পরিত্যক্ত বাড়ি
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ক্ষতচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পরিত্যক্ত এই বাড়ি৷ ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর আরব-ফিলিস্তিনিদের ওই এলাকা ছাড়া করা হয়৷ জেরুজালেমের পশ্চিমপ্রান্তের প্রবেশমুখ থেকেই নজরে পড়বে বাড়িটি৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
বিমানবন্দরের ধ্বংসাবশেষ
মিলিয়ন ডলারের বিমানবন্দর এভাবে ধ্বংসস্তুপ হয়ে আছে৷ রাফা এলাকায় গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৃশ্য এটি৷ ১৯৯৮ সালে বিমানবন্দরটি উদ্বোধনের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও উপস্থিত ছিলেন৷ ২০০২ সালে ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় ‘ইন্তিফাদা’ বা অভ্যুত্থানের পর ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়ে বিমানবন্দরটি ধ্বংস করে দেয়৷ বুলডোজারে গুড়িয়ে দেওয়া হয় রানওয়ে৷
ছবি: Reuters/I. Abu Mustafa
পাখাহীন হেলিকপ্টার
দ্বিতীয় ইন্তিফিদার সময় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের হেলিকপ্টারটি ধ্বংস করে দিয়েছিল৷ বর্তমানে পাখাহীন এই কপ্টারটি ফিলিস্তিনিদের শাসিত গাজা এলাকায় প্রদর্শন করা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/I. Abu Mustafa
জিকিম সমুদ্রসৈকত
ইসরায়েলের অন্যতম পযর্টন আকর্ষণের জায়গা জিকিম সমুদ্রসৈকত৷ যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে এই ইসরায়েলি সেনাচৌকি৷ গাজা উপত্যকার অদূরের এ চৌকি এখন পরিত্যক্ত৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
মাইন থেকে সাবধান!
গোলান মালভূমির এই এলাকায় ভূমিমাইন থেকে সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে৷ ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ এটিকে এখনো ফিরে পাওয়ার দাবি করে আসছে সিরিয়া৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
উল্টানো ট্যাংক
গোলান মালভূমির ‘বানিয়াস নেচার রিজার্ভ’ এলাকায় পড়ে আছে এই সিরীয় ট্যাংকটি৷ ১৯৭৪ সাল থেকে এটিকে ‘বাফার জোন’ হিসাবে রেখেছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী৷ ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনায় বড় বাধা ১৯৬৭ সালে ‘ছয় দিনের যুদ্ধে’ দখল হওয়া এই মালভূমি৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
এখন আর আজান হয় না
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বাফার জোন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের এলাকা এটি৷ ১৯৬৭ সালে যুদ্ধের পর পরিত্যক্ত হওয়া মসজিদ এটি৷ এখানে এখন কোনো আজান কিংবা নামাজ হয় না৷ কেবল চলতিপথে মসজিদের দেয়ালে গ্রাফিতি এঁকে দিয়ে যায় পর্যটকরা৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
বাংকার
৫২ বছর আগে যুদ্ধের সাক্ষী হয়ে আছে এই বাংকার৷ যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন যেন মুছে দিতে চাইছে এসব লতাপাতা৷ সিরিয়ায় বর্তমান গৃহযুদ্ধের মধ্যেও ইসরায়েল-সিরিয়ার রকেট হামলার গতিপথও এটি৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
ব্রিটিশ শাসনের সাক্ষী
মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান সংঘাতের শেকড় বহু পুরোনো৷ ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হলেও তার সাক্ষ্য এখনো বহন করছে পুরাতন এই চৌকি৷ অবশ্য চৌকির দেয়ালে ম্যুরাল করা হয়েছে কয়েক বছর আগে৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
পরিখা
পূর্ব জেরুজালেমের বিখ্যাত ‘অ্যাম্যুনিশন হিল’-এ সাক্ষী হয়ে আছে বহু যুদ্ধের৷ ব্রিটিশ পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র রাখার জন্য ব্যবহার হতো এই পাহাড়৷ ১৯৪৮ সালে জর্ডান এলাকাটি জয় করে৷ কিন্তু ১৯৬৭ সালেরর যুদ্ধের পর ইসরায়েল এটিকে দখলে নেয়৷ ওই পাহাড়টির উপরে এখন একটি জাদুঘর রয়েছে৷ সংরক্ষণ করা হয়েছে অনেকগুলো পরিখা৷