বিচিত্র দেশ ভারত! বাবরি মসজিদের পক্ষে ক্ষুরধার সওয়াল করেছেন হিন্দু আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান৷ আর মসজিদের নিচে প্রাচীন মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে রিপোর্ট তৈরি করেছেন মুসলিম পুরাতত্ত্ব আধিকারিক কারিঙ্গামান্নু কুঝিয়ুল মুহাম্মদ৷
১৯৯০ সালের ২৯ অক্টোবর তোলা ছবিতে বাবরি মসজিদছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Walton
বিজ্ঞাপন
স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে অন্যতম বিতর্কিত বিষয় ছিল অযোধ্যা জমি মামলা৷ ১৩৪ বছরের পুরোনো মামলা৷ একটানা মাসাধিক কাল শুনানি করে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ বিচারকের সাংবিধানিক বেঞ্চ৷ অযোধ্যায় যে রাম মন্দির হবে, তা নিয়ে কারও মনে কোনও সংশয় নেই৷ পার্শ্ববর্তী কোনও জমিতে মসজিদ হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি৷ দেশে হিন্দু-মুসলমানের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখনও পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ৷ কিন্তু, ভবিষ্যত নিয়ে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে বৈকি৷ মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশের মত, আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে চূড়ান্ত রায় মেনে নিতে হলেও কোথাও মনের কোণে আশঙ্কার বুদবুদ রয়ে গেছে৷ এরমধ্যেও অন্যরকম কিছু মানুষ আছেন৷ যাঁরা নজির গড়ছেন৷
রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ নিয়ে পাঁচশো বছরের পুরোনো বিতর্কে আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল ১৩৪ বছর আগে৷ গত ৯ নভেম্বর তার অবসান ঘটিয়েছে ভারতের সর্বোচচ আদালত৷ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, বিতর্কি জমিটি হিন্দুদের৷ অতএব সেখানে রাম মন্দির তৈরি হবে৷ মুসলমানদেরও বঞ্চিত করেনি সর্বোচ্চ আদালত৷ রাম মন্দিরের বিতর্কিত জমিটি ২.৭৭ একর৷ মসজিদ তৈরির জন্য মুসলিম সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ডকে বিকল্প পাঁচ একর জমি দিতে বলা হয়েছে সরকারকে৷ মামলার অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড আদালতের রায় মেনে নিয়েছে৷ আবার অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে চলেছে৷
উভয় সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছে সুপ্রিম কোর্ট: সুজিত রায়
This browser does not support the audio element.
'৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের অনেক আগেই ভয়াবহ কিছু ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করে অযোধ্যা থেকে প্রতিবেদন লিখেছিলেন সুজিত রায়৷ ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, ‘‘অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে যে রাম মন্দির হচ্ছেই, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই৷ এখন পরবর্তী সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে হিন্দুদেরই৷ কারণ তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ যদিও উভয় সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ তা সত্ত্বেও পাঁচ একর জমি আদৌ মুসলিমরা নেবেন কিনা, নিলেও সেখানে মসজিদ হবে নাকি স্কুল, কলেজ বা হাসপাতাল হবে, তা স্পষ্ট নয়৷ ফলে সরকারি ভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সময় আসেনি৷’’
অযোধ্যা মামলার জেরে ১৯৭৬ সাল থেকে বাবরি মসজিদ চত্ত্বরে খনন শুরু করেছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া৷ আগে বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক বি বি লালের অধীনে গবেষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য স্নাতক মুহাম্মদ৷ পরে মুহাম্মদই ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদ চত্বরে খুঁজে পেয়েছিলেন ‘মন্দির প্রণালী', ‘মগর প্রণালী'ইত্যাদির মতো কিছু চিহ্ন৷ এখন সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু মন্দির নির্মাণের পক্ষে যে রায় দিয়েছে তার ভিত্তি লুকিয়ে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে৷ যে রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন কেরলের কালিকটের বাসিন্দা এআসআই-এর আঞ্চলিক অধিকর্তা কে কে মুহাম্মদ৷
ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘বহু পুরনো অ-মুসলিম কোনও কাঠামোর উপর তৈরি হয়েছিল বাবরি মসজিদ৷''ওদিকে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী হিসেবে আগাগোড়া বাবরি মসজিদের জমির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করে এসেছেন দুঁদে আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান৷ শেষ পর্যন্ত তিনি না জিতলেও হিন্দু হয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে মসজিদের দাবিতে তাঁর এই লড়াইয়ে কুর্ণিশ জানাচ্ছে আম জনতা৷
যদিও সুপ্রিম-রায় নিয়ে অসন্তোষ শোনা যাচ্ছে অনেকের গলায়৷ কেউ কেউ রায়ের নানা অংশের চুলচেরা বিশ্লেষণে বহু খামতি খুঁজে পাচ্ছেন৷
পশ্চিমবঙ্গের বনমালীচট্টা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুদ হোসেন ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নেওয়া মানেই সন্তুষ্টি নয়৷ বিতর্ক ছিল উভয় পক্ষের অধিকার নিয়ে৷ আদালত দু-পক্ষের অধিকার নিশ্চিত করেছে দুটি ভিন্ন স্থানে৷ রায় শোনার পর মুসলিমরা নীরব৷ এই নীরবতা এক অজানা আতঙ্কের কারণে৷ কেউ ভাবছেন, এরপর অন্য কোনও ধর্মস্থান বা মসজিদ জবরদখল করে ভেঙে দিয়ে মন্দির গড়া হবে কিনা৷’’ প্রশ্ন উঠেছে মন্দির নির্মাণে সরকারের এগিয়ে সে ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়ে৷ ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বিশেষ কোনও ধর্মের উপাসনাগৃহ নির্মাণ করা সরকারের কাজ নয়৷ কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর একদিকে যেমন রাম মন্দির নির্মাণে ট্রাস্ট গঠন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তেমনই মসজিদ নির্মাণে পাঁচ একর জমি দেওয়ার তোড়জোড় করা হচ্ছে৷
মুসলমান প্রতিনিধিরা বলছেন, ‘‘ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কোনও সরকার সরাসরি মন্দির, মসজিদ নির্মাণে অংশ না নেওয়াই কাম্য৷ কিন্তু, ভারত সরকার মন্দির নির্মাণে ট্রাস্ট গড়ছে৷ মসজিদ নির্মাণে জমি দিতে চাইছে৷ সরকারের উচিত এসব থেকে দূরে থাকা৷ তাছাড়া মসজিদের জন্য সরকার সরযূ নদীর ওপারে জমি দিতে চাইছে৷ কিন্তু, অধিগৃহীত ৬৭ একর জমির মধ্যেই পাঁচ একর জমি দেওয়া হোক৷’’ তবে, এত সত্ত্বেও বাবরি মসজিদ এবং রাম মন্দিরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি পর্বে পরস্পরের প্রতি সদ্ভাবনা বজায় রাখার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন উভয় ধর্মের মানুষ৷
বাবরি মসজিদ: প্রতিষ্ঠা, ভাঙচুর, মামলা, রায়
হিন্দু দেবতা রামচন্দ্রের জন্মস্থান, রাম মন্দির, নাকি মোগল সম্রাট বাবরের আমলে নির্মিত একটি মসজিদ? বিষয়টি নিয়ে ১৮৫৩ সাল থেকে হিন্দু-মুসলমান বিরোধ চলেছে, যা চরমে ওঠে ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বরে৷
ছবি: dpa - Bildarchiv
১৫২৮ সালে নির্মাণ
রামায়ণ-খ্যাত অযোধ্যা শহর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ফৈজাবাদ জেলায় অবস্থিত৷ তারই কাছে রামকোট পর্বত৷ ১৫২৮ সালে সেখানে সম্রাট বাবরের আদেশে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়, যে কারণে জনমুখে মসজিদটির নামও হয়ে যায় বাবরি মসজিদ৷ আবার এ-ও শোনা যায়, গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকের আগে এই মসজিদ ‘মসজিদ-ই-জন্মস্থান' বলেও পরিচিত ছিল৷
ছবি: DW/S. Waheed
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
বাবরি মসজিদ নিয়ে সংঘাত ঘটেছে বার বার৷ অথচ ফৈজাবাদ জেলার ১৯০৫ সালের গ্যাজেটিয়ার অনুযায়ী, ১৮৫২ সাল পর্যন্ত হিন্দু এবং মুসলমান, দুই সম্প্রদায়ই সংশ্লিষ্ট ভবনটিতে প্রার্থনা ও পূজা করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. E. Curran
সংঘাতের সূত্রপাত
প্রথমবারের মতো হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত৷১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ সরকার দেয়াল দিয়ে হিন্দু আর মুসলমানদের প্রার্থনার স্থান আলাদা করে দেয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/D .E. Curran
হিন্দুদের দাবি
আওয়াধ অঞ্চলের বাবর-নিযুক্ত প্রশাসক ছিলেন মির বকশি৷ তিনি একটি প্রাচীনতর রাম মন্দির বিনষ্ট করে তার জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে হিন্দুদের দাবি৷
ছবি: AP
বেআইনিভাবে মূর্তি স্থাপন
১৯৪৯ সালের ২৩শে ডিসেম্বর – বেআইনিভাবে বাবরি মসজিদের অভ্যন্তরে রাম-সীতার মূর্তি স্থাপন করা হয়৷
ছবি: DW/S. Waheed
নেহরুর ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
রাম-সীতার মূর্তি স্থাপনের পর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থকে চিঠি লিখে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি অপসারণ করার নির্দেশ দেন, তিনি বলেন ‘‘ওখানে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে’’৷
ছবি: Getty Images
মসজিদের তালা খোলার আন্দোলন
১৯৮৪ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মসজিদের তালা খুলে দেওয়ার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে৷ ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধীর সরকার ঠিক সেই নির্দেশই দেন৷
ছবি: AFP/Getty Images
দুই সম্প্রদায় মুখোমুখি অবস্থানে
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে৷ ১৯৮৬ সালে মসজিদের তালা খুলে সেখানে পূজা করার অনুমতি প্রার্থনা করে হিন্দু পরিষদ৷ অন্যদিকে, মুসলমানরা বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি গঠন করেন৷
ছবি: AP
‘রাম রথযাত্রা'’
১৯৮৯ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে ভিএইচপি বিতর্কিত স্থলটিতে (মন্দিরের) ‘শিলান্যাস'-এর অনুমতি পায়৷ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রবীণ নেতা লাল কৃষ্ণ আডভানি ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত থেকে দশ হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ‘রাম রথযাত্রা'’ শুরু করেন৷
ছবি: AP
১৯৯২
১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর এল কে আডভানি, মুরলি মনোহর যোশি, বিনয় কাটিয়াসহ অন্যান্য হিন্দুবাদী নেতারা মসজিদ প্রাঙ্গনে পৌঁছান৷ ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি, শিব সেনা আর বিজেপি নেতাদের আহ্বানে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাবারি মসজিদে হামলা চালায়৷ ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা৷
ছবি: AFP/Getty Images
সমঝোতার উদ্যোগ
২০০২ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী দু’পক্ষের সমঝোতার জন্য বিশেষ সেল গঠন করেন৷ বলিউডের সাবেক অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে হিন্দু ও মুসলমানদের নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়৷
ছবি: AP
শিলালিপি কী বলে
পুরাতাতত্বিক বিভাগ জানায়, মসজিদের ধ্বংসাবশেষে যে সব শিলালিপি আবিষ্কৃত হয়, তা থেকে ধারণা করা হয়, মসজিদের নীচে একটি হিন্দু মন্দির ছিল৷ আবার ‘জৈন সমতা বাহিনী'-র মতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাবরি মসজিদের নীচে যে মন্দিরটির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে, সেটি ষষ্ঠ শতাব্দীর একটি জৈন মন্দির৷
ছবি: CC-BY-SA-Shaid Khan
বিজেপি দোষী
বিশেষ কমিশন ১৭ বছরের তদন্তের পর ২০০৯ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দেয়৷ প্রতিবেদনে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপিকে দোষী দাবি করা হয়৷
ছবি: AP
এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার রায়ে জানান, যে স্থান নিয়ে বিবাদ তা হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া উচিত৷ এক তৃতীয়াংশ হিন্দু, এক তৃতীয়াংশ মুসলমান এবং বাকি অংশ নির্মোহী আখড়ায় দেওয়ার রায় দেন৷ রায়ে আরো বলা হয়, মূল যে অংশ নিয়ে বিবাদ তা হিন্দুদের দেয়া হোক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হিন্দু ও মুসলমানদের আবেদন
হিন্দু ও মুসলমানদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সেই রায় বাতিল করে৷ দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, বাদী বিবাদী কোনো পক্ষই জমিটি ভাগ করতে চান না৷
ছবি: AP
ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়
ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের কণ্টকিত ইতিহাসে বাবরি মসজিদে হামলা একটি ‘কলঙ্কিত অধ্যায়’৷ গুটি কয়েক হিন্দু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দিনটিকে সূর্য দিবস বলে আখ্যায়িত করলেও বেশিরভাগ ভারতীয় দিনটিকে ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেন৷ অনেকেই বলেন, এই ঘটনায় দেশের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি একেবারে ভূলুন্ঠিত হয়েছিল৷
ছবি: AP
মন্দিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায়
ভারতের অযোধ্যার এক বিতর্কিত জমি নিয়ে কয়েক দশক অপেক্ষার পর ৯ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত৷ রায়ে ওয়াকাফ বোর্ডের আর্জি এবং নির্মোহী আখড়ার জমির উপর দাবি দুটোই খারিজ করে দেন বিচারকরা৷ বিতর্কিত সেই জমিতে একটি ট্রাস্টের অধীনে মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷ পাশাপাশি, একটি মসজিদ গড়তে কাছাকাছি অন্য কোথাও মুসলমানদের পাঁচ একর জমি দিতেও বলা হয়েছে রায়ে৷